আচার্য চাণক্যকের মতে জীবনে সফল হতে অর্থ সাশ্রয়ের কৌশল

আচার্য চাণক্যকের মতে জীবনে সফল হতে অর্থ সাশ্রয়ের কৌশল

প্রাচীন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক এবং অর্থনীতিবিদ চাণক্য। চাণক্য 'আর্থশাস্ত্র' রচনা করেছিলেন। এই কারণে, তিনি কৌটিল্য নামে পরিচিত হন। মানব জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে এমন প্রতিটি বিষয় খুব গভীর ভাবে অধ্যয়ন করেছিলেন তিনি। এই কারণেই চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের উপদেষ্টা চাণক্যের নীতিগুলি আজও প্রাসঙ্গিক।আচার্য চাণক্য বিভিন্ন বিষয়ে পণ্ডিত ছিলেন।

একজন মহান পণ্ডিত হওয়ার পাশাপাশি তিনি দক্ষ কূটনীতিক হিসাবেও বিবেচিত হন। চাণক্যের নীতিশাস্ত্র জীবন সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা এবং তার সমাধানগুলিতে আলোকপাত করে। চাণক্যের নীতিগুলি জীবনকে সফল করে তুলতে এবং আরও উন্নত জীবন যাপনের অনুপ্রেরণা দেয়। এই নীতিমালায় একজন ব্যক্তির জীবনে অর্থের বিশেষ তাৎপর্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

কী ভাবে অর্থের ব্যবহার বা সঞ্চয় করা উচিত, সে সম্পর্কে আচার্য চাণক্য তাঁর নীতিমালায় ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর মতে, অর্থ খুব সাবধানতার সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত। যাঁরা প্রয়োজন ছাড়াই অর্থ ব্যয় করেন, দুঃসময়ে তাঁদের সমস্যায় পড়তে হয়। অর্থ সাশ্রয়ের অভ্যাস একটি সুন্দর ভবিষ্যতের ভিত্তি। আচার্য চাণক্যের মতে, অর্থ সাশ্রয় একটি শিল্প। যে ব্যক্তি এই শিল্পটি শিখেছেন, তাঁর জীবন সুখ এবং শান্তিতে পূর্ণ।

যে ব্যক্তি প্রকৃত জ্ঞানী, তিনি সঙ্কটকালের জন্য অর্থ সঞ্চয় করে রাখেন। তাঁর মতে, কখনওই আয়ের চেয়ে বেশি ব্যয় করা উচিত নয়। যে ব্যক্তি তাঁর আয়ের চেয়ে বেশি ব্যয় করেন, তিনি ভবিষ্যতে মারাত্মক সমস্যার মুখোমুখি হন। কৌটিল্যের মতে, সঙ্কটকালে অর্থ অত্যন্ত কার্যকর। বিপর্যয়কালে অর্থ সত্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আমাদের সব সময় ভবিষ্যতের কথা ভেবে অর্থ সাশ্রয় করা উচিত।

যে ব্যক্তি ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করেন না, তাঁর জীবনে সঙ্কটের মেঘ সর্বদা আচ্ছন্ন হয়ে থাকে। তাই ঠিক যতটুকু অর্থের প্রয়োজন, তত টুকুই ব্যয় করা উচিত। স্বল্প বিনিয়োগ করে অর্থ ভবিষ্যতের কথা ভেবে সঞ্চয় করে রাখা জরুরি। সম্পদ জমানোর প্রবণতা শুরু থেকেই সন্তানের মধ্যে গড়ে তোলা উচিত।