কফি| দ্রুত ওজন কমাতে কফির উপকারিতা

কফি| দ্রুত ওজন কমাতে কফির উপকারিতা

দিনে কয়েকবার কফি  Coffee খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে।তবে অনেকেই মনে করেন কফি পান করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। গবেষকদের মতে, এই ধারণাটি ভ্রান্ত। ১৬৬৮ সালের দিকে আমেরিকায় প্রথম কফি ব্যবহারের কথা জানা যায়। অবশ্য সেখানে কফি চাষ শুরু হয় ১৭২০ সালে। ভারতবর্ষে কফির প্রচলন আরও পরে শুরু হয়।

১৮৪০ সালে ভারতবর্ষে প্রথম কফির চাষ শুরু হয়। কাপের পর কাপ কফি পান করার সত্বেও অনেকের ওজন কমতে দেখা যায় না। পুষ্টিবিদদের মতে, দুধ-চিনি মেশানো কফি বা ক্রিম মেশানো রাজকীয় কফি -খেলে ফল হবে হিতে বিপরীত।অন্যদিকে চিনি-ক্রিমের দৌলতে কফির ক্যালোরি বেড়ে ওজনও থেকে যাবে যথাস্থানে।৩-৪ কাপ বা ৭২০-৯০০ মিলির মতো কফি খেলে সব দিক বজায় থাকে। পেশিবহুল সুঠাম শরীর চাইলে আরও বেশি খেতে পারেন।

বাড়তি মেদ ঝরাতে কি নিয়ম মেনে কফি খাবেন:-

  •  সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়ামের আগে ব্ল্যাক কফি পান করা উচিত যা শরীরের মেদ ঝরাতে খুবই উপকারী। 
  • খাবার খাওয়ার পর কফি পান করুন। এর কারণে শরীরে কম চর্বি জমবে। 
  • সকাল, দুপুর ও রাত্রে খাবার খাওয়ার পর কফি পান করলে কফির ক্লোরোজিনিক অ্যাসিড শরীরে গ্লুকোজ তৈরির হার কমায়। যার  ফলে শরীরে চর্বি জমার প্রবনতা কমে। তাছাড়া ও কফি খেলে কম খাবারে পেট ভরবে। 
  • শরীরে ক্লান্তি লাগলে কফি পান করা উচিত। কারণ কফি শরীরের ক্লান্তি দূর করে। দ্বিগুণ উৎসাহে সব কাজ করতে পারবেন। 

কিন্তু শরীর অসুস্থ থাকলে কফি পান করবেন না। কারণ তাতে নানা বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। অতিরিক্ত ক্যাফিনের প্রভাবে খিটখিটে মেজাজ, উদ্বেগ, বুক ধড়ফড় করতে পারে। বাড়তে পারে গ্যাস-অম্বলও। ঘুম কমে যেতে পারে, দেখা দিতে পারে অনিদ্রা। কাজেই নিয়ম মেনে কফি খান। এর ফলে শরীরের কোনো ক্ষতি ছাড়াই মেদ কমবে তরতরিয়ে।