রুদ্রাক্ষের অজানা গুনাবলী ও ধরন

রুদ্রাক্ষের অজানা গুনাবলী ও ধরন

আজবাংলা   রুদ্রাক্ষ হল 'এলাইওকার্পাস গণিট্রাস' গাছের বীজ এবং এটি আধ্যাত্মিক সাধকের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  যা পাহাড়ে অনেক উচ্চতায় পাওয়া যায়। বলা হয় রুদ্রাক্ষ ভগবান শিবের চোখের জলের থেকে সৃষ্টি হয়। এই রুদ্রাক্ষ অসাধারণ গুনে ভরা। মুনি ঋষিরা যারা হিমালয়ের পাহাড়ে ধ্যান করেন তারা রুদ্রাক্ষের বহু গুনের ব্যাপারে পরিচিত।

হিমালয় অঞ্চলে গাছ কাটার ফলে আজকাল রুদ্রাক্ষের উৎপাদন কমে গেছে তাই দিনকে দিন এর চাহিদাও বাড়ছে। দুর্ভাগ্যক্রমে এই গাছগুলির বেশিরভাগই রেললাইনের স্লিপার তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়েছে, তাই ভারতে এদের খুব কমই আর অবশিষ্ট রয়েছে। বর্তমানে এগুলি বেশিরভাগ নেপাল, বার্মা, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ায় পাওয়া যায়।

 এগুলো দক্ষিণ ভারতের পশ্চিম ঘাটের কিছু অঞ্চলে রয়েছে কিন্তু সর্বোচ্চ মানের রুদ্রাক্ষ আসে হিমালয়ের একটি নির্দিষ্ট উচ্চতা থেকে। রুদ্রাক্ষ মালার বহু গুণাগুণ আছে। ঋষি, মুনি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও রুদ্রাক্ষ ধারণ করে থাকেন রুদ্রাক্ষের গুণের ফল পেতে। আসুন যেনে নেই রুদ্রাক্ষের কিছু গুণ সম্পর্কে।

১. চারমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে তা আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। বৃষচক কামড়ালে, রুদ্রাক্ষ কামড়ানোর জ্বালা থেকে মুক্তি দেয়। রুদ্রাক্ষটি কোনো শক্ত জায়গাতে ঘষে তারপর তার মধ্যে জল দিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে যদি কামড়ানোর জায়গাতে লাগানো যায় তাহলে কামড়ানোর জ্বালার অবসান ঘটে। খুবই তাড়াতাড়ি আমরা ভালো বোধ করি।

২. আমাদের হার্ট বিট এবং রক্তের চলাচলের ফলে একটা চৌম্বক শক্তির সৃষ্টি করে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। রুদ্রাক্ষে ডাইমাগ্মেটিজমের বৈশিষ্ট্য আছে। এর ফলে হার্টের ধমনী এবং শিরার মধ্যে রক্ত চলাচলকে বাড়িয়ে দেয়।

৩. এইটা সত্যি যে অনেক সময় কয়েকজন মানুষ অশুভ শক্তির সাহায্য নেয় অন্য মানুষের ক্ষতির জন্য। রুদরাক্ষের মালা ধারণ করলে আমাদের  সুরক্ষা কবজ হয়ে দাঁড়ায় রুদ্রাক্ষ। অথর্ব বেদে বলা আছে যে নেতিবাচক শক্তির ব্যাপারে আর এমন অনেক মানুষই আছে যারা অন্যদের ক্ষতি করার জন্য মুখিয়ে থাকেন।রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে অশুভ শক্তি আমাদের থেকে দূরে সরে যায়। তার ফলে আমরা এইসব অশুভ শক্তির কোপ থেকে রেহাই পাই।

৪. রুদ্রাক্ষের মধ্যে রয়েছে চুম্বকীয় শক্তি যা আমাদের শরীরে অনুভূমিক কম্পন পাঠায়। এই কম্পনের ফলে আমাদের শরীরে কিছু ইমপালস তৈরি হয়। তারফলে আমাদের ব্রেন কিছু কেমিক্যাল সৃষ্টি করে যা আমাদের বেশ কিছু শরীরের রোগ নিজে থেকেই সারাতে সাহায্য করে খুব তাড়াতাড়ি। এই কারণের জন্য রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে আমাদের শরীর এবং মন ভালো লাগতে শুরু করে।

৫. মুনি ঋষিরা অনেক উঁচু পাহাড় অঞ্চলে ধ্যান করে থাকেন। ওইসব উঁচু জায়গাতে প্রায়শই বিষাক্ত গ্যাস মিশে থাকে জল এবং ফল বা খাবারের মধ্যে। ওইসব বিষাক্ত গ্যাসে ভরা জল বা খাবার খেলে আমাদের শরীর খারাপ হতে বাধ্য। রুদ্রাক্ষ শুদ্ধ এবং বিষাক্ত জলের মধ্যে পার্থক্য করতে সাহায্য করে।জলের বা খাবারের মধ্যে রুদ্রাক্ষ দিলে যদি রুদ্রাক্ষটি দক্ষিণাবর্তে ঘোরে রুদ্রাক্ষটি তার মানে জলটিতে বা খাবারে কোনো রকেমের বিষ নেই। আবার রুদ্রাক্ষটি বামাবর্তে ঘুরলে বুঝতে হবে যে খাবারটি বিষাক্ত।

আরো পড়ুন      জীবনী  মন্দির দর্শন  ইতিহাস  ধর্ম  জেলা শহর   শেয়ার বাজার  কালীপূজা  যোগ ব্যায়াম  আজকের রাশিফল  পুজা পাঠ  দুর্গাপুজো ব্রত কথা   মিউচুয়াল ফান্ড  বিনিয়োগ  জ্যোতিষশাস্ত্র  টোটকা  লক্ষ্মী পূজা  ভ্রমণ  বার্ষিক রাশিফল  মাসিক রাশিফল  সাপ্তাহিক রাশিফল  আজ বিশেষ  রান্নাঘর  প্রাপ্তবয়স্ক  বাংলা পঞ্জিকা