প্রেমিকের টানে নদী সাঁতরে ভারতে এসে গ্রেফতার বাংলাদেশের তরুণী

প্রেমিকের টানে নদী সাঁতরে ভারতে এসে গ্রেফতার বাংলাদেশের তরুণী

  প্রেমে পড়লে মানুষ যে কী কী করতে পারে, তার কোনও হিসাব হয় না। এই যেমন বাংলাদেশের এক তরুণী, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ছেলেকে ভালবেসে নদী সাঁতরে, জঙ্গল পেরিয়ে এসে হাজির হন আরেক দেশে। পালিয়ে বিয়েও করেন। যদিও একটাই ভুল থেকে গিয়েছিল, কোনও আইনি নথি ছাড়াই এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে এসেছিলেন।

এরপরই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার রানিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় কৃষ্ণা মণ্ডল নামে ওই তরুণীকে। বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ২২ বছর বয়সি কৃষ্ণা মণ্ডল। বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষীরায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মাস ছয়েক আগে নরেন্দ্রপুর এলাকার রানিয়ার অভীক মণ্ডলের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় কৃষ্ণার।

অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁরা একে অপরকে ভালবেসে ফেলেন বলেই সূত্রের দাবি। এরপরই কৃষ্ণা ঠিক করেন বিয়ে করবেন। দিন চারেক আগে সেইমতো বাংলাদেশ থেকে আসার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু কীভাবে আসবেন এক দেশ থেকে অন্য দেশে। রেল, সড়ক, আকাশ কোনও পথেই আসা সম্ভব নয়।

এরপরই ভয়ঙ্কর কাণ্ড করে বসেন তিনি। সুন্দরবনের জঙ্গল, নদীপথ ধরে ওপার বাংলা থেকে এপারে আসা যে অনেকটাই সহজ, সাতক্ষীরার এই মেয়ে তা ভালই জানতেন। সে কারণেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গল পেরিয়ে, প্রায় এক ঘণ্টার মতো নদী সাঁতরে ভারতের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েন তিনি। শুধু তাই নয়, এরপরই তিনদিন আগে কালীঘাটে গিয়ে তাঁরা বিয়েও করেন।

কিন্তু এরইমধ্যে নরেন্দ্রপুর থানায় খবর যায়, এক বাংলাদেশি তরুণী এলাকায় অবৈধভাবে ঢুকে পড়েছেন। বিয়ের পর তিনদিন শ্বশুরবাড়িতেই কৃষ্ণা থাকছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে ছেলের বাড়ির কেউ এই নিয়ে মুখ খোলেননি। পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলাদেশ হাইকমান্ডের হাতে তুলে দেওয়া হবে কৃষ্ণাকে।