পাউরুটি ভালোবাসেন? জলখাবার মানেই পাউরুটি? তাহলে আজই সাবধান হন

পাউরুটি ভালোবাসেন? জলখাবার মানেই পাউরুটি? তাহলে আজই সাবধান হন

আজবাংলা   ব্রেকফাস্ট হোক বা বাচ্চার স্কুলের টিফিন। প্রতিদিন পাউরুটি-প্রেমে বারোটা বাজছে শরীরের। অজান্তে শরীরে মিশছে বিষাক্ত রাসায়নিক। বাড়তে পারে ওজন। থাইরয়েডের সমস্যায় কাবু হতে পারে শরীর। বিশেষজ্ঞদের দাবি, রোজ পাউরুটি খেলে হতে পারে বিপদ। সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই বিপদবার্তা।

পাউরুটি তৈরির সময় আটা থেকে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান বাদ চলে যায়। ফলে, পাউরুটিতে পরিমিত ফাইবার থাকে না। শরীরে কার্বন ডাই অক্সাইড ও ব্রোমাইন জাতীয় বিষাক্ত যৌগ জমা হয়। প্রতিদিন পাউরুটি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

কারণ, পাউরুটিতে রয়েছে নুন, রিফাইন্ড চিনি ও বিভিন্ন প্রিজারভেটিভস। পাশাপাশি মনে রাখবেন, ব্রাউন ব্রেড মানেই যে হোল গ্রেইন হবে, তা কিন্তু একেবারেই নয়। মাল্টি গ্রেইন ব্রেড আলাদা। আটা ছাড়াও সয়া ফ্লাওয়ার, বেসন, বাজরা, ওটস, চাল। ফ্ল্যাক্সসিড, তরমুজের বীজ এতে থাকতে পারে। তাই, মাল্টি গ্রেইন ব্রেডে সাধারণত ময়দা থাকেই না।

যে সব শস্য থেকে পাউরুটি তৈরি হয়, তা খেলে অনেকসময় পরে অম্বল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। নুন ও সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে হজম হতেও অনেক বেশি সময় লাগে। পাউরুটি তৈরির সময় যে ফ্লেভার মেশানো হয়, তা অনেক ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে।

আটা ব্রেডের নাম করে যে ব্রেড বাজারে বিক্রি হয়, তাতে যে সম্পূর্ণ আটা থাকবে, তার নিশ্চয়তা নেই। দেখবেন প্যাকেটের গায়ে হোল গ্রেইন’ অথবা ‘আটা’ লেখা আছে কিনা দেখে নিন।  জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হলে একটু বেশি ভরসা করা যায়। সুতরাং এটি খুব দ্রুত ক্ষুধার উদ্রেক করে।বলতে গেলে পাউরুটি আপনার দেহের কোনও কাজেই আসে না। সুতরাং পাউরুটি খাওয়া বন্ধ করুন। এর চাইতে বরং রুটি খান, উপকার পাবেন।