শিশুদের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে এই বিশেষ খাবারগুলিতে

আজবাংলা এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে উচ্চতা সাধারণত জিন দ্বারা নির্ধারিত হয়। যাইহোক, অধ্যয়নে দেখা গেছে যে খাবারের মতো বাহ্যিক কারণগুলিও একটি পার্থক্য তৈরি করতে পারে এবং বেড়ে ওঠার বছরগুলিতে একজন ব্যক্তির উচ্চতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
উচ্চতার জন্য তিনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারণকারী উপাদান হল জিন, খাদ্য এবং জীবনধারা। আপনি আপনার বাচ্চাদের কাছে প্রেরিত জেনেটিক গঠনটি পরিবর্তন করতে পারবেন না, তবে অন্য দুটি কারণগুলির যত্ন নেওয়া হচ্ছে কি না তার খেয়াল রাখতে পারেন- আপনার সন্তানের বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং জীবনধারা রয়েছে কি না।
অপর্যাপ্ত পুষ্টি কোনও শিশুর বৃদ্ধিকে কম করে দিতে পারে, যতই শক্তিশালী জিন হোক না কেনো। এই বিশেষ খাদ্দগুলির দ্বারা শিশুর উচ্চতা অনেকটাই বাড়বে।
১. সবুজ শাকসবজি- শিশুদের ভালো রাখতে তরিতরকারির কোনো বিকল্প নেই। শিশুর খাবার তালিকায় যতটা বেশি সম্ভব শাক-সবজি রাখুন। আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি, ভিটামিন এ এবং অন্যান্য খনিজে ভরপুর তরকারি শিশুর বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়।
২. ফল- শিশুকে মৌসুমী ফলসহ সবরকম ফল খেতে দিন। ফলের রসের বদলে শিশুকে আস্ত বা কাটা ফল কামড়ে খেতে দিন। এতে পুষ্টিকর ফাইবার ডায়েট থেকে বাদ পড়বে না। দাঁতের গঠনও ভালো হবে।
৩. ডাল- শিশুকে নানারকমের ডাল খেতে অভ্যস্ত করে তুলুন। একেকদিন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একেকরকম ডাল রাঁধুন। এমনকী দুই-তিন রকম ডাল মিশিয়েও এক্সপেরিমেন্ট করতে পারেন।
৪. দুধ- মাংসপেশির গঠন এবং হাড় মজবুত করার জন্য দুধের কোনো বিকল্প নেই। ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন ডি-এর মূল উৎস দুধ। শুধু দুধ খেতে না চাইলে পুডিং, কাস্টার্ড, মিল্কশেক, চিজ, নিদেনপক্ষে টক দই রাখুন শিশুর খাবার তালিকায়।
৫. সয়াবিন- আপনি যদি নিরামিষাশী হন, তা হলে প্রোটিনের জন্য খেতেই হবে সয়াবিন। শিশুদেরও ছোট থেকে সয়াবিন খাওয়ানোর অভ্যাস তৈরি করুন। স্বাদের দিক দিয়ে মাংসের কাছাকাছি হওয়ায় শিশু অনেকসময় সয়াবিন খেতে পছন্দ করে।
৬. ডিম ও মুরগি- মাংসপেশির গঠনেও প্রোটিনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর খাবার তালিকায় রাখুন ডিম। বিশেষ করে ডিমের সাদা অংশ এবং সেদ্ধ বা গ্রিলড চিকেন। শারীরিক বিকাশে প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রাণিজ প্রোটিন সাহায্য করে দেহের নতুন টিস্যু গঠনে এবং ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু তৈরি করতে।
৭. মাছ: শিশুকে ছোট মাছ বেশি খাওয়ান। অভ্যাস করুন নিজের হাতে কাঁটা বেছে খাওয়ার। মাছ খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। শিশুর উচ্চতাও বাড়বে দ্রুত।