উত্তর ২৪ পরগনায় ঠাকুর তৈরির কারখানায় বিধ্বংসী আগুন, ক্ষতির মুখে মৃৎশিল্পীরা

সামনেই সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja)। তাই জোর কদমে সরস্বতী প্রতিমা তৈরির কাজ চলছিল হিঙ্গলগঞ্জের (Hingalganj) কালিবাড়ি এলাকায়। সরস্বতী পুজোর (Saraswati Puja) ৫ দিন আগেই বিধ্বংসী আগুন হিঙ্গলগঞ্জে (Hingalganj) ঠাকুর তৈরির কারখানায়। পুড়ে ছাই কয়েক লক্ষ টাকার সরস্বতী প্রতিমা। পুজোর আগে আগুন লাগায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে মৃৎশিল্পীরা।
সামনেই সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja)। তাই জোর কদমে সরস্বতী প্রতিমা তৈরির কাজ চলছিল হিঙ্গলগঞ্জের (Hingalganj) কালিবাড়ি (Kalibari) এলাকায়। অন্য দিনের মতো গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করেন প্রতিমাশিল্পীরা। বাড়ি চলে যায় আজ সকালে কাজে এসে তাঁরা দেখেন কারখানাটি আগুনে পুড়ে ছাই। কী কারণে? কীসের থেকে আগুন লাগল? ইতিমধ্যেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
তবে অনুমান গভীর রাতে আগুন লাগে এই কারখানায়। শীতের রাত বলে কারোর নজরে আসেনি। জানা গিয়েছে, সরস্বতীর পুজোর ঋণ নিয়ে এবার প্রায় দেড়শোটি প্রতিমা তৈরি করেছিলেন মৃৎশিল্পীরা। এদিনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মাথায় হাত শিল্পীদের। এদিকে অন্যান্য বারের তুলনায় কলকাতার কুমোরটুলির ছবিটা অনেকটা আলাদা। এখনও সেভাবে ব্যস্ততা নেই।
করোনা আবহে গত দু’বছরে তো কম ক্ষতি হয়নি। তাই এবার সাবধানী শিল্পীরা। অন্যান্যবারের তুলনায় অনেকেই কম ঠাকুর গড়ছেন। বায়না যে বিশেষ নেই। কুমোরটুলির মৃৎশিল্পী বঙ্কিম পাল বলেন, “গত দুবার অনেক লস হয়েছে। সবাই কম কম করে ঠাকুর করেছে। শেষবেলায় হুড়মুড় করে ঠাকুর কিনতে এলে সমস্যা।’’
কোভিড বিধি কিছুটা শিথিল হতে ধীরে ধীরে কিছু মানুষ আসছেন প্রতিমার খোঁজে। কিন্তু, সংক্রমণ কিছুটা কমলেও, আশঙ্কা যে কাটছে না। জোর সময় যদি ফের খারাপ হয় পরিস্থিতি। আরেক মৃৎশিল্পী প্রশান্ত পাল বলেন, কিছু কিছু মানুষ আসছেন। সবারই হাতে টাকা কম। সবমিলিয়ে, করোনা আবহে ফের সমস্যায় প্রতিমা শিল্পীরা।