জোর কোদমে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি চলেচ্ছে কাহালয় সার্বজনীনে

মালদা ঃ জোর কোদমে প্রস্তুতি চলেচ্ছে দুর্গোৎসের কাহালয় । রতুয়া-১ ব্লকের কাহালা সার্বজনীন দুর্গাপূজা ৫২ বছরে পদার্পণ করল। প্রথমে এই পুজোর উদ্যোক্তা ছিলেন কাহালার এলাকার বাসিন্দা শক্তি রঞ্জন মিশ্র। বংশ-পরম্পরা মেনে পূজিত হচ্ছিল মা দুর্গা।এখন বর্তমানে শক্তি বাবুর বংশধর নারায়ন মিশ্র, সুজিত মিশ্র এই পুজোর আয়োজন করে থাকেন।
তবে কয়েক বছর ধরে স্থানীয় গ্রামবাসীরা এই পুজোতে অংশগ্রহণ করেছে এখন কাহালা সার্বজনীন দুর্গাপূজা নামে পরিচিত।নিজস্ব স্থায়ী মন্দিরে পূজিত হয় মা দূর্গা। প্রথমে ১৯৬৮ সালে কাহালা হাই স্কুল সংলগ্ন একটি আম বাগানে অস্থায়ী মন্দিরে সূচনা করেছিলেন শক্তি মোহন মিশ্র। এরপর ১৯৬৯ সালে অর্থাৎ এক বছর পর কাহালা গাঁজা মরে স্থায়ী মন্দির স্থাপিত করে পুজো শুরু হয়।সে সময় থেকেই প্রতিমা তৈরি করতেন কলকাতার কুমোরটুলির বিখ্যাত শিল্পী সতীশ পাল।
প্রায় ১০ বছর আগে সতীশবাবু পরলোকগমন করেন, এরপর থেকে তার ছেলে কার্তিক পাল প্রতিমা তৈরি করছেন।এই পুজোর মূল আকর্ষণ হচ্ছে মেলা।বছরে চারবার পূজিত হয় পাতাল চন্ডী। সরস্বতী পুজো, বাসন্তী পুজো, দুর্গাপূজা এবং রাম নবমী পূজার সময় পাতাল চন্ডী পূজিত হয়।পূজা চলাকালীন ভক্তদের মাঝে খিচুড়ি বিতরণ করা হয়।
পুজো উদ্যোক্তা বৈদ্যনাথ ঝা জানান প্রায় ৫২ বছর পুরনো এই পুজো। এই পুজো উপলক্ষে মন্দিরে পার্শ্ববর্তী আমবাগানে বিরাট জমজমাট মেলার আয়োজন করা হয়। এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ অংশগ্রহণ করে থাকেন। এই মেলাতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ভক্তরা আসেন এমনকি পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহার ও ঝারখান্ড থেকে ভক্ত দের সমাগম হয়।
এবছর আমাদের বাজেট প্রায় তিন লক্ষ টাকা।ছাগ বলির প্রথা আছে।নবমীর দিন প্রায় ৫০ টি ছাগ বলি হয়।এবং সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত নরনারায়ন সেবা চলে। পাশাপাশি পাতাল চন্ডী পুজো হয়।১৯৮২ সালে দুর্গা মন্দিরের নিচে পাতাল চণ্ডীর মন্দির স্থাপিত করা হয়েছে। কষ্টিপাথর দিয়ে পাতাল চণ্ডীর মূর্তি তৈরি করা হয়েছে।এর উচ্চতা হচ্ছে দেড় ফুট। সোনার অলংকার দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে পাতাল চন্ডীকে। দু'দিনব্যাপী বিরাট যোগ্য ও ১০৮ টি ডাক আয়োজন করে পাতাল চন্ডী পূজা শুরু হয়েছিল।