চাণক্যের নীতি অনুসারে পুরুষের চেয়ে অনেক বেশী এগিয়ে থাকেন মহিলারা

চাণক্যের নীতি অনুসারে পুরুষের চেয়ে অনেক বেশী এগিয়ে থাকেন মহিলারা

নারী ও পুরুষের সম্পর্ক এবং তাঁদের দোষ-গুণ নিয়েও লিখে গিয়েছেন আচার্য চাণক্য। তাঁর শ্লোকে বলা হয়েছে, এমন কিছু কথা থাকে যা কাউকে বলেন না নারীরা। ভারতের মাটিতে যে সব মহান ব্যক্তি জন্ম নিয়েছেন তাদের মধ্যে চন্দ্রগুপ্ত বিক্রমাদিত্যের প্রধানমন্ত্রী চাণক্য (chanakya) প্রাতঃস্মরণীয়। এখনো পর্যন্ত তার মত একাধারে রাজনীতি, কূটনীতি, যুদ্ধ বিশারদ ও অর্থনীতিবিদ মানুষ ভারতের মাটিতে জন্ম নেয় নি। চন্দ্রগুপ্তের মহামন্ত্রী হলেও তিনিই ছিলেন সাম্রাজ্যের আসল চালিকাশক্তি।

চন্দ্রগুপ্তের সিংহাসন আরোহন থেকে শুরু করে নির্বিঘ্নে রাজ্য শাসন সমস্তই তারই উর্বর মস্তিষ্কের ফসল।  স্ত্রীণা দ্বিগুণ আহারৌ লজ্জা চাপি চর্তুগুণ।সাহস ষড়গুণ চৈব কামক্ষাষ্টগুণ স্মৃত। আচার্য চাণক্য জানিয়েছেন যে মহিলারা পুরুষদের তুলনায় অনেক বেশী খিদে অনুভব করেন কারন তাদের শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি প্রয়োজন হয়ে থাকে। আচার্য চাণক্য বলেছেন যে মহিলারা পুরুষদের চেয়ে জ্ঞানী। কারণ মহিলারা সমস্ত কাজ বুদ্ধি দিয়ে বিচার করে তবেই করেন।

মহিলারা চতুরতার সাথে এবং বুদ্ধির মিশ্রনে জীবনের প্রতিটি অসুবিধা সমাধান করতে সক্ষম হন। পাশাপাশি , পুরুষদের তুলনায় মহিলারা বহুগুণ বেশি সাহসী হন। চাণক্যের মতে, মহিলারা প্রতিটি কঠিন মুহুর্তের মুখোমুখি হন। এজন্য মহিলারা পুরুষদের চেয়ে বহুগুন সাহসের অধিকারিণী হন। আবার যৌণমিলনের ক্ষেত্রে পুরুষদের বলে বলে হারাতে পারেন মহিলারা চাণক্য বলেছেন যে যৌন মিলনে পুরুষদের চেয়ে ৮ গুণ বেশি মহিলাকে কাজ করতে দেখা যায়।

ভারতীয় সাহিত্য ও লোকগাঁথায় চাণক্য এক কিংবদন্তি স্বরূপ। তিনি তার বিশাল জ্ঞান লিপিবদ্ধ করেছিলেন অর্থশাস্ত্র ও চাণক্য নীতি নামের দুটি গ্রন্থে। বস্তুত এই দুই গ্রন্থে চাণক্যের দেওয়া উপদেশাবলি যদি কেউ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে পারে তবে নাম, যশ, খ্যাতি ও সম্পদের চূড়ায় ওঠা সম্ভব।