তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার সিবিআই এর চার সাব ইন্সপেক্টর

তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার  সিবিআই এর  চার সাব ইন্সপেক্টর

সরাসরি তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার চার CBI সিবিআই সাব ইন্সপেক্টর। বরখাস্ত করা হল চাকরি থেকে।একেবারে বলা যেতে পারে চিত্রনাট্য। দিল্লির চার সিবিআই সাব ইন্সপেক্টর সুমিত গুপ্তা, প্রদীপ রানা, অরুণ কুমার ও আকাশ আহলওয়াট একটি গাড়ি ভাড়া নিয়ে দিল্লি থেকে তল্লাশি অভিযানে পৌঁছে যায় চন্ডীগড়। সরাসরি অভিষেক ডোগরা নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালাতেও শুরু করে।

এখানেই শেষ নয়। কার্যত গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে বাড়ি থেকে তুলে নিয়েও আসা হয়। এই পর্যন্ত সবটাই বাস্তব বলে মনে করছিলেন অভিষেকের পরিবারের সদস্যরা।কিন্তু তাল কাটল কয়েক ঘণ্টা পরেই। সিবিআই সূত্রে খবর, দিল্লির ওই সিবিআইয়ের চার এসআই অভিষেকের পরিবারের কাছে ২৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। এতেই যবনিকার পতন।

পরিবারের তরফে সরাসরি যোগাযোগ করা হয় চন্ডীগড়ে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার সঙ্গে। জানানো হয় পুরো বিষয়। চন্ডীগড় শাখার সিবিআই কর্তারা খোঁজ নেন সরাসরি দিল্লি সিবিআই হেড কোয়ার্টারে। এরপরই আসল তথ্য প্রকাশ্যে। এমন কোনও অভিযান ও গ্রেফতারের কথা জানেন না দিল্লির সিবিআই কর্তারা। তাদের অন্ধকারে রেখেই দফতরে নাম ভাড়িয়ে তোলাবাজির চেষ্টা করে ওই চার সাব ইন্সপেক্টর।

এরপরই অভিষেক ডোগড়া সিবিআইয়ে চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। যে চার সিবিআই এসআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনকি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর ।

দিল্লি সিবিআই সদর দফতরের দাবি, এমন অভিযোগ পাওয়া পরই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। চারজনকে গ্রেফতার করে তাদের বাড়িতে অভিযান চালানও হয়। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই ঘটনায় আর অন্য কেউ জড়িত কি না বা মাস্টার মাইন্ডকে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। এক সিবিআই আধিকারিকের কথায়, ডিপার্টমেন্টের নাম খারাপ হোক, তা বরদাস্ত হবে না। তাই চাকরি থেকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।