জেনে নিন যকৃতে চর্বি জমার সমস্যায় ভুক্ত মানুষদের কী খাওয়া উচিত

জেনে  নিন যকৃতে চর্বি জমার সমস্যায় ভুক্ত মানুষদের কী খাওয়া উচিত

যকৃতের কোষে অতিরিক্ত চর্বি জমা হলে ফ্যাটি লিভার রোগটি হয়। যকৃৎ বা লিভারের নানা রকম অসুখের কথা আমরা শুনেছি। তার মধ্যে ‘ফ্যাটি লিভার’-এর সমস্যা অনেকেরই রয়েছে। ফ্যাটি লিভারের আবার দু রকমের হয়। একটি অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। অন্যটি নন-অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার।অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার- মদ্যপান করলে লিভারে অতিরিক্ত মেদ জমলে তাকে বলে অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার। নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার- যখন খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত ফাস্টফুড, অনিয়মিত জীবনযাপনের জন্য লিভারে মেদ জমলে তাকে নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার বলা হয়। এই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কমাতে যে যে খাবার খেতে হবে তা হল–

পাতিলেবু ও মধু :– ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে এক গ্লাস গরম জলের সঙ্গে ২ চামচ পাতি লেবুর রস ও মধু মেশান। রোজ সকালে খালি পেটে এই মিশ্রণ খান। পাতি লেবুতে ভিটামিন সি থাকে। এর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট লিভারের মেদ বার্ন করতে সাহায্য করে। 

সবুজ শাকসবজি: –প্রতিদিন সবুজ শাক, বিশেষ করে পালংশাক, ব্রকলি, শালগম ও বাঁধাকপি খাবারের তালিকায় রাখতে হবে।

বীজ জাতীয় খাবার:– শিমের বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, কুমড়ার বীজ ও বিনসে প্রচুর ভিটামিন-ই এবং অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট রয়েছে। এই উপাদান ফ্যাটি লিভারের জন্য উপকারী।

গ্রিন টি:– গ্রিন টিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা “ক্যাটেকাইন” নামে পরিচিত লিভারের চর্বি এবং কমাতে সাহায্য করে। তাই লিভার ভালো রাখতে গ্রিন টি দুটোই রাখতে পারেন পানীয় হিসাবে। তবে মাথায় রাখবেন সারাদিনে ৩ কাপ এর বেশি চা বা কফি নয়।

সামুদ্রিক মাছ:– সামুদ্রিক মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ। সামুদ্রিক মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড লিভারে অতিরিক্ত চর্বি গঠনে বাধা প্রদান করে এবং লিভার এনজাইমের সঠিক মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই যাদের ফ্যাটি লিভারের সমস্যা রয়েছে তারা সপ্তাহে অন্তত দুই দিন সামুদ্রিক মাছ যেমন ইলিশ, টুনা, সারডিন, কড মাছ খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

আখরোট:– আখরোটের মধ্যে অধিক পরিমাণ গ্লুটাথিয়ন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যারা উভয়েই পরিষ্কার করার প্রক্রিয়ার দ্বারা লিভারকে সহায়তা দেয়। এটা তাছাড়াও আরগানাইনের উৎস যা লিভারকে রক্ত থেকে অ্যামনিয়া বের করে সেটাকে ইউরিয়াতে পরিবর্তন করে শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে।

জল:– যকৃত বা লিভার ভালো রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে জল পান করা। লিভার ভালো রাখতে অবশ্যই সঠিক পরিমাণে বিশুদ্ধ জল পান করা আবশ্যক। এই সমস্ত খাবারগুলি খাওয়ার সাথে সাথে কিছু খাবার আছে যেগুলো না খাওয়ায় ভালো। অ্যালকোহল, তেলযুক্ত ও তেলে ভাজা খাবার, মিষ্টি জাতীয় খাবার, অত্যধিক পরিমাণ লবণ, আইসক্রিম ও খাসির মাংস না খাওয়ায় ভালো। এই খাবার গুলি লিভারে চর্বি জমাতে সহায়তা করে। অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার যে সমস্ত মানুষের আছে তাদের এই নিয়মগুলো মেনে চলার সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার দরকার আছে।