বৈদিক রীতি মেনে পুজো হয়ে আসছে মালদার অন্যতম প্রাচীন দুর্গাবাড়ির দুর্গাপুজো

বৈদিক রীতি মেনে পুজো হয়ে আসছে মালদার অন্যতম প্রাচীন দুর্গাবাড়ির দুর্গাপুজো

মালদাঃ—বৈদিক রীতি মেনে আজও পুজো হয়ে আসছে মালদা  Malda শহরের অন্যতম প্রাচীন দুর্গাবাড়ির দুর্গাপুজো Durga Puja ৷ এবার এই মন্দিরের পুজো ১৫৩ বছরে পা দিচ্ছে ৷ এই পুজো ঘিরে রয়েছে অনেক কাহিনি ৷ তবে মালদা জেলার গ্রাম ও শহরের মানুষ পুজোর ৪ দিনের মধ্যে অন্তত একদিন এই পুজো দেখতে ভিড় করেন ৷ ১২৭৫ বঙ্গাব্দে মালদা শহরের নেতাজি সুভাষ রোডে আদি কংসবণিক দুর্গাবাড়ি প্রতিষ্ঠিত হয় ৷

তার অনেক আগে থেকেই এই পুজো চালু ছিল বলে উদ্যোক্তাদের দাবি ৷ Durga Puja পুজো কমিটির সদস্যদের দাবি প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগে এই পুজো শুরু হয় ৷সেই সময় শহরের বাবুপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন এক বৃদ্ধা ৷ একদিন তিনি স্বপ্নাদেশ পান ৷ মা তাঁকে জানান, এলাকার নিমতলা ঘাটে তিনি পাথর রূপে বিরাজ করছেন ৷ তাঁকে যেন মহানন্দা নদী থেকে উঠিয়ে এনে Durga Puja পুজো করা হয় ৷

দেবীর আদেশ পেয়ে সেই বৃদ্ধা পরদিন নিমতলা ঘাটে গিয়ে মহানন্দা নদী থেকে ওই পাথরটিকে তুলে নিয়ে আসেন ৷ ঘাটেই নিমগাছের নীচে তিনি সেই পাথরটি প্রতিষ্ঠা করেন ৷ সেখানেই প্রথম শুরু হয় Durga Puja দেবীর পুজো ৷ পরবর্তীতে কোনোভাবে সেই পাথরটি চলে যায় বর্তমান বিনয় সরকার রোডে অবস্থিত তৎকালীন জমিদার গিরিজানন্দ দাসের বাড়িতে ৷ গিরিজানন্দই সেই পুজো চালাতেন ৷

কিন্তু একসময় জমিদার গিরিজানন্দ বুঝতে পারেন, তাঁর পক্ষে বেশিদিন মায়ের পুজো চালানো সম্ভব নয় ৷ সেকারণে তিনি পাথরে প্রতিষ্ঠিত দেবীকে কংসবণিক সম্প্রদায়ের হাতে তুলে দেন ৷ সেটা ১২৭৫ বঙ্গাব্দ ৷ সেবছরই দুর্গাবাড়িতে মায়ের মন্দির প্রতিষ্ঠা হয় ৷ তখন থেকে এখনও অবিচ্ছিন্নভাবে দুর্গাপুজো এখানে হয়ে আসছে ৷ দুর্গাবাড়ির দুর্গাপুজোর কতগুলি বৈশিষ্ট্য রয়েছে ৷

মহালয়ার ভোরে Durga Puja ঘট পুজোর মধ্যে দিয়ে পুজো শুরু হয় এখানে ৷ লক্ষ্মীপুজোতে শেষ হয় পুজোর সমাপ্তি ঘটে ৷ এতদিন ধরে কোথাও Durga Puja দুর্গাপুজোর চল রয়েছে কিনা তা জানা যায় না ৷ সপ্তমীর দিন সকালে সেই নিমতলা ঘাটেই দেবীর ঘট ভরা হয় ৷ Durga Puja পুজোতে অন্নভোগের প্রচলন নেই ৷ আড়াই কিলো আটার ঘিয়ে ভাজা লুচি দিয়ে ভোগ তৈরি হয় ৷ বাসন্তী পুজোতে সোওয়া কিলো আটার লুচির ভোগ হয় এখানে৷

একানকার দেবীমূর্তিকে ঘিরে থাকে আরও ২২টি মূর্তি ৷কংসবণিক সম্প্রদায়ের ২৩৬টি পরিবার এই Durga Puja পুজোর আয়োজন করে থাকে ৷ এই পুজোতে কোথাও থেকে কোনও চাঁদা সংগ্রহ করা হয় না।  পুজোর ৪ দিন অসংখ্য মানুষ মন্দিরে আসেন ৷ এই পুজো না দেখলে বোধহয় সবারই Durga Puja পুজো দর্শন অপূর্ণ থেকে যায় ৷

আরো পড়ুন      জীবনী  মন্দির দর্শন  ইতিহাস  ধর্ম  জেলা শহর   শেয়ার বাজার  কালীপূজা  যোগ ব্যায়াম  আজকের রাশিফল  পুজা পাঠ  দুর্গাপুজো ব্রত কথা   মিউচুয়াল ফান্ড  বিনিয়োগ  জ্যোতিষশাস্ত্র  টোটকা  লক্ষ্মী পূজা  ভ্রমণ  বার্ষিক রাশিফল  মাসিক রাশিফল  সাপ্তাহিক রাশিফল  আজ বিশেষ  রান্নাঘর  প্রাপ্তবয়স্ক  বাংলা পঞ্জিকা