বিষ্ণুপুর |বাঁকুড়ার অন্যতম মন্দিরের শহর Bishnupur

বিষ্ণুপুর |বাঁকুড়ার অন্যতম মন্দিরের শহর Bishnupur

রাঢ়বঙ্গের কেন্দ্রে অবস্থিত বাঁকুড়া জেলার আয়তনে,পশ্চিমবাংলার জেলাগুলির মধ্যে চতুর্থ বৃহতম।সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে জেলাটি একসময় মধ্যবাংলার মধ্যমনি ছিল।বীর হাম্বীর প্রথমে শৈব ছিলেন,পরে অর্থাত্ ষোড়শ শতকের শেষে বৈষ্ণবধর্ম গ্রহন করেন।তবে বাঁকুড়া জেলা প্রাচীনকাল থেকেই বিষ্ণুর উপাসক;তার প্রমান শুশুনিয়া শিলালিপিতে পাওয়া যায়।যদিও বাঁকুড়া থেকে বাসুদেব,সূর্য, ও ব্রম্ভার মূর্তি পাওয়া যায়,তবে ও সংস্কৃতির বিস্তার ঘটেছিল।পশ্চিমবাংলার রাঢ়ে,যে অঞ্চলে বাঁকুড়া অন্তর্গত আর্যসভ্যতা অনেক পরে এসেছিল।

গভীর অরন্যে পরিপূর্ন এই অঞ্চল মল্ল রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় সমৃদ্ধশালী হয়ে ওঠে।বিষ্ণুপুরের মন্দিরে পোড়ামাটিরঁ ছাঁচে ঢালা অশ্বারোহী আর ধনুর্বানধারী মল্ল রাজাদের চিত্র প্রাচীন বাংলার শৌর্য্যময় অতীতের কথা স্মরন করিয়ে দেয়।এই মল্লরাজাদের প্রতাপে স্বয়ং দিল্লীর বাদশাহ পর্য্যন্ত ভীত ছিলেন।বাংলাদেশের সীমান্তে প্রহরীর মত বিষ্ণুপুর রাজ্য পশ্চিমের আক্রমনকারীকে শতাব্দীর পর শতাব্দী টিকিয়ে রেখেছিল। একদা মল্লভূম রাজ্যর রাজধানীর নাম, বিষ্ণুপুর। মল্লভূম বলতে বাঁকুড়া, বর্ধমান, মেদিনীপুর, কিছুটা মুর্শিদাবাদ আর বিহারের ছোটনাগপুরের অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।

চিত্রকর যামিনী রায় এই দেশেই জন্মেছিলেন। লালমাটির পথের বাঁকে বাঁকে শুধুই ইতিহাস আর মন্দির। মন্দিরনগরী বললেও ভুল হবে না। শুধু মন্দির কেন? রয়েছে দিঘিও। এখানকার প্রতিটি মন্দিরে অসাধারণ টেরাকোটার কাজ দেখতে সারা বিশ্বের প্রচুর পর্যটক ছুটে আসেন। স্টেশনে নেমে অটো অথবা রিকশায় চলে আসা যায়। শহর আধুনিক হয়েছে। বেড়েছে কলেবর। সাবেক গ্রাম উধাও। উধাও লালমাটির মোরাম বিছানো পথ। যদিও রাস্তার দু’পাশে তা আজও উঁকি দেয়। 

কলকাতা থেকে মাত্র ২৫৭ কিমি দূরত্বে প্রাচীন মল্লভূমের রাজধানী ও মন্দিরের শহর বিষ্ণুপুর। ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান হয়ে গেলে হঠাৎ করে যাওয়া যেতেই পারে বিষ্ণুপুর। এবার আমাদের বেড়ানোর কেন্দ্রবিন্দু হল শিল্প সংস্কৃতি ও সঙ্গীতের পীঠস্থান তথা প্রাচীন ইতিহাস আর উপকথার শহর বিষ্ণুপুর। বাঁকুড়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্থান হল বিষ্ণুপুর। বিষ্ণুপুরে প্রায় ৬২ জন রাজা শাসনকার্য চালিয়েছিলেন।

এদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিলেন আদি মল্ল, জগৎমল্ল, বীরহাম্বি,রঘুনাথ সিংহ প্রমুখ রাজা। এখানকার মন্দির'গুলির দেওয়ালে অসামান্য টেরাকোটার শিল্প নিদর্শন দেখতে সারা বিশ্ব থেকে ভ্রমনার্থী'রা ছুটে আসেন। কোনও মন্দিরের দেওয়ালে পাবেন প্রেমের নিদর্শন, আবার কোনোটায় বা আছে মহাভারতের ঘটনাবলী বা শিকারের ঘটনা। বিশ্বের বহু মানুষ এই টেরাকোটা শিল্প দেখার জন্য বিষ্ণুপুর ভ্রমণে আসেন।  বিষ্ণুপুরের মন্দিরগুলি সম্পর্ক কিছু তথ্য —

রাসমঞ্চ - মল্লরাজা বীরহাম্বি ১৬০০ খ্রীস্টাব্দে এই মঞ্চটি তৈরি করেন।  এই রাসমঞ্চের দেওয়ালের শিল্প অন্য সকল মন্দিরের থেকে আলাদা। সম্ভবত গোটা ভারতে এই শৈলীর অন্য কোনও নিদর্শন নেই। রাসের সময় বিষ্ণুপুরের বিভিন্ন মন্দিরের মূর্তি এই মঞ্চে নিয়ে আসা হয় এবং উৎসব পালন করা হয়। আড়ম্বরপূর্ণ মন্দিরটি স্থাপত্যগতভাবে এতই অনন্য এবং অতুলনীয় যে এটি পুরো বাংলার পাশাপাশি সারা দেশে অনন্য। রাসমঞ্চ গর্বের সাথে একটি ল্যাটারাইট স্তম্ভের উপরে দাঁড়িয়ে আছে এবং এর সাথে আছে দীর্ঘতর একটি টাওয়ারের পাশাপাশি একটি একক কক্ষের কুঁড়েঘর আকৃতির বুরুজ।

আপনি এমন একটি ঐতিহ্য প্রত্যক্ষ করতে পারবেন যা পিরামিডাল সুপারট্রাকচারের সাথে সজ্জিত এবং তিনটি চক্রাকার গ্যালারী, প্রশান্ত স্তম্ভ এবং পোড়ামাটির পদ্ম মোটিফ সহ রহস্যময় খিলান দ্বারা ধন্য। দিবালোকের উপস্থিতিতে, আপনি যখন গ্যালারীগুলির মধ্যে দিয়ে হাঁটবেন, তখন আপনি ছায়ার ভাষা দ্বারা আপনার কানে কানে ফিসফিস করে ইতিহাস অনুভব করবেন। অন্ধকারে, স্মৃতিস্তম্ভ থেকে উজ্জ্বল আলো একটি রোমাঞ্চকর পরিবেশ তৈরি করে।

শ্যামরায় মন্দির -  শ্যামরায় মন্দির বিষ্ণুপুরের সবথেকে বড়মন্দিরগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই মন্দিরের মাথায় পাঁচটি চূড়া বা রত্ন দেখা যায়। সেই কারণে এই মন্দিরকে পঞ্চরত্ন মন্দির ও বলা হয়। পোড়ামাটির শিল্প-রূপগুলির কারণে এটি বিষ্ণুপুরের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। এই মন্দিরের আর একটি আকর্ষণ হল দৈত্যাকার রাশচক্র যা গোপিনীদের মাঝে রাধা-কৃষ্ণ লীলার বিভিন্ন রূপকে চিত্রায়িত করে তুলেছে। 

জোড়বাংলা মন্দির - মল্ল রাজা রঘুনাথ সিংহ ১৬৫৫ সালে এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দুটি প্রায় একই রকমের দেখতে মন্দির একসাথে অবস্থান করায় একে বলা হয় জোড়াবাংলা মন্দির। মহাভারত, রামায়ণের একাধিক দৃশ্য চিত্রিত আছে  এই মন্দিরের দেওয়ালে। এখানকার বালুচরি, স্বর্ণচরী শাড়ির কদর জগৎবিখ্যাত। বিষ্ণুপুরের আরও এক ঐতিহ্য দশাবতার তাস সংগ্রহ করতে ভুলবেন না।

মল্ল রাজারা এই তাস খেলতেন। শাঁখারিবাজারের কাছে মনসাতলার ফৌজদার পরিবার বংশ পরম্পরায় এই তাস তৈরি করে আসছেন। গোলাকৃতি ১২০ সেট এই তাস আজ প্রায় লুপ্তপ্রায়। প্রতিটি তাসেই দশ অবতারের ১০টি প্রতীক নিয়েই এই তাস। সংগ্রহ করে রাখতে পারেন। পোড়ামাটির শিল্পের জন্য বিখ্যাত পরশুরা গ্রামে চলে আসুন। এখান থেকে পোড়ামাটির নানা সামগ্রী কেনাকাটা করতে পারেন। বিষ্ণুপুর থেকে মাত্র ৩২ কিমি দূরে।

মৃন্ময়ী মন্দির - রাজা জগৎ মল্ল ৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মা মৃন্ময়ী তাঁর স্বপ্নে রাজাকে মন্দির তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন। দেবী দুর্গা এখানে মা মৃন্ময়ী রুপে পূজিত হন। মন্দিরটি পূনর্গঠন করা হলেও মন্দিরে পুরোনো গঙ্গা মাটির মূর্তিই রয়ে গেছে। স্থানীয় ইতিহাস অনুসারে, মা মৃন্ময়ী তাঁর স্বপ্নে রাজাকে মন্দির তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন।

দেবী দুর্গা এখানে মা মৃন্ময়ী হিসাবে পূজিত হন। যদিও মন্দিরটি পুনর্গঠন করতে হয়েছিল, তবে গঙ্গা-মাটির তৈরি সেই মূর্তিটি রয়ে গেছিল। বাংলার প্রাচীনতম দুর্গা পূজা এবং (১০২১ বছর) সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকে ধর্মীয় উষ্ণতার এক ভিন্ন স্বাদে অনুভব করুন। মাটির পাত্র বা “ঘাট” স্থাপনের পরে যথাক্রমে “বড়ো ঠাকুরানী”, “মেজো ঠাকুরানী” এবং “ছোট ঠাকুরানি” উপাসনার মধ্য দিয়ে উত্সব শুরু হয়। “মহাষ্টমী-সন্ধিপূজা” এর পবিত্র মুহূর্তে একটি কামান নিক্ষেপ করা হয় এবং তারপরে সবজী বলি দেওয়া হয়।

রাধাশ্যাম মন্দির - মল্লরাজা চৈতন্য সিংহ এই মন্দিরটি ১৭৫৮ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ করেন। এই মন্দিরে নিতাই ও জগন্নাথ এর মূর্তি পূজিত হয়।

দলমাদল কামান - এই কামানটি মল্লরাজাদের সময়ের সবথেকে বড়ো কামান । মল্লরাজা গোপাল সিংহের আমলে রাজপরিবার ও নগরের রক্ষাদেবতা  মদনমোহন স্বয়ং বর্গী সেনাপতি ভাস্কর রাওয়ের বিরুদ্ধে এই কামান ব্যাবহার করেছিলেন ।

ষাঁড়েশ্বর মন্দির - বিষ্ণুপুর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে দিহড় গ্রামে এই মন্দির অবস্থিত। ষাঁড়েশ্বর মন্দিরের বিশেষত্ব হল এই মন্দিরের প্রবেশদ্বারে বসে একটি নন্দী ষাঁড় দেখতে পাবেন যেন এটি সুরক্ষা দিচ্ছে। এই স্থানটি মহাশিবরাত্রি উৎসব এবং গাজন চলাকালীন তীর্থযাত্রায় পরিণত হয়।।

 গর দারজা - বিষ্ণুপুরে দুর্গের দু’টি গর্বিত প্রবেশদ্বার রয়েছে। স্থানীয় লোকেরা তাদেরকে গড় দরজা বলে সম্বোধন করেছিলেন।শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এই দরজা তৈরি করা হয়েছিল। রাসমঞ্চের দক্ষিণে একটু এগিয়ে এলে দেখতে পাবেন বেশ কয়েকটি একরত্ন মন্দির, যাদের মধ্যে ছিন্নমস্তার মন্দিরটি জাগ্রত হিসাবে খ্যাত। এছাড়া কাছেই আছে নন্দলাল মন্দির, রাধাগোবিন্দ মন্দির, রাধামাধব মন্দির, কালাচাঁদ মন্দির ইত্যাদি। পর্যটকরা এখানে এলে পুরোপুরি ঘুরে দেখার জন্য কিছুদিনের সময় নিয়ে আসাই ভালো। 

ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে, ২৫৫ নং বিষ্ণুপুর বিধানসভা কেন্দ্রটি বিষ্ণুপুর পৌরসভা, বিষ্ণুপুর সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক এবং আমড্যাংরা, সলতোড়া এবং সাতমৌলি গ্রাম পঞ্চায়েত গুলি তালড্যাংরা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক গুলির অন্তর্গত।বাঁকুড়া জেলার উত্তরে ও পূর্বে রয়েছে যথাক্রমে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান। এই জেলাতেই রয়েছে বিষ্ণুপুর বিধানসভা কেন্দ্র। দক্ষিণে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর। আর দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে হুগলি। এছাড়াও পশ্চিমে পুরুলিয়া জেলা রয়েছে। বাঁকুড়া ও বর্ধমান এই দু’টি জেলাকে পৃথক করেছে দামোদর নদ।

বাঁকুড়ার পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভাগের জমি নিচু ও উর্বর পলিমাটিযুক্ত। পশ্চিম ভাগের জমি ধীরে ধীরে উঁচু হয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় বিষ্ণুপুরে ভোট হবে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী তুষারকান্তি ভট্টাচার্য এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোটসংখ্যা ছিল ৭৬,৭৪১৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ছিল ৭৫,৭৫০৷ কংগ্রেস প্রার্থী তুষারকান্তি ভট্টাচার্য তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়কে ৮৯১ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।

২০১১ সালে জিতেছিলেন তৃণমূলের শ্যামাপদ এবং ২০০৬ সালে সিপিআইএমের স্বপন ঘোষ জয়ী হয়েছিলেন। ২০০১ সালে সিপিআইএম প্রার্থী জয়ন্ত চৌধুরী তৃণমূল কংগ্রেসের শুভাশিস বটব্যাল ও ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছিলেন।  ১৯৯১ সালে সিপিআইএমের অচিন্ত্যকৃষ্ণ রায় শুভাশিসকে পরাজিত করেছিলেন।  ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের সব্যসাচী রায় ও ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের অর্ধেন্দু মিত্রকে পরাজিত করেছিলেন অচিন্ত্যকৃষ্ণ।

১৯৭১ ও ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের ভবতারণ চক্রবর্তী ওই আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৯ সালে কংগ্রেসের শাস্ত্রীদাস সরকার ওই আসন জিতেছিলেন। ১৯৬৭ সালে কংগ্রেসের বি.সি.মণ্ডল বিষ্ণুপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন। ওই আসনেই ১৯৬২ সালে সিপিআইয়ের রাধিকা ধীবর জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে বিষ্ণুপুর যৌথ আসন ছিল।

১৯৫৭ সালে কংগ্রেসের পূরবী মুখোপাধ্যায় ও কিরণচন্দ্র দিগার উভয়ই ওই যৌথ আসনে জয়ী হয়েছিলেন। দেশের প্রথম নির্বাচনে কংগ্রেসের কিরণচন্দ্র দিগার ও রাধা গোবিন্দ রায় উভয়ই জয়ী হয়েছিলেন বিষ্ণুপুরে। ২০২১ বিষ্ণুপুর বিধানসভায় জয়ী হয়েছেন বিজেপির  প্রার্থী  তন্ময় ঘোষ   প্রাপ্ত ভোট: ৮৮৭৪৩  শতকরা ভোট : ৪৬% তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন অর্চিতা বিড  প্রাপ্ত ভোট: ৭৭৬১০ শতকরা ভোট : ৪০%  কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন দেবু চট্টোপাধ্যায়  প্রাপ্ত ভোট: ১৫৬৪৯ শতকরা ভোট : ৮%। 

বিষ্ণুপুর মহকুমায় ৫৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে:

বিষ্ণুপুর ব্লক রয়েছে: অযোধ্যা, ভড়া, মড়ার, বাঁকাদহ, দ্বারিকা–গোঁসাইপুর, রাধানগর, বেলসুলিয়া, লায়েকবাঁধ এবং উলিয়াড়া।

ইন্দাস ব্লকটি রয়েছে: আকুই-১, দিঘলগ্রাম, করিসুন্ডা, সাহসপুর, আকুই-২, ইন্দাস-১, মঙ্গলপুর, আমরুল, ইন্দাস-২ এবং রোল।

জয়পুর ব্লকটি গঠিত: গেলিয়া, কুচিয়াকোল, সালদা, হেটিয়া, ময়নাপুর, শ্যামনগর, জগন্নাথপুর, রাউতখণ্ড ও উত্তরবাড়।

পাত্রসায়র ব্লকটি রয়েছে: বালসি-১, বেলুট–রসুলপুর, জামকুড়ি, পাত্রসায়ের, বালসি-২, বিউর–বেতুর, কুশদ্বীপ, বীরসিংহ, হামিরপুর এবং নারায়ণপুর।

কোতুলপুর ব্লকটি অন্তর্ভুক্ত করে: দেশরাকোয়ালপাড়া, কোতুলপুর, লেগো, মির্জাপুর, গোপীনাথপুর, লৌগ্রাম, মদনমোহনপুর এবং সিহড়।

সোনামুখী ব্লকটি সমন্বিত: কোচদিহি, ডিহিপাড়া, পাঞ্চাল, রাধামোহনপুর, ধানসিমলা, হামিরহাটি, পিয়ারবেড়া, ধুলাই, মানিকবাজার ও পূর্বনবাশন।

কিভাবে পৌছব:

আকাশ পথে

বাঁকুড়ার নিকটতম বিমানবন্দর হল নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কলকাতা যা বাঁকুড়ার প্রায় ২১২ কিলোমিটার দূরে। সেখান থেকে আপনি বিষ্ণুপুরে ট্রেন নিতে পারবেন। বাঁকুড়া থেকেও আপনি বিষ্ণুপুরে ট্যাক্সি, বাস বা ট্রেন নিতে পারবেন।

ট্রেনে

কলকাতা থেকে ট্রেনগুলি নিয়মিতভাবে বিষ্ণুপুরের জন্য উপলব্ধ। বাঁকুড়া থেকেও আপনি বিষ্ণুপুরে ট্যাক্সি, বাস বা ট্রেন নিতে পারবেন।১২৮৮৩ রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস সাঁত্রাগাছি থেকে সকাল ৬টা ২৫ মিনিটে ছাড়ে। ১২৮৮৩ আরণ্যক এক্সপ্রেস ছাড়ছে শালিমার থেকে সকাল ৭-৪৫ মিনিটে। ১২৮২৭ হাওড়া পুরুলিয়া এক্সপ্রেস ছাড়ে বিকেল ৪-৫০ মিনিটে।  

সড়ক পথে বাঁকুড়া কলকাতা এবং আশেপাশের শহরগুলি যেমন আসানসোল, দুর্গাপুর, বর্ধমান, পানাগড় এবং রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলের সাথে রাস্তা দিয়ে ভালভাবে সংযুক্ত। বাঁকুড়া থেকে আপনি ট্যাক্সি, বাস বা ট্রেন নিয়ে বিষ্ণুপুর যেতে পারবেন। ধর্মতলা থেকে বাসেও চলে আসা যায় বিষ্ণুপুর।

[ আরও পড়ুন কালিম্পং জেলা ]