হাওড়ায় একই পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে খুন

একই পরিবারের চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় চাঞ্চল্য৷ বুধবার রাতে ঘটনাটি (Howrah Incident) ঘটে হাওড়া থানার (Howrah Police Station) MC ঘোষ লেনে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতরা হলেন বছর ছাপান্নর গৃহকর্ত্রী মাধবী ঘোষ, তাঁর ছেলে দেবাশিষ ঘোষ (৩৬), দেবাশিষের স্ত্রী বছর তিরিশের রেখা ঘোষ এবং তিয়াশা ঘোষ (১৩)৷
পারিবারিক বিবাদের জেরেই মাধবী ঘোষের বড় ছেলের স্ত্রী শ্বশুরবাড়ির চারজনকে খুন করে বলে অভিযোগ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন হাওড়া থানার পুলিশ এবং পুলিশের পদস্থ কর্তারা। মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাওড়া জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন দুই মহিলা, এক পুরুষ ও এক নাবালিকা৷
কী কারণে খুন করা হল তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ অভিযুক্ত মহিলাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পুলিশ ও পরিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পরিবারেরই বড় ছেলে দেবরাজ ঘোষের স্ত্রী তার মেজো ভাসুর, ভাসুরের স্ত্রী ও তাঁদের মেয়ে এবং শাশুড়িকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ। বাবাকে কাকা মারধর করছে দেখে তাঁদের মেয়ে আশপাশে থাকা অন্যান্য আত্মীস্বজনকে ডাকতে যাওয়ায় তাঁকেও খুন করা হয় বলে অভিযোগ৷
ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন হাওড়া পুলিশ কমিশনার ও গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখে, চারদিকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে তাঁরা৷ পারিবারিক অশান্তি জেরেই হাওড়া একই পরিবারের এই চারজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ৷ একই পরিবারের চারজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার এই ঘটনায় গোটা এলাকার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷
এই ঘটনার পর মৃত মাধবীদেবীর বড় ছেলে দেবরাজ ঘোষ পলাতক৷ কিন্তু হাওড়া সিটি পুলিশের আধিকারিকরা দেবরাজের স্ত্রী পল্লবী ঘোষকে আটক করেছেন৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তারও বাঁ হাতে জখম রয়েছে৷ পলাতক দেবরাজ ঘোষের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন হাওড়া সিটি পুলিশের আধিকারিকরা৷
পুলিশ সূত্রে খবর, শীঘ্রই মামলা করে ঘটনার তদন্ত শুরু করবে পুলিশ৷ ঘটনাস্থল ঘিরে দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে৷ ফরেন্সিক টিম এসে ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে৷ সুব্রত ঘোষ নামে এক আত্মীয়র দাবি, ‘‘সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দু’ ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ ছিল৷
এদিন হঠাৎ করেই এমন একটা ঘটনা ঘটে গেল৷ রাতে ওদের মেয়ে আমাদের ডেকে বলল, বাবাকে মারছে৷ বড় ভাই দেবরাজ ও তার স্ত্রী পল্লবী ছোট ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারছিল৷ তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে আমারও হাতে লেগেছে৷ বাঁচতে গেলে আমাদের ঠেলে ফেলে দিল৷ সঙ্গে সঙ্গে গেট বন্ধ করে দিল৷ আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দিই৷’’