যুদ্ধ থামাতে চাণক্য নীতি

যুদ্ধ থামাতে চাণক্য নীতি

যে কোনও সংস্থায় যাঁরা দক্ষ কর্মী হিসেবে চিহ্নিত অধিকাংশ সময়ই তাঁরা অধস্তন সহকর্মীদের প্রতি তেমন সৌজন্য প্রকাশ করেন না , তাঁদের এই ব্যবহার খুব স্বাভাবিকভাবেই অন্যদের মধ্যে অসন্তোষের জন্ম দেয়৷ এই সহকর্মীদের সঙ্গে আচরণবিধি কেমন হলে সংঘর্ষ ঘটবে না তারই কয়েকটি রাস্তা বলা হল  

 এই ধরনের সহকর্মীদের মুখ ফসকে বেরিয়ে যাওয়া কোনও কথাকে অধস্তনের প্রতি অসৌজন্য ধরে না নেওয়াই ভালো৷ ‘মেট্রিক স্ট্রিম ’ সংস্থার সিনিয়র ডাইরেক্টর -এইচআর , বালাজি কুমার জানিয়েছেন , ‘ঠিক কোন পরিপ্রেক্ষিতে কে কী বলছেন সেটা ভালো করে না বুঝে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না৷ একাধিকবার সহকর্মীদের প্রতি অসৌজন্য প্রকাশ পেলে তবেই সেটা নিয়ে অন্যান্য সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করুন এবং সেই ব্যক্তিটিকে বোঝানোর চেষ্টা করুন তাঁর এই অসৌজন্য প্রকাশে কী কী ক্ষতি হতে পারে৷ ’ 

 ‘ডিসিবি ব্যাঙ্ক ’-এর এইচআর প্রধান হামসাজ ভাসুনিয়া বলছেন , ‘খুব শান্তভাবে এবং আত্মবিশ্বাসী হয়ে সেই সহকর্মীকে বোঝান যে তাঁর এই রকম অসৌজন্যমূলক ব্যবহার ভালো নয়৷ তর্ক করার মধ্যে যাবেন না৷ বরং আপনার নিজের কাজে মনোনিবেশ করুন এবং কাজ দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করুন৷ ’

 কিছু কিছু সময় এই ধরনের আপত্তিজনক ব্যবহার এক সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করে৷ এমতাবস্থায় কী করা উচিত সেই প্রসঙ্গে হামসাজ ভাসুনিয়ার বক্তব্য হল , ‘আপনি আপনার নিজের কর্মপদ্ধতি একটি প্রোজেক্টে অ্যাপ্লাই করুন , আর দ্বিতীয় কাজে সেই সহকর্মীর পন্থা অ্যাপ্লাই করুন৷ এর ফলে দু’জনেরই পন্থা অ্যাপ্লাই করা হল৷ এতে শান্তি না ফেরার কোনও কারণ নেই৷ ’

 ‘আরবান ক্ল্যাপ ’ সংস্থার ভিপি -এইচআর সানা নায়ার বলেছেন , ‘যে কোনও কর্মক্ষেত্রে নানা ধরনের ব্যক্তিত্বের কর্মী থাকেন৷ এদের মধ্যে সহকর্মীদের প্রতি অসৌজন্য প্রকাশ করেন এমন মানুষও থাকেন৷ তাই তাঁদের প্রতি এমন আচরণ করা উচিত যাতে তাঁরা দ্বিতীয়বার সে রকম ব্যবহার না করতে পারেন৷ ’

 বালাজি কুমার -এর মতে , ‘খুব স্পষ্ট ভাষায় আপনি আপনার সহকর্মীকে বোঝান যে তিনি যে সব শব্দ ব্যবহার করেছেন এবং যে আচরণ তিনি করেছেন তার প্রতিক্রিয়া আপনার মধ্যে ঠিক কেমন হয়েছে৷ এটা তিনি না বুঝতে পারলে এই ঘটনা চলতেই থাকবে এবং ভবিষ্যতে তিনি যেন নিজের এই আচরণ বদল করেন৷ এই ধরনের কার্যকরী এবং স্বচ্ছ আলোচনা চলতে থাকলে সেই সহকর্মী নিজেকে পাল্টাবেন৷ ’