অনুব্রতর চালকলে সিবিআই হানা, মিলল পাঁচটি দামি গাড়ি,

বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন গরু পাচার মামলায়। তাঁর আয় ও ব্যায়ের হিসেব মেলাতে তদন্ত করছে সিবিআই। তদন্তে নেমে জমি, ব্যবসা অনেক কিছুরই হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। শুক্রবার সকালে অনুব্রতরই একটি রাইস মিলে গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
প্রায় ৪০ মিনিট পর ভিতরে প্রবেশ করে আধিকারিকরা দেখতে পান, গ্যারাজে রয়েছে একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি। এই গাড়িগুলির মালিক কে, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। সেই চালকলের ভিতরে ঢুকে মিলল দামি দামি গাড়ি। ঝকঝকে সেই সব গাড়িতে আবার সাঁটানো রয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার’ লেখা স্টিকার। রয়েছে পাইলট কারও। কে এই সব গাড়ির মালিক? তাতে সরকারি স্টিকারই বা কেন লাগানো, তা নিয়েও শুরু হয়েছে তদন্ত।
শুক্রবার সকালে ব্যোম ভোলে চালকলে ঢোকে সিবিআইয়ের একটি দল। যদিও প্রথমে তারা বাধা পায়। নিরাপত্তা রক্ষীরা প্রথমে জানান গেটের নাকি চাবি নেই! প্রায় ৪০ মিনিট পর অবশ্য তাঁরাই তালা খোলেন।
চালকলের ভিতরে প্রবেশ করে সিবিআই আধিকারিকদের চোখ যায় একটি জায়গায়। সেখানে সার দিয়ে একের পর এক ঝকঝকে এসইউভি দেখতে পান তাঁরা। ওই গাড়িগুলির মালিক কে, তা জানার চেষ্টা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। পাশাপাশি, নিরাপত্তা রক্ষীরা কেন আধ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে গেট খোলেননি, সেটাও জানার চেষ্টা করছেন আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, গত দু’মাস ধরে এই চালকলটি বন্ধ রয়েছে। তা সত্ত্বেও এত কর্মী ভিতরে কী করছেন, সেই প্রশ্নও উঠেছে। এই প্রতিবেদন পর্যন্ত তদন্তকারী দল ওই মিল থেকে বেরোয়নি। মোট ৪৫ বিঘা জমির উপর তৈরি এই চালকলটি ২০১৩ সালে কেনা হয়েছে। সূত্রের খবর, আনুমানিক ৫ কোটি টাকা দিয়ে চালকলটি কেনেন অনুব্রত। এ-ও জানা যাচ্ছে, ওই চালকল বিক্রি করতে আগের মালিক হারাধন মণ্ডলকে এক প্রকার বাধ্য করা হয়। ব্যবসা চালাতে না পেরে সেগুলো বিক্রি করে দেন।