দুধের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে যে যে উপকারিতা পাবেন

আদিকাল থেকেই মধু চিকিত্সার কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে শরীরে বেশ উপকার পাওয়া যায়। মধু দুধের সঙ্গে গেলে মিষ্টির অভাব যেমন মিটে তেমনি বাড়তি ক্যালরিও যোগ হয় না। এছাড়া দুধ ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে বার্ধক্য রোধ করা খুব সহজ হয়। মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাংগাল উপাদান।
দুধের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, ডি। রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রাণিজ প্রোটিন ও ল্যাকটিক অ্যাসিড। দুধ আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে অনেকরকম উপকার হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে এটি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায়ও ব্যবহার করা হয়ে আসছে। মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাংগাল উপাদান। দুধের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, ডি। ফলে এই দুটির মিশ্রণ স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী হয়।
ভালো ঘুম হয়:–রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম দুধের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে রাতে ঘুমটা গভীর ও শান্তির হয়। ঘুমের পর শরীর সতেজ হয়, কর্মোদ্যম ফিরে পাওয়া যায়।
হাড়ের জন্য ভালো:–দুধের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম। আর মধুর মধ্যে রয়েছে রোগ নিরাময়কারী উপাদান। তাই দুধ ও মধুর মিশ্রণ হাড়ের জন্যও ভালো। এটি হাড়কে শক্তিশালী করে এবং ক্ষয়রোধে সাহায্য করে।
ফুসফুসের জন্য ভালো:– মধুর সঙ্গে দুধ পান করা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা প্রতিরোধের কার্যকর একটি উপায়। উষ্ণ পানীয়টি শ্বাসনালীর সংক্রমণ কমাতে সহায়তা করে। গলা ব্যথার ক্ষেত্রেও দুধ-মধুর মিশ্রণ একটি কার্যকর প্রতিকার।
মনোযোগ বাড়ায়:– মধু মস্তিষ্কে ভালো প্রভাব ফেলে। আর দুধ মস্তিষ্ককে কর্মক্ষয় রাখতে সাহায্য করে। সুতরাং দুধ ও মধুর মিশ্রণটি খেলে মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করবে।
হজম ভালো করে:– পেট ফোলা ভাব বা হজমের সমস্যা হলে গরম দুধ ও মধুর মিশ্রণ খেয়ে দেখতে পারেন। এটি পাকস্থলী থেকে গ্যাস বের করে দিতে সাহায্য করে এবং পেট ব্যথা কমায়।
বার্ধক্য রোধ করে তারুণ্যেকে ধরে রাখে:– বার্ধক্যকে রোধ করতে বিশেষ সহায়তা করে দুধ ও মধু। তারুণ্যকে ধরে রাখার জন্যও এই খাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ। গরম দুধ এবং মধুকে 'জীবনী সুধা' বলা হয়। গ্রিক, রোমান, মিশরীয় এবং অনেক ভারতীয়দের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য নিয়মিত গরম দুধ এবং মধু পান করতেন। শুধু তাই নয় এটি আপনাকে দীর্ঘায়ু করতে সাহায্য করে।অনেকে মনে করেন, দুধের সঙ্গে মধু মেশালে তা বিষাক্ত হয়ে ওঠে।
কিন্তু এই ধারণাটি সঠিক নয়। উচ্চ তাপমাত্রায় (১৪০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বেশি) মধু গরম করা হলে তা থেকে এইচএমএফ নামক এক প্রকার বিষাক্ত রাসায়নিক নির্গত হতে পারে। কিন্তু তা দুধে মেশালেও পানীয়টির তাপমাত্রা ১৪০ ডিগ্রির চেয়েও অনেক কম থাকে। তারপরও মধু গরম না করাই ভালো। দুধ ফুটিয়ে এতে মধু যোগ করার আগে ১০ মিনিট ধরে ঠান্ডা হতে দিন।
• শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়াতেও এটি সাহায্য করে। মনে রাখতে হবে এই মিশ্রণটি একাধিক প্রোটিনের সমাহার। যা শরীরে শক্তি যোগায়। আপনাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
• এই মিশ্রণ আপনার হাড়ের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া, এতে হজমও ভাল হয় বলে দাবি করেছেন চিকিৎসকরা। এটি হজমশক্তি বাড়ায়।
• মধুকে বলা হয় ‘জীবন সুধা’। আদি কাল থেকে এটি অনেকে ব্যবহার করে আসছেন। ফলে আপনি এটি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন। এতে দ্রুত বার্ধক্যে সম্ভাবনা রোধ করা যায়।
• এছাড়া, দুধ ও মধুর মিশ্রণ খেলে ত্বকের উজ্জ্বল্য বাড়ে। প্রাকৃতিক উপায়ে উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার এটি একটি ভেষজ ওষুধের মতোই বলা যায়।
আরো পড়ুন জীবনী মন্দির দর্শন ইতিহাস ধর্ম জেলা শহর শেয়ার বাজার কালীপূজা যোগ ব্যায়াম আজকের রাশিফল পুজা পাঠ দুর্গাপুজো ব্রত কথা মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগ জ্যোতিষশাস্ত্র টোটকা লক্ষ্মী পূজা ভ্রমণ বার্ষিক রাশিফল মাসিক রাশিফল সাপ্তাহিক রাশিফল আজ বিশেষ রান্নাঘর প্রাপ্তবয়স্ক বাংলা পঞ্জিকা