ভ্রমণপ্রেমী জন্য ভারতের সুন্দর দ্বীপপুঞ্জ

ভ্রমণপ্রেমী জন্য ভারতের সুন্দর দ্বীপপুঞ্জ

অতুলনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, প্রাচীন ঐতিহ্য, সম্পন্ন ইতিহাস, বৈচিত্রময় সংস্কৃতির জন্য আমাদের দেশের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। আর পর্যটনের কথা উঠলেও ভারত সেরার তালিকার প্রথম সারিতে রয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ স্থান, ঐতিহাসিক নিদর্শন কিংবা সংস্কৃতির স্বাদ গ্রহণ করতে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ বিদেশি পর্যটক আমাদের দেশে বেড়াতে আসেন।

তাছাড়া নিজেদের দেশের ভ্রমণপ্রেমীরা তো আছেনই। কিন্তু আমাদের দেশেই এমন কিছু স্থান রয়েছে যেগুলির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অতুলনীয় হওয়া সত্ত্বেও সাধারণ পর্যটকরা সেখানে যাওয়ার অনুমতি পান না। এর মধ্যে যেমন রয়েছে পর্বতাঞ্চল তেমনই রয়েছে সমুদ্র ঘেরা দ্বীপ। কৌতূহলবশতঃ সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করলেও বিপদে পড়তে হতে পারে।

সেই কোন ছোট বেলায় ‘সবুজদ্বীপের রাজা’ দেখেছিলেন। সে দিন থেকেই ‘সন্তু’র মতো সমুদ্র অভিযানে যাওয়ার শখ। তার পর জীবনে ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ এল। ‘সন্তু’ তত দিনে অনেকটাই বড় হয়ে ‘রোহিত’ হয়ে গিয়েছে। ‘কাকাবাবু’র সঙ্গে অভিযানে না গিয়ে পছন্দের মানুষটির সঙ্গে ছোট ডিঙিতে ভাসতে ভাসতে নাম-না জানা দ্বীপ আবিষ্কার করার রোমাঞ্চই তখন মনে ঝড় তুলেছে। কেউ কোথাও নেই।

জনমানবহীন তেমন সব দ্বীপে কি সত্যিই ঘুরতে যাওয়া যায়? সেখানে যেতে কি খুব খরচ হবে? দেশের চারপাশেই এমন অসংখ্য ছোট-বড় দ্বীপপুঞ্জ রয়েছে। কিন্তু পাহাড়, জঙ্গল, সমুদ্র ছেড়ে সে সব দ্বীপে ঘুরতে যাওয়ার কথা খুব কম পর্যটক ভাবেন। তবে প্রথম বার দ্বীপে ঘুরতে যাওয়ার কথা ভাবছেন যাঁরা, তাঁদের তালিকায় থাকতেই পারে পাঁচটি জায়গা। 

১) মাজুলি দ্বীপ বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ হল মাজুলি। আসামের এই দ্বীপ থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য মনে থেকে যাবে চিরকাল। মাজুলিতে যাওয়ার সেরা সময় অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর। গুয়াহাটি থেকে জলপথে পৌঁছনো যায় এই দ্বীপে। চাইলে এখানকার ‘ব্যাম্বু কটেজ’-এ রাতও কাটানো যায়।

 ২) দিউ দ্বীপ আরব সাগরের তীরে অবস্থিত এই দ্বীপে এক সময়ে পর্তুগিজদের রাজত্ব ছিল। এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য মনে থেকে যাবে অনেক দিন। দিউ দ্বীপে যাওয়ার সেরা সময় হল অক্টোবর থেকে জানুয়ারি। এখানে এলে ঘুরে দেখতে পারেন দিউ দুর্গ, গঙ্গেশ্বর মন্দির, ঝিনুকের সংগ্রহশালা এবং বহু পুরনো একটি চার্চ। এখানে একাধিক বিচ রয়েছে। তবে একটি রাত যদি বিলাসবহুল রিসর্টে কাটাতে চান, যেতে হবে নাগোয়া বিচে।

৩) সেন্ট মেরিস্‌ দ্বীপ চারটি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে তৈরি এই সেন্ট মেরিস্‌ দ্বীপ। ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি, এই দুটি মাস সেন্ট মেরিস্‌ দ্বীপে যাওয়ার আদর্শ সময়। চাইলে ঘুরে দেখা যায় এখানকার নারকেলের বাগান। তবে এখানে থাকার কোনও ব্যবস্থা নেই। কর্নাটকের মালপে থেকে নৌকা করে ঘুরে আসা যায়।

 ৪) লক্ষদ্বীপ জলপথে বা আকাশপথে এ দেশের ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত এই কেন্দ্রশাসিত দ্বীপটি। মে থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ঘুরতে যাওয়া যায় এই দ্বীপে। দেখতে পারেন কাভারাত্তি আইল্যান্ড মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম, মিনিকয় এবং অগাত্তি দ্বীপ।

৫) হ্যাভলক দ্বীপ ভারতের শ্রেষ্ঠ প্রবাল আইল্যান্ড হল হ্যাভলক। আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে আয়তনের সবচেয়ে বড় এটি। ফেব্রুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে ঘুরতে যেতে পারেন। সেখানে একাধিক সমুদ্র সৈকত রয়েছে। সেগুলি ঘুরে দেখে নিতে পারেন। নিজের চোখে জলের তলায় প্রবাল প্রাচীর দেখতে চাইলে ‘স্কুবা ডাইভ’ করতে পারেন।

আরো পড়ুন      জীবনী  মন্দির দর্শন  ইতিহাস  ধর্ম  জেলা শহর   শেয়ার বাজার  কালীপূজা  যোগ ব্যায়াম  আজকের রাশিফল  পুজা পাঠ  দুর্গাপুজো ব্রত কথা   মিউচুয়াল ফান্ড  বিনিয়োগ  জ্যোতিষশাস্ত্র  টোটকা  লক্ষ্মী পূজা  ভ্রমণ  বার্ষিক রাশিফল  মাসিক রাশিফল  সাপ্তাহিক রাশিফল  আজ বিশেষ  রান্নাঘর  প্রাপ্তবয়স্ক  বাংলা পঞ্জিকা