ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ ২০০৬ এর ইতিহাস 

ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ ২০০৬ এর  ইতিহাস 

২০০৬ বিশ্বকাপের FIFA World Cup 2006 জন্য আয়োজক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০০ সালের জুলাইয়ে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে। এতে অংশগ্রহণ করে চারটি দেশ: জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড এবং মরোক্কো। নির্বাচন অনুষ্ঠানের তিন দিন আগে ব্রাজিল তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে।[৩] নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তিনটি পর্বের সমন্বয়ে। প্রতি পর্বে সবচেয়ে কম ভোট পাওয়া দেশ নির্বাচন থেকে বাদ পরে যায়। প্রথম দুই পর্ব অনুষ্ঠিত হয় ২০০০ সালের ৬ জুলাই এবং তৃতীয় অর্থাৎ‍ চূড়ান্ত পর্বটি অনুষ্ঠিত হয় ৭ জুলাই। এতে বিজয়ী হয় জার্মানি। 

২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা ফিফা বিশ্বকাপের আঠারোতম আসর। ২০০৬ সালের ৯ জুন থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত প্রতিযোগিতাটি জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হয়। ২০০০ সালের জুলাই মাসে জার্মানি প্রতিযোগিতার আয়োজক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল। ছয়টি মহাদেশের ১৯৮ টি জাতীয় ফুটবল দল প্রতিযোগিতার বাছাই পর্বে অংশ নিয়েছিল।

বাছাই পর্ব ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হয়েছিল। আয়োজক জার্মানি ছাড়া আরো ৩১টি দল বাছাইপর্ব অতিক্রম করে চূড়ান্তপর্বে খেলা নিশ্চিত করে। এই বিশ্বকাপে গ্রুপ জি তে মুখোমুখি হয় ব্রাজিল, সৌদি আরব, হণ্ডুরাস, গ্রীস ও জাপান। জাপান, সৌদি আরব, হণ্ডুরাস ও গ্রীসের কাছে হেরে ০ পয়েন্ট ও ০ গোল নিয়ে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেয় ব্রাজিল। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় জাপান আর গ্রুপ রানার্স আপ হয় সৌদি আরব। এই প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলায় ইতালি জার্মানিকে হারিয়ে শিরোপা লাভ করে।

নির্ধারিত সময়ে ১–১ গোলে সমতা থাকার পর টাইব্রেকারে ইতালি ৪–৩ ব্যবধানে ফ্রান্সকে পরাজিত করে। পর্তুগালকে ৩–১ গোলে হারিয়ে ফ্রান্স তৃতীয় অবস্থান লাভ করে। ২০০৬ বিশ্বকাপ ছিল টেলিভিশনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দর্শকসমৃদ্ধ অনুষ্ঠানের একটি। আনুমানিক ২৬.২৯ বিলিয়ন দর্শক এই প্রতিযোগিতা দেখেছেন। ফাইনাল খেলা দেখেছেন প্রায় ৭১৫.১ মিলিয়ন দর্শক। দর্শক সংখ্যার বিচারে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপের অবস্থান চতুর্থ। এর আগের অবস্থানে রয়েছে ১৯৯৪, ২০০২ ও ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠানগুলো।

ফিফা বিশ্বকাপ ২০০৬ ছিল ফিফা বিশ্বকাপের অষ্টদশ আসর। এই বিশ্বকাপের আসর ৯ জুন থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হয়। সর্বমোট ৩২টি দেশ এই খেলায় অংশগ্রহণ করেছিল। ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় ইতালি। ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে নানান কারণে উল্লেখযোগ্য  হয়ে আছে।

সংযুক্ত জার্মানি হিসেবে প্রথমবার জার্মানিতে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর আয়োজিত হয়। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের নায়ক  ফ্রান্সের ফুটবলার জিনেদিন জিদান এই বিশ্বকাপের ফাইনালে ইতালির ফুটবলার মাতেরাজ্জিকে মাথা দিয়ে গুঁতো মেরে লাল কার্ড দেখেন। এই বিশ্বকাপের ম্যাসকটটি ছিল একটি সিংহের যে জার্মানির জার্সি পরিহিত অবস্থায় হাতে ফুটবল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। 

ম্যাসকটটির নাম – গোলিও – ৬। এই বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত বলটির নাম ছিল – ‘টিমজিস্ট’। এই বিশ্বকাপের অফিসিয়াল থিম গান ছিল – ‘দ্য টাইম অব আওয়ার লাইভস’। এই বিশ্বকাপের ৬৪টি ম্যাচে মোট ১৪৭টি গোল হয়।  ৩২টি দলকে আটটি গ্রুপে ভাগ করা হয়। প্রথম গ্রুপে ছিল – জার্মানি, ইকুয়েডর, পোল্যান্ড, কোস্টারিকা।

দ্বিতীয় গ্রুপে ছিল –  ইংল্যান্ড, সুইডেন,প্যারাগুয়ে ত্রিনিদাদ এবং টোবাগো। তৃতীয় গ্ৰুপে ছিল – আর্জেন্টিনা, নেদারল্যান্ড, আইভরি কোস্ট, সার্বিয়া এবং মন্টেনেগ্রো। চতুর্থ গ্ৰুপে ছিল – পর্তুগাল, মেক্সিকো, অ্যাঙ্গোলা, ইরান। পঞ্চম গ্ৰুপে ছিল –  ইতালি, ঘানা, চেক প্রজাতন্ত্র, আমেরিকা। ষষ্ঠ গ্ৰুপে ছিল – ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, ক্রোয়েশিয়া, জাপান।

সপ্তম গ্ৰুপে ছিল – সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, টোগো। অষ্টম গ্ৰুপ ছিল – স্পেন, ইউক্রেন, তিউনিশিয়া, সৌদি আরব।   ফিফা বিশ্বকাপ ২০০৬ এর ফাইনালে ফ্রান্সকে ৫ -৩ (পেনাল্টি) গোলে হারিয়ে বিজয়ী হয় ইতালি। এটি ছিল ইতালির চতুর্থ বিশ্বকাপ জয়। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান যথাক্রমে জার্মানি ও পর্তুগাল অর্জন করে। জার্মানির বার্লিনে অবস্থিত অলিম্পিয়া স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচটি খেলা হয়।

ইতালির পক্ষে মূল সময় সীমার মধ্যে একটি গোল করেন মাতেরাজ্জি এবং ফ্রান্সের হয়ে একটি গোল করেন জিনেদিন জিদান।  এরপর টাইব্রেকারে পেনাল্টি শুট আউটে ইতালির পক্ষে পাঁচটি গোল করেন যথাক্রমে – পিরলো, মাতেরাজ্জি, ডি রসি, দেল পিয়েরো এবং গ্রোসো।  ফ্রান্সের পক্ষ থেকে তিনটি গোল করেন যথাক্রমে – উইলটর্ড, আবিদাল এবং স্যাগনোল।   জার্মানির মিরোস্লাভ  ক্লোসে ৫টি গোল করে এই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারটি অর্জন করেন। 

আরো পড়ুন      জীবনী  মন্দির দর্শন  ইতিহাস  ধর্ম  জেলা শহর   শেয়ার বাজার  কালীপূজা  যোগ ব্যায়াম  আজকের রাশিফল  পুজা পাঠ  দুর্গাপুজো ব্রত কথা   মিউচুয়াল ফান্ড  বিনিয়োগ  জ্যোতিষশাস্ত্র  টোটকা  লক্ষ্মী পূজা  ভ্রমণ  বার্ষিক রাশিফল  মাসিক রাশিফল  সাপ্তাহিক রাশিফল  আজ বিশেষ  রান্নাঘর  প্রাপ্তবয়স্ক  বাংলা পঞ্জিকা