তবে কি শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে পাকিস্তানেও!

তবে কি শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে পাকিস্তানেও!

তবে কি শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে পাকিস্তানেও! সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ সেই আশঙ্কার দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। সম্প্রতি একাধিক ব্যবসায়ীক স্থান থেকে শুরু করে বিভিন্ন আবাসন এলাকা, বসতবাড়ি চরম বিপদের মুখে পড়েছে। বিপদের মুখে পড়েছে পাকিস্তান। কারণ, সরকার আর পারছে না খরচ করতে, এমনই অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। কী হয়েছে!

শেষ কয়েকদিন ধরে একাধিক ব্যবসায়ীক স্থান থেকে শুরু করে বিভিন্ন আবাসন এলাকা, বসতবাড়ি এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে পাকিস্তানের বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা। কারণ, বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলি চালানোর মতো আর অর্থকরী নেই পাকিস্তান সরকারের হাতে। বিশেষত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি চালানোর মতো কয়লা, স্বাভাবিক গ্যাস কেনার অর্থ ফুরিয়েছে।

সেই কারণেই চাহিদা কমাতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা। কেন এই ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তান প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে তেলের দাম। সেই দামে তেল কেনার ক্ষমতা পাকিস্তানের নেই।  খবর পাওয়া গিয়েছে, পাকিস্তানের বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের কেন্দ্র এখন বন্ধ আছে।

গত ১৩ এপ্রিল থেকে এই সংকট শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে, এমন কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই তথ্য দিয়েছেন আর কেউ নন, পাকিস্তানের নবগঠিত মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল। তিনি ট্যুইটারে একটি পরিসংখ্যান দিয়েছেন। শুধু জ্বালানির অভাবে নয়, ৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে এমন কেন্দ্রও বন্ধ হয়ে পড়ে আছে যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য।

ইসমাইল প্রশ্ন তুলেছেন, পিটিআই-এর দুর্নীতির জন্য নাকি অযোগ্যতার জন্য এই পরিস্থিতিতে এসে দাঁড়াতে হল! পাকিস্তানের বিপুল সংখ্যায় জ্বালানি প্রয়োজন। সেই জ্বালানি সঠিক পরিমাণে না পেলে গোটা পরিকাঠামো ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শুধু বিদ্যুতের ক্ষেত্রেই নয়, সমস্ত ক্ষেত্রেই জ্বালানির চাহিদা না মেটাতে পারলে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধ হওয়ার জোগাড় হবে। তাই অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া হিসাবে পাকিস্তানের এই জ্বালানি সংকট নতুন করে এই আপাত-অশান্ত দেশকে শ্রীলঙ্কার মতো অস্তিত্বের সংকটের দিকে ঠেলে দেবে কি না, সেটাই এখন প্রশ্ন।