বাবুলের ভোল বদলে বিস্মিত নয় অধীর চৌধুরী

বাবুলের ভোল বদলে বিস্মিত নয়  অধীর চৌধুরী

বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriyo) তৃণমূলে যোগদান নিয়ে অনেকেরই যখন বিস্ময়ের ঘোর কাটছে না, তখন একমাত্র অধীর চৌধুরীই যেন উল্টো রথে! শনিবাসরীয় দুপুরে দলবদলের ওই ঘটনার পর বিকেলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন লোকসভায় কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, 'অনেকেই বলছেন, দেখছি তাঁরা বিস্মিত। কিন্তু এতে বিষ্ময়ের কী রয়েছে! বাবুল সুপ্রিয়কে মোদী-শাহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর পরই উনি বলেছিলেন, 'আলবিদা'।

মানে, যতক্ষণ পাচ্ছি, ততক্ষণ আছি। না পেলে নেই'। অধীরের কথায়, 'এক সময়ে রামদেবের পা ধরে বিজেপির টিকিট পেয়েছিলেন বাবুল। তার পর নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, মুঝে বাবুল চাহিয়ে। বাবুল মন্ত্রী হয়েছিলেন। এ বার বিধানসভা ভোটে আসানসোলে পাঁচটা সিটে বিজেপি হারার পর বুঝে গেছে বাবুলের রাজনৈতিক প্রভাব সেখানে ক্ষয়িষ্ণু। তাই মন্ত্রিত্ব গিয়েছে। বাবুলও বুঝে গেছেন হয়তো বিজেপির থেকে আর পাওয়ার নেই।

তাই রইল ঝোলা চলল ভোলা বলে তৃণমূলে পা বাড়িয়েছেন।' এদিন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর বাবুল বলেছেন, রাজনীতি থেকে তিনি সন্ন্যাস নেওয়ার কথা ঘোষণা করার পর তাঁর বন্ধু পরিজনরা অনেকেই মর্মাহত হয়েছিলেন। তাঁরা বাবুলের রাজনীতিতে ফেরার সিদ্ধান্তে খুশি। তিনিও ভেরি এক্সাইটেড। অধীর চৌধুরী অবশ্য প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, 'এ সব বাজে কথা। মন্ত্রিত্ব খোয়ানোর পর বাবুল দেখেছিলেন রাজনীতিতে আর কোনও অপশন নেই।

তাই বলেছিলেন, আলবিদা। আবার এখন দেখছেন অপশন রয়েছে। তৃণমূলের দরজা খুলেছে। তাই বলছেন, সন্ন্যাস নয় গার্হস্থ্যে ফিরবেন'। লোকসভায় কংগ্রেস নেতার কথায়, 'এঁরা রাজনীতিক নন। কোনও ত্যাগ, তিতিক্ষা, মানুষের জন্য কাজ করা এঁদের লক্ষ্য নয়। এঁরা সুবিধাবাদী। এঁরা কেবল নিজের ভালর জন্য রাজনীতিতে এসেছেন। মানুষের জন্য কথা বলাটা স্রেফ ভরং!' বাবুল অবশ্য বলেছেন, তিনি তাঁর বিবেকের কাছে পরিষ্কার। বাকি যাঁর যা ইচ্ছা টিপ্পনি করতেই পারেন। তাঁর কিছু বলার নেই।