হাজার বছরেরও বেশি পুরনো বনেদি বাড়ির ১৮ বাহু দুর্গাপুজো

৯৯৫ সালে বীর বাঁকুড়ার আজ রাজা কেশপুরের জয়পুরে প্রতিষ্ঠা করেন ১৮ বাহু বিশিষ্ট মা দুর্গার। তৎকালীন কালী বর্গী আন্দোলনের সময় বাঁকুড়ার আজ দেব ফ্যামিলির হাতে সপে দিয়েছিলেন এই পুজো। তারপর বর্গী আন্দোলনের সময় জয়পুর থেকে পালিয়ে গিয়ে দেব পরিবার আশ্রয় নেয় কিছুদিন চন্দ্রকোনা টাউন এ। চন্দ্রকোনা টাউন এ থাকার পর কেশপুরের কাঞ্চনতলা এগিয়ে দে পরিবারের গোমস্তা খানায় আশ্রয় পাই দেবী।
পরবর্তীকালে কেশপুরের কাঞ্চন তলা থেকে উঠে আসে সোনাপাতা গ্রামে। আর স্থায়ীভাবে দেবীর মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয় দেব পরিবারের সোনাপাতা গ্রামে। দীর্ঘ না পুরুষ ধরে পূজিত হয়ে আসছেন ১৮ বাহু ওমা। দেব পরিবারের সদস্য ও অশ্বিনী দেব জানান, রীতি মেনে আজও মহালয়ার দিন থেকেই মা মহামায়ার পুজো শুরু হয়।
ষষ্ঠী পূজার দিন থেকে দেবীর বোধন হলে প্রতিদিন নিয়ম মেনে একেকটি দেবীর মূর্তি রূপে পূজিত হন মা দূর্গা। কখনোবা মা চন্ডী কখনোবা মা ভবতারিণী কখনোবা মা মহামায়া রূপে পূজিত হন ওমা। দুর্গাপুজোর এই সময়কালে দেব পরিবারের পারিবারিক বৈশিষ্ট্য হিসেবে পরিবারের কোনো সদস্য পুজোর কয়েক দিন বাড়ির বাইরে যেতে পারেন না এটাই এখানকার রীতি।
নবমীর দিনে পরিবারের সকলে মন্দিরে পণ্য-সেবা কেটে পুষ্পঞ্জলি দেন। ষষ্ঠীর দিনে জালানো প্রদীপের শিখা জ্বলতে থাকে অলৌকিক ভাবে দশমীর দিন পর্যন্ত। শুধুমাত্র দুর্গাপুজোর এই পাঁচটি তিনি নয় সারা বছরই মন্দিরে পূজিত হন এই ১৮ বাহু দূর্গা মা।