শিক্ষকের বাড়িতে হানা গোয়েন্দাদের, বাজেয়াপ্ত ৩২ লক্ষ টাকা

শিক্ষকের বাড়িতে হানা গোয়েন্দাদের, বাজেয়াপ্ত ৩২ লক্ষ টাকা

খড়দহে নাথুপাল ঘাট রোডে বৃহস্পতিবার রাতে এক অধ্যাপকের বাড়িতে চিরুনি তল্লাশি চালালো ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটর (Barrackpore Police Commissionerate) গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। দীর্ঘক্ষণ অধ্যাপককে জিজ্ঞাসাবাদও করল খড়দহ থানার পুলিশ। উদ্ধার হল হিসাব-বহির্ভূত ৩২ লক্ষ টাকা (32 lakh rupees recovered)।

নাথুপাল ঘাট রোড এলাকায় শিরোমনি আবাসনে প্রায় আড়াই বছর ধরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন অধ্যাপক অমিতাভ দাস। কিন্তু, আচমকা তাঁর বাড়িতে হানা দেবে গোয়েন্দা বিভাগ তা গুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেননি প্রতিবেশীরাও। বৃহস্পতিবার রাতে ঠিক কী কারনে পুলিশ এসে তল্লাশি চলাতে শুরু করেছিল, কেনই বা জিজ্ঞাসাবাদ করছিল সেই বিষয়ে তাঁদের স্পষ্ট কোনও ধারণা ছিল না।

এমনকী এর আগে ওই ব্যক্তির বাড়িতে প্রতিবেশীরা সন্দেহজনক কিছু দেখতে পাননি বলেও জানিয়েছেন।  এদিকে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধারের খবর প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। অভিযোগ, স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তুলতেন অমিতাভ দাস। প্রয়োজনে ভুয়ো সাটিফিকেট বের করে দিত লক্ষ টাকা নিয়ে।

ফেল করলেও টাকার বিনিময়ে বের করে দিতেন পাশের সার্টিফিকেট।  গোপন সূত্রে এই খবর পেয়েছিল পুলিশ। তারপরই বৃহস্পতিবার ওই অধ্যাপকের বাড়িতে হানা দেন গোয়েন্দারা। রাতভর চলে তল্লাশি অভিযান। সঙ্গে চলে ম্যারাথন জেরা। শুক্রবার সকালেও চলে লাগাতার জেরা। শেষ পর্যন্ত ৩২ লক্ষ টাকা ওই বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত অধ্যাপককে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নাম করে, ভুয়ো পাশ সার্টিফিকেট বের করে দিয়েই এই টাকা তুলেছিলেন ওই অধ্যাপক। তবে এই কাজে তাঁর সঙ্গে আর কেউ যুক্ত কিনা, বা কোনও চক্র সক্রিয় রয়েছে কি না তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও।