এক টুকরো তালমিছরিতে রেহাই মিলবে সর্দি-কাশি থেকে, মুক্তি পাবেন হাড়ের ব্যাথা থেকেও

আজবাংলা তালমিছরি খেয়েছেন নিশ্চয়! মিষ্টি জাতীয় একটি খাবার হচ্ছে তালমিছরি। যা তালের রস থেকে তৈরি করা হয়। বিশেষ করে ছোট শিশুদের দুধের সঙ্গে মিশিয়ে তালমিছরি খাওয়ানো হয়। তাছাড়া এটি বড়রাও খেয়ে থাকে। তবে তালমিছরির রয়েছে অবাক করা কিছু উপকারিতা। নিশ্চয় জানতে ইচ্ছে করছে, তালমিছরিতে কী কী আছে যার জন্য এটি এত উপকারী? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক এর গুণাগুণ-
তালমিছরিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম,পটাশিয়াম,আয়রন,জিঙ্ক,ফসফরাস ইত্যাদি | আর আমাইনো এসিডস | ভিটামিন বি ১২ যায় এই তালমিছরিতে | যা শরীরের পক্ষে ভীষণ উপকারি | তালমিছরি খেলে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ এ থাকে | সেই জন্যই চিনির বদলে তালমিছরি খেতে পারেন | তবে অবশ্যই তালমিছরি খাবার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই খাবেন | তবে যাদের সুগার নেই, তারা নিশ্চিন্তে এটি খেতে পারেন |
তালমিছরিতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালশিয়াম আর পটাশিয়াম থাকার কারণে হাড় ও দাঁত শক্ত হয় এবং হাড়ের সমস্যাও দূর হয়ে যায় | সাধারণত মেয়েদের মেনোপজের পরে হাড় ক্ষয় হতে শুরু করে, এই ক্ষয় রোধ করতে যদি নিয়মিত তালমিছরি খান তাহলে সকলেই উপকার পাবেন | এবার আসা যাক তালমিছরি সর্দি-কাশিতে কিভাবে কাজে লাগে | তালমিছরির রস কাশি উপশম করতে সাহায্য করে এবং গলায় শ্লেষ্মা নরম করে দেয়, ফলে গলায় খুসখুসানি কমে যায় | এক টুকরো তালমিছরি মুখে নিয়ে চুষলে সর্দিতে কাশির সময় আপনি খুব আরাম পাবেন গলায় ও বুকে | তালমিছরি কিডনির জন্যও উপকারী | পেঁয়াজের রসের সঙ্গে তালমিছরি মিশিয়ে কিছুদিন খেলে কিছুদিনের মধ্যেই প্রস্রাবের সঙ্গে কিডনি স্টোন বেরিয়ে যায় |