আমেরিকা থেকে জার্মানি, বিদেশে পাড়ি দিতে শুরু করলো মা দুর্গা প্রতিমা

পুজোর সময় তৃতীয় ঢেউ আসার সম্ভাবনা। পুজো কি আদৌ হবে, না হবে না? দ্বিতীয় ঢেউয়ের শেষে যখন এই প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে বাঙালির মনে, ঠিক তখনই দেবী দুর্গা পাড়ি জমাচ্ছেন বিদেশে। করোনা আবহে গত বছর দুর্গাপুজোর জৌলুস অনেকটাই কমেছিল শহরে। চলতি বছরেও কতটা বড় করে পুজো করা যাবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন উদ্যোক্তারা। মাথায় হাত পড়েছে কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের।
যদিও এই পরিস্থিতিতে শহর থেকে বিদেশে পাড়ি দিছে দুর্গা প্রতিমা। কুমোরটুলি থেকে জার্মানির বার্লিন ও আমেরিকার নিউজার্সি গেল দুর্গা প্রতিমা। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, মিন্টু পাল নামের এক শিল্পীর তৈরি প্রতিমা বিদেশে পাড়ি দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘প্রতি বছরই আমার তৈরি প্রতিমা বিদেশে যায়। এ বছরও আমি দুটো বরাত পেয়েছি। একটা আমেরিকার নিউজার্সি ও অন্যটা জার্মানির বার্লিনে যাচ্ছে। আবার সাড়ে ৭ফুটের দুর্গা মূর্তি সঙ্গে গণেশ,হনুমানজি,মহাদেব,রামচন্দ্রএকসাথেই যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার পাশে ফিজিতে ! ভারত সেবাশ্রম সংঘে ।কলকাতা কুমারটুলী থেকে কাজ শিখে এখন নিজেই চাকদাহতে কারখানা স্টুডিও খুলেছেন।ফাইবারের বিভিন্ন মূর্তি থেকে নানা ধরণের মূর্তি।
এই বার তার দুর্গমুর্তি যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়াতে ভারতসেবাশ্রম সংঘে। 4 মাস ধরে পরিশ্রম করে তার দুর্গমুর্তি শেষ হয়েছে।শুধু তাই নয় সঙ্গে যাচ্ছে হনুমানজি,রাম,গণেশ ,ও মহাদেব।কোভিদ সংক্রমণের জন্য মূর্তি যেতে না পারায় একইসঙ্গে জাহাজে করে পাড়ি দেবে একসাথে ফাইবারের মূর্তি অস্ট্রেলিয়াতে। এখন থেকে তার তোড়জোড় চলছে জোরকদমে প্যাকিংএরকাজ।,কয়েক দিন পরই পাড়ি দেবে জাহাজে করে অস্ট্রেলিয়াতে। বার্লিনের বাঙালিরা এ বছর থেকে প্রথম পুজো শুরু করছেন। ভার্চুয়াল মাধ্যমেই কলকাতাতে মূর্তির আবরণ উন্মোচন হলো। আর অন্য প্রতিমা সাইজে কিছুটা ছোট। যাবে নিউ জার্সি।”
বাস্তব হলেও সত্যি, বিদেশের বুকিং শুরু হলেও খোদ কলকাতার বুকে এখনও পর্যন্ত দুর্গাপুজোর কোনও অর্ডার সেরকম ভাবে আসেনি কুমোরটুলির প্রতিমা শিল্পীদের কাছে। এবারের অবস্থা গত বছরের থেকেও খারাপ। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে যদি তৃতীয় ঢেউ আসে সে ক্ষেত্রে পুজোর ব্যাপারে অনিশ্চয়তা দেখা দেবে। তাছাড়া দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা অনেকেই এখনও সামলে উঠতে পারেননি। তার রেশ পড়েছে কুমোরটুলিতে। ম্পূর্ণ ফাইবারের তৈরি প্রতিমা ভারত থেকে জাহাজে করে যাবে।
তাই প্রায় দু’মাস সময় লাগবে।’’ প্রতিমাগুলির দাম দেড় লাখের বেশি বলেই জানিয়েছেন তিনি। মিন্টু আরও বলেন, ‘‘এ বছর জানুয়ারি মাসে আমি প্রতিমা তৈরির বরাত পাই। দু’মাসের মধ্যেই সেগুলি তৈরি করি। গত বছরও আমি পাঁচটি প্রতিমা বিদেশে পাঠিয়েছিলাম। সুইজারল্যান্ড, ব্রিটেন, আমেরিকা, ফ্রান্স ও বেজিংয়ে গিয়েছিল সেগুলি।’’