মালদায় মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা,কাটা গেল অভিযুক্ত যুবকের গোপনাঙ্গ

মালদা পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠলো, প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে।আত্মরক্ষার জন্য মহিলা হাসুয়া ছুড়লে গোপনাঙ্গ কাটে যুবকের।গুরতর জখম অবস্থায় মালদা মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুবক।মহিলার তরফে থানায় অভিযোগ আসতেই গোপন জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে মহিলাকে।
রবিবার বিকেলে মালদহের রতুয়া থানার গোরক্ষা পরাণপুরের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গেছে,ওই মহিলার তিন সাবালক সন্তান রয়েছে।এক সন্তান ও স্বামী মুম্বাইয়ে শ্রমিকের কাজে গিয়েছে। বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতিবেশী যুবক মহিলার ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ।জবরদস্তিতে হাতাহাতিও শুরু হয়।তারপর মহিলার ব্লাউজও ছিড়ে দেওয়া হয় অভিযোগ।
ওই মহিলার মুখ চেপে ধর্ষণের চেষ্টা করলে খাট থেকে তেড়ে উঠে মহিলা। মহিলা মেজেতে পড়ে খাটের নীচে থাকা হাসুয়া নজরে আসতেই মহিলা তা ছুড়েদেই যুবককে উদ্দশ্যে করে।সেই কথাটি স্বীকার করেছে মহিলা।ওই মহিলা জানান,আমি উদ্দেশ্য করে গোপনাঙ্গে আঘাত করিনি।প্রাণ বাঁচানো তাগিদে হাসুয়া ছুঁড়ে দিই।গোটা ঘটনা নিয়ে ওই মহিলা রতুয়া থানায় অভিযোগও জানিয়েছেন।
পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার গোপন জবানবন্দির জন্য চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয় মহিলাকে।এদিন আদালত চত্বরে মহিলার শাড়িতে রক্তের চিহ্নও দেখা গেছে। ওই মহিলা জানান, আমি আত্মরক্ষার জন্যই হাঁসুয়া ছুঁড়েছি।আমি যেন ন্যায় বিচার পাই সেটাই দাবি রাখছি আইনের কাছে। মহিলার পরিবারের তরফে জানানো হচ্ছে যে,অভিযুক্ত ও তাদের চাষের জমি এক আলেই।
বাড়ির মহিলা জমিতে গেলে সেই ব্যক্তিও জমিতে আসে।প্রায় একবছর ধরে উৎপাত করত বলে অভিযোগ।অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে কাছে টানার চেষ্টা করছিল।তাতেও কায়েম করতে পারেনি।তাই বাড়িতে ঢুকে নক্কারজনক ঘটনা ঘটাতে এসছিল।আত্মরক্ষার জন্যই বধূ উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। যুবকের এক আত্মীয় ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।ওরা আমাদের গাছ কেটেছিল।তার প্রতিবাদ জানাতে গিয়েই গিয়েই ওই মহিলা হাঁসুয়া চালিয়েছে। রতুয়া থানার আইসি সুবীর কর্মকার জানিয়েছেন,অভিযুক্ত সুস্থ হলেই গ্রেফতার করা হবে।গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।