পুণ্যার্থী বোঝাই গাড়িতে শর্ট সার্কিট হয়ে মৃত কোচবিহারের ১০

পুণ্যার্থী বোঝাই গাড়িতে শর্ট সার্কিট হয়ে মৃত কোচবিহারের ১০

 গভীর রাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। কোচবিহার থেকে জল্পেশ্বর শিব মন্দিরে যাওয়ার পথে গাড়িতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ১০ পুণ্যার্থীর। আহত আরও ১৫ থেকে ১৬ জন। একটি ব্রিজ পার হওয়ার সময় গাড়িতে থাকা জেনারেটর থেকে শর্ট সার্কিট হয়। তার জেরেই তড়িদাহত হয়ে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।  

প্রতিবছরই শ্রাবণ মাসে জল্পেশ্বরের শিব মন্দিরে যাওয়ার ধুম থাকে। রবিবার রাতেও পুণ্যার্থীদের একটি দল কোচবিহারের শীতলকুচি থেকে পিক আপ ভ্যানে চেপে জল্পেশ্বরের মন্দিরের দিকে রওনা হয়েছিল। পুণ্যার্থীদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল যুবক। গাড়িতে ডিজে মিউজিক বাজানোর জন্য সঙ্গে ছিল জেনারেটর। জানা গিয়েছে, চ্যাংরাবান্ধার ব্রিজ পার হওয়ার সময় আচমকাই গাড়িতে শর্ট সার্কিট হয়।

যার জেরে বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়ে যায় একাধিক পুণ্যার্থী। অনুমান করা হচ্ছে, গাড়িতে থাকা জেনারেটর থেকেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। বিদ্যুৎস্পৃষ্টদের দ্রুত স্থানীয় চ্যাংরাবান্ধা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে ১০ পুণ্যার্থীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আরও ১৬ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থায় আশঙ্কাজনক।

এদের মধ্যে ছয় জনকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। মৃতরা প্রত্যেকেই শীতলকুচির বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। গোটা ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগ তুলছে পরিবার। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত বর্মা জানান, গাড়িতে থাকা জেনারেটরটি দিয়ে ডিজে বাজানো হচ্ছিল। সেই জেনারেটরটি কোনও ভাবে শর্ট সার্কিট হয়ে গিয়ে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।

ওই ঘটনার পর সকলকে চ্যাংড়া বান্ধা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ১০ জনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আহত ১৬ জনকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। গাড়িটিকে আটক করা হয়েছে। চালক পলাতক।