ধোকলা | সহজেই বাড়িতে তৈরি করে ফেলুন ওটস ধোকলা

ধোকলা | সহজেই বাড়িতে তৈরি করে ফেলুন ওটস ধোকলা

কড়া ডায়েটে না থাকলেই মনে হয় যেন এই ওজন বেড়ে গেল।কিন্তু রোজ রোজ ডিটক্স ওয়াটার, স্যালাড খেয়ে কি আর দিন কাটানো যায়। মুখের স্বাদ বদলানোর ইচ্ছা করে। রোজ রোজ ওটস খেয়ে ও হয়রান হয়ে পড়েছেন। বাড়িতেই তাই চটপট বানিয়ে ফেলুন ওটস ধোকলা। ধোকলা সাধারনত দুই ধরনের, একটা হল সাদা রঙের, যেটা বানানো হয় চাল বাটা ও ছোলারডাল বাটা দিয়ে তাকে বলে খাটটা ধোকলা বা ধোকলা।

শুধু মাত্র বেসন দিয়ে যেটা বানানো হয় তাকে খামান ধোকলা বলা হয়। গুজরাটেই এই ধোকলা প্রথম তৈরী হয়েছিল বলে মনে করা হয়, প্রথমে তেরী হয়েছিল চাল ও ডাল বাটা দিয়ে বানানো সাদা খাটটা ধোকলা। পরে বেসন দিয়ে তেরী হয় খামান ধোকলা। বেসন হল পুষ্টির খুব ভালো উৎস, খামান ধোকলা একটি অত্যন্ত হালকা খাবার, যারা নিজেদের weight সমন্ধে সচেতন তাদের জন্য এটা ভালো ব্রেকফাস্ট বা snacks হতে পারে।

তবে বাজারে যে সমস্ত ধোকলা বিক্রি হয়, টেস্ট বাড়ানোর জন্য তাতে চিনির সিরাপ মিশানো থাকে, তাই এটা ততটা স্বাস্থ্যকর নয়। কিন্তু বাড়িতে বানানো ধোকলা অবশ্যই স্বাস্থ্যকর হতে বাধ্য। যাদের সুগার আছে, তাদের জন্যও খামান ধোকলা খুব ভালো যদি সেটা চিনি ছাড়া হয়। এই ধোকলার প্রধান উপকরণ হল বেসন, আর বেসন দেহের ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রেনে সাহায্য করে।

দেখে নিন ওটস ধোকলা বানানোর রেসিপিটা—

উপকরন:-

  1. ওটসের গুঁড়ো : ১/২ কাপ
  2. দই : ১/২ কাপ
  3. সুজি : ১/২ কাপ
  4. আদা ও লঙ্কা বাটা : ১/২ চা- চামচ
  5. সিদ্ধ করা কড়াইশুঁটি, বিনস, গাজর : ১/২ কাপ
  6. নুন স্বাদমতো

প্রনালী:- 

একটি পাত্র নিন। পাত্র সিদ্ধ সবজি, দই , ওটসের গুঁড়ো, আদা ও লঙ্কা বাটা, নুন একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর ঐ মিশ্রনে অল্প একটি ইনো মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এবার একটি পাত্র নিয়ে ভালো করে গ্ৰিস করে নিন।  এবার পাত্রে মিশ্রণটি ভাল করে ঢেলে নিন। ভাল করে পাত্রে ছড়িয়ে দিন। উপরে অল্প করে ধনেপাতা, লঙ্কা ছড়িয়ে দিন। এবার ৮ থেকে ৯ মিনিট পাত্রটি স্টিমে রেখে দিন। তাহলেই তৈরি হলে যাবে ওটস ধোকলা। ঠান্ডা হয়ে গেলে পিস পিস করে কেটে নিন আর চাটনি দিয়ে পরিবেশন করুন।