সুস্থ ও সুখী সম্পর্কে ধরে রাখতে এই বিষয়গুলি মানতে হবে

আজবাংলা সব সম্পর্ক সব সময় এক গতিতে চলে না। সম্পর্ক কখনও খাদের কিনার ঘেষে দাঁড়ায়, কখনও তা আবার ভাঙনে গড়ায়। আবার কখনও অনেক বন্ধুর পথ পেরিয়েও সম্পর্ক টিকে থাকে। একটি সুস্থ স্বাভাবিক সুখী সম্পর্ক গড়তে হলে যে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে সেই বিষয়টি আজকের প্রতিবেদনে আলোচনা করা হবে।
অগ্রাধিকার- আমাদের সবার জীবনেই কিছু না কিছু প্রায়োরিটি থাকে যা আমরা অন্য সব কিছুর থেকেও এগিয়ে রাখি। আপনাদের সম্পর্কটা দু’জনের কাছেই যদি সেই রকম প্রায়োরিটির বিষয় না হয়, তা হলে সেটি বলা মুশকিল।
দায়বদ্ধতা- সম্পর্কের একদম শুরুতেই পরস্পরের কাছ থেকে দায়বদ্ধতা কিংবা প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার আশা করা সত্যিই বাড়াবাড়ি। তেব সেই সদিচ্ছাটা থাকা অত্যন্ত জরুরি, যাতে অন্তত এটুকু বোঝা যায় যে, আপনারা জীবনের বাকি পথটুকু একসঙ্গে হাঁটার জন্য চেষ্টা করতে রাজি।
আস্থা- আপনাকে সঙ্গীর প্রতি আস্থা রাখতেই হবে। তার কাজকর্ম, আচরণের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে। মাঝেমধ্যে ঝগড়াঝাটিও হতে পারে, আবার হিংসেও হতে পারে, তবে মনে রাখবেন এটাই যেনো কোনোভাবেই নিয়মে পরিণত না হয়। সুখী সম্পর্কের জন্য সঙ্গীর উপর সব সময় আস্থা রাখুন।
স্পষ্টতা- একজন হয়তো একটা স্থায়ী সম্পর্ক চান, অপরজন শারীরিক ঘনিষ্ঠতা ছাড়া আর কিছুই দিতে রাজি নন- এমনটা হলে ভবিষ্যতে সমস্যা এড়ানো যাবে না। সম্পর্কটা আসলে কোনদিকে গড়াতে চলেছে, তা প্রথম থেকেই দু’জনের কাছে স্পষ্ট থাকা প্রয়োজন।
নিজেকে প্রকাশ করা- আপনার সব সময় কথা বলার মুড না-ও থাকতে পারে। কাজ শেষে বাড়ি ফিরে তো আরও বেশি ক্লান্ত লাগে আপনার। তবু নিজেকে সঙ্গীর কাছ থেকে একেবারে কখনও গুটিয়ে রাখবেন না। আপনার অসুবিধার জায়গাটা অন্তত তাকে বুঝতে দিতে হবে। ৬. সততা- সম্পর্কের ভিত্তি হলো সততা। যেকোনো সম্পর্কেই সততার গুরুত্ব অন্য সবকিছুর থেকেও বেশি। সততা ও পারস্পরিক বিশ্বাসই সম্পর্ককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে থাকে।
খোলা মন- একটা সম্পর্ক নানা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যেদিয়ে এগোয়। সব পরিস্থিতি সব সময় সমান বলা যায় না। যে কোনও পরিস্থিতিতে ঘটনা খোলা মনে নিতে হবে সেটি শেখা জরুরি। তাতে সম্পর্ক ভালো থাকবে, অনেক নতুন অভিজ্ঞতাও অর্জন করতে পারবেন আপনি।
সম্মানবোধ- পরস্পরের চিন্তা ভাবনা, আদর্শ, বিশ্বাসের ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল হওয়া প্রয়োজন। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্মানবোধ না থাকলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।
স্নেহ-ভালোবাসা- ভালোবাসা শুধু শারীরিকই নয়, মানসিকও হয়ে থাকে। যেকোনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে দুটিরই ভূমিকা অনস্বীকার্য। হাতে হাত রাখা, ছোট্ট মেসেজ, সবই ভীষণ জরুরি।
সহমর্মিতা- সহমর্মিতা ও সংবেদনশীলতা, এই দুটি বিষয়ই সুস্থ সম্পর্কের ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। যেসব দম্পতি পরস্পরের প্রতি সহমর্মী থাকেন, তাদের দাম্পত্যজীবনও অনেক সুখের হয়ে থাকে।