Kali Puja | কালীপুজোর নির্ঘণ্ট ও সময়সূচি

Kali Puja | কালীপুজোর  নির্ঘণ্ট ও সময়সূচি

কালীপুজো এবং দীপাবলির কাউন্টডাউন শুরু হয়ে যায়। প্রতিবছর কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে মা কালীর আরাধনা করা হয়। একে শ্যামা পুজো ও দীপান্বিতা কালীপুজোও বলা হয়। হিন্দু ধর্মে বিভিন্ন তিথিতে মা কালীর (Goddess Kali) বিভিন্ন রূপের পুজো করা হয়। দেবীর আরাধনা সর্বজনবিদিত। মন্দিরে তো বটেই, এছাড়াও যাদের বাড়িতে কালীপুজো হয়, তারাও বেশ কিছুদিন আগে থেকেই লেগে পড়েন কালী পুজোর কাজে।

বাংলায় কালীপুজোকে দীপান্বিতা পুজো বা দীপাবলিও বলা হয়ে থাকে। যদিও অনেকে দীপাবলিতে লক্ষ্মী -গণেশের পুজো (Lakshmi- Ganesh Puja) করেন।   এই দিন আলোকসজ্জা ও আতসবাজির উৎসবের মধ্য দিয়ে সারা রাত্রিব্যাপী কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়। পশ্চিমবাংলায় মহাধূমধাম করে কালীপুজো উদযাপন হয়, তবে কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই নয়, অসম ও ওড়িশা-তেও মা কালীর উপাসনা হয়ে থাকে।

আর বাঙালির এই কালীপুজো বা দীপাবলির সময়ই দেশের অন্যান্য জায়গায় পালিত হয় দিওয়ালি। দীপাবলি হল অন্ধকার দূর করে আতসবাজি এবং আলোর রোশনাইয়ে চারিদিক ভরিয়ে তোলার দিন। এই দিন বাঙালি ঘরে যেমন মা কালী পূজিত হন, তেমন অবাঙালি পরিবারগুলিতে পালিত হয় দিওয়ালি। সেখানে পুজিত হন দেবী লক্ষ্মী। তবে দীপাবলির সময় বহু বাঙালি পরিবারেও লক্ষ্মী দেবীর পুজো হয়ে থাকে। 

২০২৩ সালের কালীপূজার নির্ঘণ্ট ও সময়সূচি  এবছর কালীপুজো পড়েছে ১২ নভেম্বর (২৫ কার্তিক), রবিবার ।অমাবস্যা তিথি শুরু ১২ নভেম্বর, ঘ ২/৪/৫১ থেকে ১৩ নভেম্বর ঘ ২/২৮/৩০ মিনিট পর্যন্ত অমাবস্যা তিথি থাকবে। অমৃত যোগ - দিবা ঘ ৬।৫০ গতে ৮।৫৭ মধ্যে ও ১১।৪৮ গতে ২।৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ঘ ৭।২৭ গতে ৯।১৪ মধ্যে ও ১১।৫৩ গতে ১।৪০ মধ্যে ও ২।৩৩ গতে ৫।৫৩ মধ্যে।

কালী দেখতে ভয়ঙ্কর হলেও, তাঁর প্রকৃতিতে রয়েছে এক অন্য রূপ। দেবীর চেহারার মধ্যে প্রেম হয় ও যত্নশীল মা-কে দেখা যায়। তিনি তাঁর ভক্তদের চারপাশে থাকা নেতিবাচক দিক সমস্ত শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বিনাশ করেন।কালীপুজোর আগের রাতে ভূতচতুর্দশী পালন করা হয়। একে নরক চতুর্দশীও বলে। এই দিন ১৪টি প্রদীপ জ্বালানোর রীতি আছে।

বিশ্বাস করা হয় যে, এই প্রদীপগুলি অশুভ শক্তি বা অশুভ আত্মাকে দূর করে এবং পরিবারের সকলকে রক্ষা করে। অনেকে আবার বলে থাকেন, এই প্রদীপ পূর্বপুরুষদের গত ১৪ প্রজন্মের স্মরণে জ্বালানো হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, কালীপুজোর আগের রাতে এই পূর্বপুরুষদের আত্মা পৃথিবীতে নেমে আসে। তাই প্রদীপ জ্বালানোর পাশাপাশি ভূত চতুর্দশীতে ওল, কেঁউ, বেতো, সর্ষে, কালকাসুন্দে, জয়ন্তী, নিম, হেলঞ্চা, শাঞ্চে, পলতা, গুলঞ্চ, ভাঁটপাতা, শুলফা, শুশনি, এই চোদ্দ ধরনের শাক খাওয়ার রীতিও আছে। 

প্রদীপ বা মোমবাতি প্রদানের মন্ত্র- ‘এষ দীপ ওম ক্রীং কাল্ল্যৈ নমঃ।’ ধূপকাঠি প্রদানের মন্ত্র- ‘এষ ধুপঃ ওঁ ক্রীং কাল্ল্যৈ নমঃ।’

কর্পূর প্রদানের মন্ত্র- ‘ওঁ ক্রীং কাল্ল্যৈ নমঃ আরাত্রিকম্ সমর্পয়ামি।’

দুধ-স্নানাদি প্রদানের মন্ত্র- ‘ওঁ ক্রীং কাল্ল্যৈ নমঃ পয়স্নানাম্ সমর্পয়ামি।’

দই-স্নানাদি প্রদানের মন্ত্র- ‘ওঁ ক্রীং কাল্ল্যৈ নমঃদধিস্নানাম্ সমর্পয়ামি।’

পঞ্চামৃত-সহ স্নানের দ্রব্যাদি প্রদানের মন্ত্র- ‘ওঁ ক্রীং কাল্ল্যৈ নমঃ পঞ্চামমৃত স্নানম্ সমর্পয়ামি।’

গঙ্গাজল স্নানের প্রদানের মন্ত্র- ‘ওঁ ক্রীং কাল্ল্যৈ নমঃ গঙ্গাস্নানম্ সমর্পয়ামি।’

পঞ্চফল প্রদানের মন্ত্র- ‘ওঁ ক্রীং কাল্ল্যৈ নমঃ পঞ্চফলম্ সমর্পয়ামি।’

পুষ্প প্রদানের মন্ত্র- ‘এষ গন্ধপুস্পে ওঁ ক্রীং কাল্ল্যৈ নমঃ।’

প্রণাম মন্ত্র- ‘ওঁ ক্রীং ক্রীং হৃং হৃং হিং হিং দক্ষিণে কালীকে ক্রীং ক্রীং ক্রীং হৃং হৃং হ্রীং হ্রীং হ্রীং স্বহা। ওঁ কালী কালী মহাকালী কালীকে পাপহারিণী ধর্মার্থমোক্ষদে দেবী নারায়ণী নমোস্তুতে।’ এরপর জপ একশো আটবার করা যায় এই মন্ত্রে- ‘ওঁ ক্রীং কাল্ল্যৈ নমঃ।’

আরো পড়ুন      জীবনী  মন্দির দর্শন  ইতিহাস  ধর্ম  জেলা শহর   শেয়ার বাজার  কালীপূজা  যোগ ব্যায়াম  আজকের রাশিফল  পুজা পাঠ  দুর্গাপুজো ব্রত কথা   মিউচুয়াল ফান্ড  বিনিয়োগ  জ্যোতিষশাস্ত্র  টোটকা  লক্ষ্মী পূজা  ভ্রমণ  বার্ষিক রাশিফল  মাসিক রাশিফল  সাপ্তাহিক রাশিফল  আজ বিশেষ  রান্নাঘর  প্রাপ্তবয়স্ক  বাংলা পঞ্জিকা