বিয়ের সময় সাত পাক ঘোরা অনিবার্য কেন জানেন?

বিয়ের সময় সাত পাক ঘোরা অনিবার্য কেন জানেন?

আজবাংলা      Marriage বিয়ে মানে মনের সঙ্গে মনের মিলন। বিয়ে মানেই এক জন অপর জনকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া এবং সেই প্রতিশ্রুতিগুলিকে সারা জীবন প্রেম, নিষ্ঠা ও যত্ন সহকারে পালন করা। বিয়ে মানেই যে কেবল মাত্র দু’টি মনের মিলন তা নয়, একটি পরিবারের সঙ্গে অন্য একটি পরিবারের মিলন।বিয়েতে নানা প্রকার নিয়ম দেখা যায়।

এক এক ধর্মের এক এক নিয়ম।ঠিক তেমনই হিন্দু ধর্মের বিয়েতেও নানা রকম নিয়ম রয়েছে। যেমন গায়ে হলুদ, শুভ দৃষ্টি, সিঁদুর দান, খই পোড়ানো, প্রভৃতি। বিয়ের সময় এই সব নিয়ম যেমন করতেই হবে, ঠিক সে রকম সাত পাক ঘোরাও অনিবার্য।হিন্দুধর্মে ১৬টি ধর্মানুষ্ঠানের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এর মধ্যে একটি হল বিয়ের আচার। এই আচার-অনুষ্ঠানে দুজন মানুষ আজীবনের জন্য একে অপরের সঙ্গে বাঁধা পড়েন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে বিয়ে হল দুটি আত্মার মিলন, বিয়ে হল সেই পবিত্র বন্ধন যা শুধু দুজন মানুষের মিলনই নয়, দায়িত্ব বহন করতেও শেখায়।

বিবাহের ক্ষেত্রে সাতটির সংখ্যা অনেক গুরুত্বপূর্ণ, সাত পাক, সাতটি শব্দ, সাত জন্ম, এই সবগুলির সাথে হিন্দু ধর্মে বিয়ের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এটি একটি ধর্মীয় বিশ্বাস যে হিন্দু রীতিতে সাত দফা ছাড়া বিয়ে হয় না। আসুন জেনে নিই কেন বিয়ের সময় ৭টি প্রদক্ষিণ করা হয়, এই সাতটি পাকের গুরুত্ব কী। 

ধর্মীয় শাস্ত্র অনুসারে, পৃথিবীর সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের সংখ্যা সাতটি হিসাবে বিবেচিত হয়, যেমন সঙ্গীতের সাতটি নোট, রংধনুর সাতটি রঙ, সাতটি সমুদ্র, সাতটি ঋষি, সাত দিন, সাতটি চক্র, মানুষের সাতটি ক্রিয়া, সাতটি তারা, ইত্যাদি এই কারণেই বৈদিক এবং পৌরাণিক বিশ্বাসে সাত নম্বরটিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এগুলো মাথায় রেখেই বিয়েতে সাত পাক ঘোরার কথা বলা হয়।

সাত পাক কেন ঘোরা হয়   আমরা সকলেই জানি, বিয়ের সময় বর-বধূ আগুনের চারপাশে ঘোরে। সাত বার আগুনের চারপাশে ঘুরতে হয়। একে সাত পাকে বাঁধা পরা বলা হয়। এই নিয়মের বিশেষ একটি কারণ আছে।আগুনের চারপাশে সাত পাক ঘোরা হয় বিয়েতে অগ্নি দেবতাকে সাক্ষী রাখার জন্য। অগ্নি দেবতাকে সাক্ষী রেখে সারা জীবনের জন্য কিছু অঙ্গিকার করা হয়।

এই অঙ্গিকার স্বামী স্ত্রীর প্রতি ও স্ত্রী স্বামীর প্রতি খুব নিষ্ঠা সহকারে পালনের জন্য। অগ্নি দেবতাকে সাক্ষী রাখা হয়, কারণ সাত পাক ঘুরে যে অঙ্গিকারগুলি নেওয়া হয়, তার যেন কোনও অমর্যাদা না হয়। সারা জীবন যেন একে অপরের প্রতি দায়িত্ব, কর্তব্য, সত্য, সমর্থন, দুঃখ কষ্ট সব জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যেন পালন করে যেতে পারে।

আরো পড়ুন      জীবনী  মন্দির দর্শন  ইতিহাস  ধর্ম  জেলা শহর   শেয়ার বাজার  কালীপূজা  যোগ ব্যায়াম  আজকের রাশিফল  পুজা পাঠ  দুর্গাপুজো ব্রত কথা   মিউচুয়াল ফান্ড  বিনিয়োগ  জ্যোতিষশাস্ত্র  টোটকা  লক্ষ্মী পূজা  ভ্রমণ  বার্ষিক রাশিফল  মাসিক রাশিফল  সাপ্তাহিক রাশিফল  আজ বিশেষ  রান্নাঘর  প্রাপ্তবয়স্ক  বাংলা পঞ্জিকা