দুর্গাপুজোর বিজয়া দশমীর বিশেষ ফলদায়ী টোটকা

দুর্গাপুজোর বিজয়া দশমীর বিশেষ ফলদায়ী টোটকা

দশমী' কথাটির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে বাঙালির আবেগ ও মনখারাপ মিশ্রিত একটি অনুভূতি। দশমী এলেই বাঙালির মনে আসে মায়ের ফিরে যাওয়ার আশঙ্কা। অপেক্ষায় থাকতে হবে আরও একটা বছর। সাধারনত দুর্গাপুজোর অন্ত হয় দশমীর মাধ্যমেই। এই দিনেই মা দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। তবে এই দিনটিকে বিজয়া দশমী বলার সঠিক অর্থ আজও জানেন না অনেকেই। বিজয়া দশমী কথাটি শুনলেই মন অবসাদগ্রস্ত হয়ে পরে।

কিন্তু এই কথাটাও আমাদের ভুললে চলবে না যে, এই দিনেই মা বিজয়ী হয়েছিলেন, এই দিনেই মা সফল হয়েছিলেন। তবুও এই দিনে মা আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন এই কথা মনে পড়লেই মন অশান্ত হয়ে ওঠে। বিজয়া দশমী তিথিতে মা সকল অশুভ শক্তির বিনাশ করেন এবং সারা বছরের জন্য আমাদের আনন্দে ভরিয়ে রেখে যান। এই বিজয়া দশমীতে সহজ কিছু উপায়ের মাধ্যমে নিজের ভাগ্যের উন্নতি ঘটানো সম্ভব হয়।

সহজ উপায়গুলো কী কী

বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন হয়ে যাওয়ার পর রাত্রিবেলা একটি পাত্রে কিছুটা চন্দন, অল্প সিঁদুর, অল্প কর্পূর, একটি পান এবং অল্প  গোরোচনা নিয়ে একসঙ্গে বেটে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। তার পর ঘরের ভেতরে যে কোনও পবিত্র স্থানে সেই মিশ্রণের পাত্রটির সামনে একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে সারা রাত রেখে দিন। পরের দিন সকাল থেকে পর পর সাতদিন সেই মিশ্রণটি্র টিকা কপালে পরুন।

• সকালে দশমী পুজো হয়ে যাওয়ার পর মায়ের ঘটের কাছ থেকে একটি পদ্মফুল নিয়ে এসে হলুদ কাপড়ে মুড়ে বাড়ির দক্ষিণ-পুর্ব কোণে ঝুলিয়ে দিন।

• দশমীর দিনে বেসনের লাড্ডু কালো কুকুরকে খাওয়ান।

• দশমী পুজোর অঞ্জলি দেওয়ার সময় সাদা বা নীল অপরাজিতা ফুল অর্পণ করুন।

• বিজয়া দশমীর দিন সকালে রাম মন্দিরে যান এবং সেখানে গিয়ে একটি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালুন।

• দশমীর সকালে এক কৌটো সিঁদুর নিয়ে মায়ের মন্দিরে যান এবং সেই সিঁদুর থেকে কিছুটা মায়ের চরণে অর্পণ করে বাকিটা মায়ের চরণে ছুঁইয়ে বাড়ি নিয়ে চলে আসুন। সেই সিঁদুর সারা বছর পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে ব্যবহার করুন।