তৃণমূলের গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহার, মৃত ২

তৃণমূলের গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহার, মৃত ২

কোচবিহার: মহাপঞ্চমীর রাতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহারের সিতাই। শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে রাতেও উত্তপ্ত ছিল ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের গীতালদহ । চলল গুলি। মৃত্যু হয়েছে ২ তৃণমূল কর্মীর। গুরুতর জখম আরও ৫ জন। কোচবিহারের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কোচবিহারের (Cooch Behar) সিতাই বিধানসভার গীতালদহে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অশান্তি চলছিল দুই গোষ্ঠীর মধ্যে।

রবিবার তা চরম আকার ধারন করে। সামান্য কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই গোষ্ঠী। একে অন্যের উপর আক্রমণ চালায়। সেই সময়ই চলে গুলি। গুলিবিদ্ধ হন বেশ কয়েকজন। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন মান্নান হক ও মুজাফফর হোসেন নামে দুই তৃণমূল কর্মী। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তাঁরা। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্‍সকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।

গুরুতর জখম আরও পাঁচজন। তাঁদের নাম দুলাল মিঞা, মিন্টু হক, দিলদার হোসেন, আবাইদুল হক, জাহাঙ্গির আলম। সূত্রের খবর, আহতদের মধ্যে চারজন দিনহাটা হাসপাতালে ভরতি। একজনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কোচবিহারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ও আহতরা প্রত্যেকেই তৃণমূল কর্মী। এলাকার দখল কার হাতে থাকবে তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি চলছিল।

সেই অশান্তির জেরে এই ঘটনা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এলাকায় যাতে নতুন করে উত্তেজনা না ছড়ায় সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। কী কারণে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।। বাংলাদেশ বর্ডার সব সময় উত্তেজনা থাকে। আর এখন এসব করে ভয় দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে, যাতে লোকে ভোট দিতে না আসে।” দিনহাটায় গোষ্ঠীকোন্দলে দুই তৃণমূল নেতার মৃত্যুতে বললেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

এ প্রসঙ্গে সিতাইয়ের তৃণমূল নেতা বিধায়ক ঘনিষ্ঠ জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার ঘনিষ্ঠ নুর আলম বলেন, "রাজনৈতিক গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের। যারা তৃণমূলকে জয়যুক্ত করেছে, তাদের ওপর যারা বিজেপির দালালি করেছে তারা আঘাত করেছে। যারা এমএলএ-এর লোক রয়েছে, তাদের প্রাণের মারার চেষ্টা করেছে।"