অগ্নিপথ ঘিরে অগ্নিগর্ভ বিহার

অগ্নিপথ ঘিরে অগ্নিগর্ভ বিহার

‘বীরতা সে যুধ্ পর’। অর্থাৎ, ‘বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধে’। ব্রিটিশ জমানায় গঠিত বিহার রেজিমেন্টের এই আদর্শকেই পণ করে যেন নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ‘মরণপণ যুদ্ধে’ অবতীর্ণ হয়েছেন বিহারের যুবকেরা। অগ্নিপথ প্রকল্পে চুক্তিভিত্তিক সেনা নিয়োগের প্রতিবাদে সে রাজ্যের নানা প্রান্তে শুরু হয়েছে প্রবল বিক্ষোভ। ক্রমশ যা হিংসাত্মক হয়ে ওঠায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

 অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতা করে বুধবার বিহারের গয়া, পটনা, মুজফফ্‌রপুর-সহ নানা জায়গায় চাকুরিপ্রার্থীরা রেললাইন অবরোধ করেন। বৃহস্পতিবার বক্সার, নওয়াদা, ছপরা, বেগুসরাই, আরা, মুঙ্গের, জেহানাবাদের মতো এলাকায় ছড়িয়েছে বিক্ষোভ। মোদীর বিরুদ্ধে স্লোগান উঠেছে। রেলের পাশাপাশি অবরোধ করা হয়েছে জাতীয় সড়ক।

টায়ার জ্বালানো, পাথর ছোড়া, গাড়ি ও ট্রেন ভাঙচুরের মতো ঘটনাও ঘটেছে। ট্রেনলাইনের উপরে জ্বালানো হয়েছে আগুন। এমনকি, ছপরায় ট্রেনেও আগুন ধরানো হয়েছে। নীতীশ কুমার সরকারের পুলিশ বাধা দিতে গেলে বেধেছে সংঘর্ষ। লাঠি ও কাঁদানে গ্যাসে কয়েক জন বিক্ষোভকারীর আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে আরা এবং জেহানাবাদে।

মঙ্গলবার অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ওই প্রকল্পে সাড়ে ১৭-২১ বছরের তরুণ-তরুণীরা চার বছরের জন্য মাসিক ৩০-৪৫ হাজার টাকার চুক্তির ভিত্তিতে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখায় (স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা) যোগ দিতে পারবেন। তাঁদের বলা হবে ‘অগ্নিবীর’। সেনায় শূন্যপদ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চতুর্থ বছরের শেষে সেই ব্যাচের সর্বাধিক ২৫ শতাংশ অগ্নিবীরকে সেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বাকিদের ১১-১২ লক্ষ টাকা হাতে দিয়ে পাঠানো হবে অবসরে। থাকবে না কোনও পেনশন।