ত্রিপুরায় পুরভোটে বিজেপির জয় জয়াকার, খেলা করতে পড়লো না তৃণমূল

ত্রিপুরায় পুরভোটে  বিজেপির জয় জয়াকার, খেলা করতে পড়লো না তৃণমূল

ত্রিপুরার পুরভোটের অর্ধেক আসনেও প্রার্থী দিতে পারে নি তৃণমূল! অন্যদিকে তৃণমূলের থেকে আরও খারাপ হাল কংগ্রেসের। এমনকী সব আসনে প্রার্থী দিতে পারে নি বিরোধী দল বাম-ও।  পুরভোটের আগে থেকেই উত্তপ্ত ছিল ত্রিপুরা। তাই ভোটগণনার সময় যাতে কোনও অশান্তি না হয় তাই ত্রিপুরা স্টেট রাইফেল ও কেন্দ্রীয় বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে।

আগরতলা পুরসভা, ৬ নগর পঞ্চায়েত, ৭টি পুর পরিষদ মিলিয়ে মোট ৩৩৪টি আসনে এই নির্বাচন হয়েছে। তার মধ্যে ১১২টি আসনে অন্য কোনও দল প্রার্থী না দেওয়ায়, সেই আসনগুলিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে বিজেপি।  ত্রিপুরা (Tripura) ১৮৩ আসনে জিতে ক্রমশই ধরা ছোঁয়ার বাইরে বিজেপি, দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তৃণমূল।

আর এই প্রেক্ষিতে রাজ্যের শাসক দলকে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) ও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। হেস্টিংসের বিজেপি কার্যালয় থেকে তাঁদের কটাক্ষ, অশান্তিকারী দলকে সমর্থন করেনি ত্রিপুরার মানুষ। তাই তাঁদের অভিনন্দন। প্রসঙ্গত, শুধু আমবাসায় খাতা খুলেছে তৃণমূল।

তবে ভোট সংখ্যায় তারা বিরোধী দল সিপিএমকে জোর টক্কর দিয়েছে। আর বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য, “তৃণমূল কংগ্রেস যতই এখান থেকে গুন্ডা-বদমাশ নিয়ে গিয়ে ত্রিপুরায় গন্ডগোল করার চেষ্টা করুক, কিছু মিডিয়ার অংশকে এমনভাবে প্রচার করার চেষ্টা করছে, কিন্তু আমরা আগেই বলেছি. ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস আমাদের অন্যতম বিরোধী নয়।

ত্রিপুরার মানুষ বিজেপির সঙ্গে রয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে আমরা অভিনন্দন জানাই। গোটা রাজ্যজুড়ে ত্রিপুরাবাসীর জয়কে সেলিব্রেট করব।” তার পর তিনি অভিযোগ করেন, টাকা দিয়ে ভোটে জিততে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে তৃণমূল। তাঁর কথায়, “তৃণমূল কংগ্রেস একটি আসন পেয়েছে। সান্ত্বনা পুরস্কার পেয়েছে। টাকা দিয়েও কেনার চেষ্টা করেছিল। একটা আসন পেয়েছে (তৃণমূল)। ভাল কথা। তাদের উৎসাহ বাড়বে। আমরা স্বাগত জানাই তৃণমূল কংগ্রেসকে।” তিনিও দাবি করেন, ত্রিপুরার ভোট কলকাতা পুরসভা ভোটে বিজেপির উপর ‘পজেটিভ প্রভাব’ ফেলবে।

পাশাপাশি, তাঁর টিপ্পনী, “সিপিএমের অভিযোগ দেখে লাভ নেই, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য সিপিএম বলেছিল ‘নো ভোট ফর বিজেপি’। বিজেপির পুরসভা প্রার্থী তালিকা আজকালের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। ৩০ তারিখে আমরা নমিনেশন ফাইল করব। এটা আমাদের আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।