অবৈধভাবে বালি তোলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাঁকুড়া

অবৈধভাবে বালি তোলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাঁকুড়া

পাত্রসা   বালি তোলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল Bankura  বাঁকুড়ার পাত্রসায়র। মঙ্গলবার পাত্রসায়রের পাঁচপাড়া এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে গোলমাল বাঁধে কিছু যুবকের। অভিযোগ, তারা দামোদর থেকে অবৈধভাবে বালি তুলছিল। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই পাঁচপাড়া এালাকায় দামোদর থেকে অবৈধভাবে বালি তুলে পাচার করে মাফিয়া চক্রের লোকজন।

ওই এলাকায় দামোদর থেকে বড় লরি যাওয়ার মতো কোনও রাস্তা নেই। এমনকী এলাকার বাসিন্দারা রাস্তার জন্য জমি দিতেও নারাজ। কারণ তাঁরা চান না ওই এলাকায় বালি খাদান গড়ে উঠুক বা অবৈধ ভাবে বালি তোলা হোক।  পুলিশের হস্তক্ষেপে গত কয়েক মাস দামোদর থেকে অবৈধভাবে বালি তোলার কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।

কিন্তু সম্প্রতি ফের তা শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা রমেন মণ্ডল বলেন, ‘এই এলাকার রাস্তা ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। এখানে সরকারি রাস্তা নেই। আমরা চাই না এখান দিয়ে বালি চোরাচালান হোক। তা নিয়েই রাগ বালি পাচারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের। আমরা রাস্তায় বেরলেই আমাদের গালিগালাজ করা হয়। আজ সকালে সে ভাবেই গালাগালি দিচ্ছিল।

প্রতিবাদ করায় আমাকে রাস্তায় ফেলে মেরেছে।’ এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, গ্রামের এক প্রৌঢ়কে মারধর করায় এলাকার বাসিন্দারা রুখে দাঁড়ান। তখনই সংঘর্ষ শুরু হয়। অভিযোগ, সে সময় বোমা বারুদ নিয়ে তাঁদের উপর হামলা চালায় বালি পাচারে যুক্তরা। লাঠিসোটা, কাটারি নিয়ে মারার চেষ্টা করে তারা।  পাঁচপাড়ায় সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় গেল পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বাসিন্দারা।

তাঁদের দাবি, এলাকার কোনও নিরাপত্তা নেই পুলিশ ও প্রশাসনকে তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।  স্থানীয় অনিতা মণ্ডল বলেন, এ দিনে সকালে এক ব্যবসায়ীকে গালিগালাজ করে বালি মাফিয়ারা। তার প্রতিবাদ করায় আর এক প্রৌঢ়কে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। তখন আমরা সবাই ছুটে এসেছি। প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু আমাদের দিকেও ওরা তেড়ে আসে।

প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ওদের হাতে বড় বড় লাঠি, কাটারি ছিল। অনিতার দাবি, এরপর পুলিশের কাছে নিরাপত্তার দাবি করলে পুলিশ তাঁদের জানায়, এলাকায় মোতায়েন করার মতো বাহিনী থানায় নেই। ফলে এলাকায় সে ভাবে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। এর পরেই আরও ফুঁসে ওঠেন বাসিন্দারা। যদিও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।