পশ্চিম মেদিনীপুরে ডাইনি সন্দেহে এলোপাথাড়ি মারে হাসপাতালে বৃদ্ধা

পশ্চিম মেদিনীপুরে ডাইনি সন্দেহে এলোপাথাড়ি মারে হাসপাতালে বৃদ্ধা

সভ্যতা এগিয়েছে। মানুষ আধুনিকতার দিকে বাড়িয়ে দিয়েছে গুটি গুটি পা। কিন্তু মননে বিজ্ঞান ঘাঁটি গাড়তে পেরেছে কি? আজও গ্রাম বাংলার অন্দরমহল থেকে এমন কিছু খবর উঠে আসে, যা বিজ্ঞানমনস্ক বাঙালিকে দাঁড় করিয়ে দেয় বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের সামনে। আজও, একুশ শতাব্দীতেও ডাইনি সন্দেহে গণধোলাই খেতে হয় বৃদ্ধাকে।

ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সদর ব্লকের সাতগেড়িয়া এলাকায়। অভিযোগ সেখানকার এক বৃদ্ধা মহিলাকে ডাইনি সন্দেহে ব্যাপক মারধর করে কিছু মানুষ। শনিবার রাতেই প্রায় ১০-১২ জন মিলে চড়াও হয় তাঁর উপর। এলোপাথাড়ি মারধরের পাশাপাশি করা হয় অকথ্য গালিগালাজও। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।

তাঁর মাথায় চোট লেগেছে। তাঁকে প্রথমে পাঁচখুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই চিকিত্‍সাধীন রয়েছেন ওই বৃদ্ধা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। রাতেই ঘটনাস্থলে যায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তারা তদন্ত শুরু করেছে।

ইতিমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। রবিবার তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান এলাকার বিধায়ক দিনেন রায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এবং আদিবাসী নেতারা। দিনেন বাবু বলেন এটা একটা সামাজিক সমস্যা। পুলিশ তদন্ত করছে। এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে তা দেখার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, ডাইনি সন্দেহে এর আগেও ওই বৃদ্ধাকে একাধিকবার হেনস্থা করা হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ঘরছাড়া ছিলেন বলেও জানা গেছে স্থানীয় সূত্রের খবরে।