প্রকাশ্যে এল বীরভূমের ভোলে ব্যোম চালকলের দলিল

প্রকাশ্যে এল বীরভূমের ভোলে ব্যোম চালকলের দলিল

গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের নতুন সম্পত্তির হদিস পেল সিবিআই। সূত্রের খবর, বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তির দিকে নজর দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বোলপুরের কালিকাপুর এলাকায় ভোলে ব্যোম চালকল এমনই একটি সম্পত্তি। শুক্রবার সকাল থেকে সেখানে তল্লাশি চালিয়ে নথিপত্রের খোঁজ করছে সিবিআই।

নজরে ওই চালকল প্রাঙ্গণে মেলা পাঁচটি দামি গাড়িও। কিন্তু ওই চালকল কার? প্রকাশ্যে এসেছে এই সংক্রান্ত নথি।  জানা গিয়েছে, ৪৫ বিঘা জমির উপর তৈরি এই চালকলটি কেনা হয় ২০১৩ সালে। সূত্রের খবর, ওই চালকল বিক্রি করতে আগের মালিককে এক প্রকার বাধ্য করা হয়। ব্যবসা চালাতে না পেরে বাধ্য হয়েই নাকি কলটি বিক্রি করে দেন তিনি।

আর দলিল থেকে দেখা যাচ্ছে, বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকার বাসিন্দা অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী ছবি এবং অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যার নামে এই সম্পত্তি কেনা হয় আট লক্ষ টাকায়। স্ত্রীর মৃত্যুর পর নিয়ম অনুযায়ী ওই সম্পত্তি এখন অনুব্রত ও তাঁর মেয়ের। সূত্রের খবর, দু’মাস ধরে চালকল বন্ধ। তার আগে কারবারের দেখাশোনা করতেন অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যা।

যিনি একাধারে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকাও বটে। সুকন্যার ফেসবুক প্রোফাইল থেকেও এই ভোলে ব্যোম চালকলের ছবি দেখা গিয়েছে। ফলত, এই চালকল যে অনুব্রতেরই, তা তদন্তকারীদের কাছে এক প্রকার স্পষ্ট। এখন দেখার এখান থেকে কোন কোন নথি উদ্ধার হয়েছে। এলাকার অনেকেই বলছেন, পুরনো মালিকেরা মিল চালাতে পারছিলেন না, তা এক প্রকার বাধ্য হয়েই তা বিক্রি করে দেন। তবে বল পূর্বক অপেক্ষাকৃত কম দামে মিল কিনে নেওয়া হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে।

আরও জানা গিয়েছে, গত ২ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে মিলের কাজ। কোনও উৎপাদন আপাতত হচ্ছে না সেখানে। কী কারণে বন্ধ মিল, তা স্পষ্ট নয়। এ দিন সকালে যখন সিবিআই আধিকারিকরা মিলে যান, তখন ভিতরে ছিলেন নিরাপত্তারক্ষী ও বেশ কয়েকজন কর্মী। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন বিষয়ে জানার চেষ্টা করছেন আধিকারিকরা। প্রথমে কেউ দরজা না খোলায় প্রায় ৪০ মিনিট দরজার বাইরে অপেক্ষা করতে হয় আধিকারিকদের। মিলে ঢুকে এ দিন তাঁরা দেখেন মিলের পিছনের দিকে একটি গ্যারাজে পরপর দাঁড়িয়ে রয়েছে একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি। গাড়িগুলি কার, কী কাজে ব্যবহার করা হত, তা জানার চেষ্টা করছে সিবিআই।