হাই মাদ্রাসা স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে ধুন্ধুমার মালদা

হাই মাদ্রাসা স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে ধুন্ধুমার  মালদা

হরিশ্চন্দ্রপুর; : বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে ধুন্ধুমার।  তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের সংঘর্ষ।  অশান্তির জেরে ফাটল মাথা। শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ বিরোধীদের। জনসমর্থন নেই বলে পাল্টা কটাক্ষ শাসকদলের। তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। মালদহের কনুয়া ভবানীপুর হাই মাদ্রাসা নির্বাচনকে ঘিরে শাসকদলের সাথে কংগ্ৰেস-সিপিএম জোটের বিরোধ।

তার জেরে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। মারপিটে জড়িয়ে পরে উভয়পক্ষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। এই ঘটনায় কংগ্রেস-সিপিএম জোটের দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দুপুরে। হরিশচন্দ্রপুর থানার কনুয়া ভবানীপুর হাই মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে। পুলিশ জানিয়েছে রবিবার কনুয়া ভবানীপুর হাই মাদ্রাসার শিক্ষক প্রতিনিধি পদে নির্বাচন ছিল।

ভোট চলাকালিন মাদ্রাসার বাইরে বচসায় জড়িয়ে পরে তৃনমূল ও কংগ্রেস-সিপিএমের নেতা- কর্মীরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতেই মারপিট শুরু হয়ে যায়। সামাল দিতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি জানিয়েছেন পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। ভোট চলছে। দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন বিধায়ক মোস্তাক আলম বলেন, শান্তি পূর্ণ ভাবে নির্বাচন হচ্ছে এবং মানুষ ভোট দিতে আসছে। সেটা দেখেই তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তাই পরিকল্পনা করে হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে সমাজ বিরোধীদের নিয়ে এসে ঝামেলা করছে। আমাদের একজন ছেলের মাথা ফেটেছে তাকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশকেও ব্যবহার করছে এরা।" মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান বলেন," সকল মানুষ আমাদের পক্ষে। ওদের দিকে কেউ নেই। নিজেদের হার নিশ্চিত বুঝে এসব কুৎসা করছে। এতে করে কোন লাভ হবে না।" এই মুহূর্তে বঙ্গে নির্বাচন আর অশান্তি যেন সমার্থক শব্দ হয়ে গেছে। বিধানসভা থেকে পুরভোট হোক বা এই সামান্য বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির নির্বাচন। প্রত্যেক ক্ষেত্রে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। যদিও বারবার এটাকে বিরোধীদের কুৎসা বলে পাল্টা তোপ দাগছে শাসকদল।