কোভিড মোকাবিলায় রাজ্যে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ , জেনে নিন কি আছে ঘোষণায়

কোভিড মোকাবিলায় রাজ্যে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ , জেনে নিন কি আছে ঘোষণায়

রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ বাড়ছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সোমবার থেকে কিছু কিছু বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হতে পারে তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, রবিবার এ নিয়ে নবান্নে বৈঠক করেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। সেখানেই সম্ভাব্য বিধিনিষেধ নিয়ে আলোচনা হয়। চলতি সপ্তাহে সোমবার রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৪৩৯। শনিবার তা বেড়ে ছাড়িয়ে গিয়েছে সাড়ে চার হাজারের গণ্ডি। অর্থাৎ, গত ছয় দিনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় ১০ গুণ বেশি বৃদ্ধি হয়েছে রাজ্যে। এমনকি রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হারও ১২ শতাংশ ছাড়িয়েছে। শুধু কলকাতাতেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দু’হাজার। পাল্লা দিয়ে অস্বাভাবিক হারে সংক্রমণ বাড়ছে মহানগরী সংলগ্ন হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।

সপ্তাহে মাত্র ২ দিন দিল্লি ও মুম্বই থেকে কলকাতায় নামতে পারবে বিমান,কবে জেনে নিন? সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত চলবে লোকাল ট্রেন, উঠতে পারবেন ৫০% যাত্রী, ঘোষণা রাজ্যের  তবে বাস বা জলপরিবহনের সংখ্যা কমছে না। সে বিষয়ে আপাতত কিছু জানানো হয়নি। দিল্লি এবং মুম্বই থেকে রাজ্যে বিমান নামার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করল রাজ্য সরকার। রবিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানান, এবার থেকে সপ্তাহে দু'দিন (সোমবার এবং শুক্রবার) দিল্লি এবং মুম্বইয়ের বিমান পশ্চিমবঙ্গে নামতে পারবে। আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে।

আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বিধিনিষেধ কার্যকর হবে। সোমবার এবং শুক্রবার থেকে সপ্তাহে মুম্বই এবং দিল্লি থেকে বিমান চলবে। রাত্রিকালীন বিধিনিষেধের সময় বাড়ল। রাত ১০ টা থেকে ভোর ৫ টা থেকে পর্যন্ত রাত্রিকালীন বিধিনিষেধে থাকবে। সেই সময় শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা ছাড় পাবেন। মাস্ক ছাড়া কোনও বাজার বা শপিং মলে প্রবেশ করা যাবে না।

কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। হোম ডেলিভারি চালু থাকবে। মেনে চলতে হবে যাবতীয় করোনা বিধি। আগামিকাল থেকে কলকাতার ১১ টি জায়গায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন। এছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়ার মতো জায়গায় করোনা বিধিনিষেধ জারি করা হবে। মেট্রো সাধারণ সময় মেনে চলতে পারবে। তবে সর্বাধিক ৫০ শতাংশ যাত্রী উঠতে পারবেন। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চলতে পারে।

সন্ধ্যা সাতটার পর সব লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকবে। তবে দূরপাল্লার ট্রেন চলবে। বিয়ের অনুষ্ঠানে সর্বাধিক ৫০ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সর্বাধিক ৫০ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন। বৈঠক এবং আলোচনাসভায় সর্বাধিক ২০০ জন থাকতে পারবেন। রেস্তোরাঁ এবং পানশালায় সর্বাধিক ৫০ শতাংশ লোক ঢুকতে পারবেন। রাত ১০ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে সিনেমা হল খোলা রাখা যাবে। রাত ১০ টা পর্যন্ত সিনেমা খোলা রাখার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। শপিং মল এবং মার্কেট কমপ্লেক্সে সর্বাধিক ৫০ শতাংশ  লোক ঢুকতে পারবেন। রাত ১০ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। জিম, সেলুন, সুইমিং পুল, স্পা, বিউটি পার্লার বন্ধ থাকবে। বিনোদন পার্ক, চিড়িয়াখানা বন্ধ থাকবে। সরকারি এবং বেসরকারি অফিসে দিনে সর্বাধিক ৫০ শতাংশ কর্মী উপস্থিত থাকতে পারবেন। ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এ জোর দিতে হবে। সমস্ত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ।

কোনও পঠন-পাঠন হবে না। স্কুলের প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা স্কুলে যেতে পারবেন। তবে দৈনিক উপস্থিতি ৫০ শতাংশে বেঁধে রাখতে হবে। দুয়ারে সরকার কর্মসূচি এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যসচিব: নন-রিস্ক দেশ থেকে আগত যাত্রীদের সকলের Rapid Antigen Test করতে হবে আগামিকাল থেকে। মুখ্যসচিব: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছেন যে রাজ্য কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হচ্ছে। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক শুরু করলেন মুখ্যসচিব হরিকৃ্ষ্ণ দ্বিবেদী। রাজ্যে কি করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধ জারি হতে চলেছে? সেই সম্ভাবনার মধ্যেই দুপুর তিনটে থেকে সাংবাদিক বৈঠক করবেন মুখ্যসচিব হরিকৃ্ষ্ণ দ্বিবেদীর।