বেণীমাধব বড়ুয়া: বাঙালি ভারততত্ত্ববিদ, পালি ও বৌদ্ধশাস্ত্রে পণ্ডিত বেণীমাধব বড়ুয়া

বেণীমাধব বড়ুয়া (Benimadhab Barua) একজন ভারতীয় ভারততত্ত্ববিদ, পালি ও বৌদ্ধশাস্ত্রে পণ্ডিত যিনি প্রথম প্রাচ্যীয় পদ্ধতিতে বৌদ্ধ দর্শন ও প্রাচীন লিপি নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি সেই সমস্ত কতিপয় এশীয়দের মধ্যে একজন যিনি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ডি-লিট ডিগ্রি লাভ করেছেন।
তাঁর জ্ঞান সাধনা ও প্রজ্ঞার আলোয় ভারতবর্ষ আলোকিত হয়েছে৷ ১৮৮৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশের চট্টগ্রামের রাউজান থানার মহামুনি পাহাড়তলী গ্রামে বেণীমাধব বড়ুয়ার জন্ম হয় । তাঁর বাবার নাম রাজচন্দ্র তালুকদার এবং মায়ের নাম ধনেশ্বরী দেবী৷ তাঁর বাবা ছিলেন পেশায় কবিরাজ।
তাঁদের একাদশ সন্তানের মধ্যে বেণীমাধব ছিলেন চতুর্থ সন্তান এবং পুত্রদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ সন্তান৷ বেণীমাধব বড়ুয়ার প্রাথমিক পড়াশোনা শুরু হয় ১৮৯৪ সালে ছয় বছর বয়সে গ্রামের মডেল স্কুলে। স্কুলে ভর্তির সময় পারিবারিক পদবী ‘তালুকদার’-এর পরিবর্তে ‘বেণীমাধব বড়ুয়া’ রাখা হয়।
এই স্কুল থেকেই তিনি ১৯০২ সালে মিডল ইংলিশ (এম ই) পরীক্ষায় পাশ করেন। বাবা রাজচন্দ্র তালুকদার এবং পিতৃতুল্য ধনঞ্জয় তালুকদারের প্রেরণায় তিনি ১৯০২ সালে চট্টগ্রাম শহরের কলেজিয়েট স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হন। ১৯০৬ সালে তিনি ঐ স্কুল থেকে দ্বিতীয় বিভাগে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। সেই বছর তিনি চট্টগ্রাম কলেজে এফ. এ. পড়ার জন্য ভর্তি হন।
বেণীমাধব বড়ুয়ার ছেলেবেলা ও কৈশোরে মহামুনি পাহাড়তলী গ্রাম থেকে বৌদ্ধ শিক্ষা, ধর্ম আন্দোলন ও সাংস্কৃতিক বিকাশে এক নতুন ভাবধারার উদ্ভব হয়েছিল। মডেল স্কুলের বিপরীতে ছিল প্রায় দেড়শো বছর প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দির মহানন্দ বিহার।
প্রচলিত ভাষায় লালমোহন ঠাকুর নামে পরিচিত এই বিহারের অধ্যক্ষ জ্ঞানালঙ্কার মহাস্থবির ছিলেন বেণীমাধব বড়ুয়ার বংশের পারিবারিক ধর্মীয় গুরু। ১৯৩১ সালে প্রকাশিত বেণীমাধবের ‘Gaya and Buddha Gaya’ গ্রন্থটিতে তিনি জীবনে পথনির্দেশের জন্য জ্ঞানালঙ্কার মহাস্থবিরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বেণীমাধব ১৯০৮ সালে দ্বিতীয় বিভাগে এফ. এ. পাশ করেন। সেই সময় তাঁর লেখাপড়ার সম্পূর্ণ খরচ চালাতেন ধনঞ্জয় তালুকদার এবং তাঁর স্ত্রী শশীকুমারী। পরবর্তীকালে বেণীমাধব তাঁর মধ্যমনিকা গ্রন্থের উৎসর্গপত্রে এই প্রসঙ্গে লিখেছেন, “যিনি আমার বাল্যে ও কৈশোরে পুত্রবৎ পালন করিয়া তাঁহার সর্বস্ব দিয়া আমার জীবনধারা নিয়ন্ত্রিত করিয়াছিলেন সেই পিতৃতুল্য পরমারাধ্য খুল্লতাত ধনঞ্জয় তালুকদার এবং…
সেই জননীস্বরুপা পরমারাধ্যা স্বর্গতা খুল্লমাতা শশীকুমারী দেবীর চরণোদ্দেশে এই অনুবাদ গ্রন্থখানি সশ্রদ্ধে উৎসর্গীকৃত হইল।” বেণীমাধব এফ. এ. পাশ করার পর ধনঞ্জয় তালুকদারের আকস্মিক মৃত্যু হলে বেণীমাধবের পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য তাঁর দাদা কানাইলাল রেঙ্গুনে সাঙ্গুভেলী টী কোম্পানীর চাকরিতে যুক্ত হন এবং বেণীমাধবের উচ্চশিক্ষার খরচ বহন করেন৷ এফ. এ. পাশ করার পর বেণীমাধব কলকাতায় এসে স্কটিশ চার্চ কলেজে বি. এ. ক্লাসে ভর্তি হন।
সেই সময় স্কটিশ চার্চ কলেজে পালি পড়বার ব্যবস্থা না থাকায় তাঁকে পালি ভাষায় অনার্স পড়বার জন্য প্রেসিডেন্সি কলেজে আসতে হত৷ তিনি ১৯১১ সালে বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকে পালি ভাষায় অনার্স সহ দ্বিতীয় শ্রেনীতে বি. এ. পাশ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পালি ভাষায় এম. এ. পড়তে শুরু করেন। ১৯১৩ সালে তিনি এম. এ. তে প্রথম শ্রেনীতে প্রথম হয়ে স্বর্ণপদক লাভ করেন।
এম. এ. পাশ করার এক বছর পরে বৌদ্ধ ধর্মাঙ্কুর বিহারের প্রতিষ্ঠাতা কৃপাশরণ মহাস্থবির এবং স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ভারত সরকার তাঁকে ‘অ্যান অ্যানুয়াল ষ্টেট স্কলারশিপ ফর দ্য সায়েন্টিফিক স্টাডি অফ পালি ইন ইউরোপ’ নামক রাষ্ট্রীয় বৃত্তি মঞ্জুর করলে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ড যাত্রা করেন এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক ছাত্র হিসাবে যোগ দেন।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে ‘ইন্ডিয়ান ফিলোসফি – ইটস অরিজিন অ্যান্ড গ্রোথ ফ্রম বেদাস টু দ্য বুদ্ধ’ নামক বেদ পরবর্তী সংস্কৃত ভাষার ওপর একটি বই লেখার ভার দেওয়া হয়৷ তাঁর এই বই রচনা শেষ হলে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি. লিট উপাধি লাভ করেন।
বেণীমাধব বড়ুয়াবেণীমাধবের ছেলেবেলা ও কৈশোরে মহামুনি পাহাড়তলী গ্রাম থেকে বৌদ্ধ শিক্ষা, ধর্ম আন্দোলন ও সাংস্কৃতিক বিকাশে এক নতুন ভাবধারার উদ্ভব হয়েছিল। মডেল স্কুলের বিপরীতে ছিল প্রায় দেড়শো বছর প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দির মহানন্দ বিহার। প্রচলিত ভাষায় লালমোহন ঠাকুর নামে পরিচিত এই বিহারের অধ্যক্ষ জ্ঞানালঙ্কার মহাস্থবির ছিলেন বেণীমাধব বড়ুয়ার বংশের পারিবারিক ধর্মীয় গুরু।
১৯৩১ সালে প্রকাশিত বেণীমাধবের ‘Gaya and Buddha Gaya’ গ্রন্থটিতে তিনি জীবনে পথনির্দেশের জন্য জ্ঞানালঙ্কার মহাস্থবিরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বেণীমাধব ১৯০৮ সালে দ্বিতীয় বিভাগে এফ. এ. পাশ করেন। সেই সময় তাঁর লেখাপড়ার সম্পূর্ণ খরচ চালাতেন ধনঞ্জয় তালুকদার এবং তাঁর স্ত্রী শশীকুমারী।
পরবর্তীকালে বেণীমাধব তাঁর মধ্যমনিকা গ্রন্থের উৎসর্গপত্রে এই প্রসঙ্গে লিখেছেন, “যিনি আমার বাল্যে ও কৈশোরে পুত্রবৎ পালন করিয়া তাঁহার সর্বস্ব দিয়া আমার জীবনধারা নিয়ন্ত্রিত করিয়াছিলেন সেই পিতৃতুল্য পরমারাধ্য খুল্লতাত ধনঞ্জয় তালুকদার এবং…সেই জননীস্বরুপা পরমারাধ্যা স্বর্গতা খুল্লমাতা শশীকুমারী দেবীর চরণোদ্দেশে এই অনুবাদ গ্রন্থখানি সশ্রদ্ধে উৎসর্গীকৃত হইল।”
বেণীমাধব এফ. এ. পাশ করার পর ধনঞ্জয় তালুকদারের আকস্মিক মৃত্যু হলে বেণীমাধবের পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য তাঁর দাদা কানাইলাল রেঙ্গুনে সাঙ্গুভেলী টী কোম্পানীর চাকরিতে যুক্ত হন এবং বেণীমাধবের উচ্চশিক্ষার খরচ বহন করেন৷ এফ. এ. পাশ করার পর বেণীমাধব কলকাতায় এসে স্কটিশ চার্চ কলেজে বি. এ. ক্লাসে ভর্তি হন।
সেই সময় স্কটিশ চার্চ কলেজে পালি পড়বার ব্যবস্থা না থাকায় তাঁকে পালি ভাষায় অনার্স পড়বার জন্য প্রেসিডেন্সি কলেজে আসতে হত৷ তিনি ১৯১১ সালে বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকে পালি ভাষায় অনার্স সহ দ্বিতীয় শ্রেনীতে বি. এ. পাশ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পালি ভাষায় এম. এ. পড়তে শুরু করেন।
১৯১৩ সালে তিনি এম. এ. তে প্রথম শ্রেনীতে প্রথম হয়ে স্বর্ণপদক লাভ করেন। এম. এ. পাশ করার এক বছর পরে বৌদ্ধ ধর্মাঙ্কুর বিহারের প্রতিষ্ঠাতা কৃপাশরণ মহাস্থবির এবং স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ভারত সরকার তাঁকে ‘অ্যান অ্যানুয়াল ষ্টেট স্কলারশিপ ফর দ্য সায়েন্টিফিক স্টাডি অফ পালি ইন ইউরোপ’ নামক রাষ্ট্রীয় বৃত্তি মঞ্জুর করলে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ড যাত্রা করেন এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক ছাত্র হিসাবে যোগ দেন।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে ‘ইন্ডিয়ান ফিলোসফি – ইটস অরিজিন অ্যান্ড গ্রোথ ফ্রম বেদাস টু দ্য বুদ্ধ’ নামক বেদ পরবর্তী সংস্কৃত ভাষার ওপর একটি বই লেখার ভার দেওয়া হয়৷ তাঁর এই বই রচনা শেষ হলে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি. লিট উপাধি লাভ করেন।
লন্ডন থেকে কলকাতায় ফেরার পর বেণীমাধব বড়ুয়া কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের লেকচারার পদে নিযুক্ত হন । পাশাপাশি প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দায়িত্বও নেন তিনি। ১৯২১ সালে স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বেণীমাধবের গবেষণাপত্রটিকে ‘আ হিষ্ট্রি অফ প্রি-বুদ্ধিস্টিক ইন্ডিয়ান ফিলোসফি’ নামে প্রকাশের ব্যবস্থা করেন।
এই বইয়ে অমোঘবর্মণ ও মহিদাস ঐতরেয় সম্পর্কে তিনি মৌলিক মূল্যায়ন করেছিলেন। কয়েক বছর পর তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সংস্কৃত বিভাগের জন্যও অধ্যাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার কয়েক বছর পরে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের পদে উন্নীত করা হয়।
পালি ভাষার বি. এ. এবং এম. এ. কোর্সের সিলেবাসের সংস্কার বেণীমাধব বড়ুয়ার অন্যতম কীর্তি। তিনি সংস্কৃত ও পালি ভাষার সঙ্গে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাস, ভূগোল, বহির্ভারতে বৌদ্ধশাস্ত্র, বৌদ্ধধর্ম, দর্শন, শিল্পকলা, মূর্তিতত্ত্ব ও সংস্কৃতির সমন্বয় সাধন করে এক নতুন যুগোপযোগী সিলেবাস তৈরী করেছিলেন৷
বেণীমাধব রেঙ্গুন, কলম্বো, ঢাকা, বোম্বাই (বর্তমানে মুম্বাই), এলাহাবাদ, বেনারস (বর্তমানে বারাণসী) এবং লখনউয়ের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাগত পরীক্ষক হিসাবে বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। বেণীমাধব রচিত বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল, ‘ আ হিস্ট্রি অফ প্রি বুদ্ধিস্ট ইন্ডিয়ান ফিলোজফি’, ‘ আ প্রোলেগোমেনা টু হিস্ট্রি অফ বুদ্ধিস্ট ফিলোজফি'( ১৯১৮), ‘ আ হিস্ট্রি অফ প্রি বুদ্ধস্টিক ইন্ডিয়ান ফিলোজফি'(১৯২১),
‘ দ্য আজিভিকাস (১৯২১), ‘ প্রাকৃত ধর্মপদ ‘ (বইটি শৈলেন্দ্রনাথ মিত্রের সঙ্গে যুগ্মভাবে তিনি রচনা করেছিলেন), ‘ অশোকা অ্যান্ড হিস ইন্সপিরেশন (১৯৪৬), ব্রহ্মচারী কুলান্দানা অ্যান্ড হিস গুরু বিজয় কৃষ্ণা গোস্বামী’ (১৯৩৮), ‘ ফিলোজফি অফ প্রোগ্রেস (১৯৪৮) ইত্যাদি।
এ ছাড়া তাঁর একশোটিরও বেশী প্রবন্ধ এবং বিভিন্ন বক্তৃতা নানা জার্নালে প্রকাশ পেয়েছে। বাংলা ভাষায় প্রথম বৌদ্ধশাস্ত্র চর্চার পত্রিকা ‘জগজ্জ্যোতি’ প্রকাশিত হয়েছিল ১৯০৮ সালে। উদ্যোক্তা ছিলেন কৃপাশরণ মহাস্থবির এবং সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন বৌদ্ধশাস্ত্রবিদ গুণালঙ্কার মহাস্থবির ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালিভাষার অধ্যাপক সমণ পুণ্ণানন্দ।
পরবর্তীকালে এই পত্রিকাটির সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন বেণীমাধব। ১৯১২ সালে বাংলা ভাষায় তিনি পালি গ্রন্থ ‘ লোকান্তি’ অনুবাদ করেন। এছাড়া বাংলাভাষায় লিখিত ‘ বৌদ্ধপরিনয়’, ‘মধ্যম নিকয়’ , ‘বৌদ্ধ গ্রন্থকোষ’ তাঁর লিখিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।
বেণীমাধব বড়ুয়া বেশকিছু সামাজিক সংগঠন এবং সামাজিক কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি তাঁর সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলিতে আর্থিকভাবে সাহায্য এবং আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষদের সাহায্য ও ত্রাণ সরবরাহ করার চেষ্টা করতেন সবসময়৷ এমনকি মেধাবী ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয় তাদের কর্মজীবন যাতে কোন ভাবেই বিঘ্নিত না হয় সেই উদ্দেশ্য আর্থিক সাহায্য বৃত্তি হিসেবে প্রদান করতেন৷
তবে তিনি বরাবরই ছিলেন প্রচার বিমুখ৷ তাঁর মৃত্যুর পর অফিসঘর পরিষ্কার করার সময় সেই সব বৃত্তি প্রদানের রসিদ পাওয়া যায়। বেণীমাধব বড়ুয়া ছিলেন রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গলের ফেলো এবং বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ কলকাতা ও ভারতের মহাবোধী সোসাইটির সদস্য।
তিনি ভারতীয় সংস্কৃতি, বৌদ্ধ ভারত, জগজ্জ্যোতি এবং বিশ্ববাণী সম্পাদনা করেছিলেন। বৌদ্ধ গবেষণায় তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৪৪ সালে তাঁকে ‘ত্রিপিটকচার্য’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। এশিয়াটিক সোসাইটি তাঁকে বিমলচরণ লাহা স্বর্ণপদক প্রদান করেছে। ১৯৪৮ সালের ২৩ মার্চ কলকাতাতে বেণীমাধব বড়ুয়ার মৃত্যু হয়৷