কর্পূর| দৈনন্দিন তিনটি সমস্যার হাত থেকে সমাধান দিতে পারে কর্পূর
আজ বাংলা: কর্পূর এর গন্ধ কমবেশি আমাদের সবারই খুব পছন্দ। সাধারণত পুজোর কাজে ব্যবহার করা হয় এটি, কিন্তু কোন কোন রান্নায় সুগন্ধ প্রদান করত ব্যবহার করা হয় ,কিন্তু কর্পূর আরো বেশ কিছু কাজে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে লাগতে পারে। তা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। জীবনের নানা সমস্যা থেকে সমাধান দিতে পারে ছোট্ট একটি কর্পূর।
১) আপনি যদি বুঝতে পারেন আপনার দুশ্চিন্তা বেড়ে চলেছে, গুপ্ত শত্রু সংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে তা আপনি নিজে থেকে অনুভব করতে পারছেন,কিন্তু কি করে এর থেকে বের হবেন তা বুঝতে পারছেন না। একটি কর্পূর জ্বালিয়ে হনুমানজির সামনে হনুমান চল্লিশা পাঠ করুন রাতের বেলা। আশা করি আপনার সমস্যার সমাধান হবে।
২)আপনি যেখানে কাজ করেন অথবা আপনি যে বাড়িতে থাকেন সেখানে যদি বাস্তু দোষ থাকে তখন সেই জায়গায় একটি পাত্রে কর্পূর জ্বালিয়ে রেখে দিন বাস্তু সমস্যা কেটে যাবে।
৩) যদি মনে হয় আপনার ইদানিংকালের সময় ভালো যাচ্ছে না। নানা দিক থেকে নানা রকম বাধা আসছে। কোন কাজ সমান্তরালভাবে এগোচ্ছে না। তাহলে প্রতি শনিবার একটুখানি কর্পূর জলের সাথে মিশিয়ে স্নান করুন। এই সমস্যা থেকে আপনি তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসতে পারবেন।
অনেকেই মনে করেন যে, তাঁদের দেবদোষ বা পিতৃদোষ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সকাল, সন্ধ্যা ও রাতে ঘিয়ে ভেজানো কর্পূর জ্বালালে ও শৌচালয়ে ২টি কর্পূর রাখলে এই দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
শনি, রাহু-কেতুর জন্য দুর্ঘটনা ঘটে। শুধু তাই নয়, আমাদের রাগও দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। রাতে ঘুমানোর আগে কর্পূর জ্বালালে লাভ হতে পারে। এ ছাড়াও রাতে হনুমান চালিসা পাঠ করার পরও কর্পূর জ্বালাতে পারেন। এর ফলেও আকস্মিক ঘটনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আবার বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, চেষ্টা সত্ত্বেও কোনও কাজে সফল না-হলে, রুপোর বাটিতে নিয়মিত লবঙ্গ ও কর্পূর জ্বালান। এর ফলে আটকে থাকা কাজ পুরো হতে পারে। পাশাপাশি অর্থাভাবও হয় না।
অনেক সময় বাস্তুদোষের কারণে গৃহে শান্তি থাকে না। আবার কাজেও ক্ষতি হয়। বাস্তুদোষ দূর করার জন্য বাড়ি ও দোকানে কর্পূর রাখা যেতে পারে।
বাড়িতে শুভ শক্তির স্থায়িত্বের জন্য সকাল-সন্ধ্যা ঘিয়ে ভেজানো কর্পূর জ্বালানো উচিত। এমন করলে বাড়িতে অশুভ শক্তির বাস হয় না।
ভাগ্য মজবুত করার জন্য কর্পূরের সঙ্গে ১২টি সাবুদানা জ্বালান। বৃহস্পতিবার এই উপায় করেল আরও শুভ ফল পাওয়া যায়।
অর্থাভাব দূর করার জন্য রাতে রান্নাঘর পরিষ্কার করে রুপোর বাটিতে লবঙ্গ ও কর্পূর জ্বালানো উচিত।