দেশের এই কয়েকটি উষ্ণপ্রস্রবণের হদিশ জেনে নিন 

দেশের এই কয়েকটি উষ্ণপ্রস্রবণের হদিশ জেনে নিন 

প্রকৃতিদেবী নিজেকে  উজার  করে দিয়েছে আমাদের দেশে। প্রকৃতির দেওয়া অন্যতম একটি অমূল্য সম্পদ হল  উষ্ণপ্রস্রবণ। আমাদের দেশের উষ্ণপ্রস্রবণগুলি সাধারণত পাহাড়ের কোলে থাকা রাজ্যগুলিতেই রয়েছে। শুধু পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবেই যে সেসব জায়গায় যাবেন তা নয়। উষ্ণপ্রস্রবণে স্নান করলে নাকি অনেক রোগ নিরাময় হয়। শরীরের ব্যথা বেদনা দূর করতেও এই জল দারুণভাবে উপকারি। আসুন দেশের কয়েকটি উষ্ণপ্রস্রবণের হদিশ জেনে নেওয়া যাক…… 

পবিত্র তপোবন : এটি দেশের অন্যতম গুপ্ত উষ্ণপ্রস্রবণ , স্থানীয়রাই শুধু এর খোঁজ জানেন। জোশিমঠ থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে রয়েছে তপোবন। চিত্রকণ্ঠের কৌরী পাস যাওয়ার পথে পর্যটকরা এই তপোবন পেরোন। গঙ্গোত্রী হিমবাহের সন্নিকটে হওয়ায় তপোবন হিন্দুদের পবিত্র তীর্থক্ষেত্র।

হিমাচলের মণিকরণ :  দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় উষ্ণপ্রস্রবণটি হিমাচলের পার্বতী উপত্যকায় অবস্থিত। কুলু, মানালি বেড়াতে গেলে পর্যটকরা একবার এই যায়গায় ঢুঁ দেবেনই। শীতকালে এই প্রস্রবণের চাহিদা আরও বেড়ে যায়। রোগ নির্মূলের বিশ্বাসে প্রস্রবণে স্নান করেন অনেকেই। হিমাচলের আরেকটি  উষ্ণপ্রস্রবণ হল ক্ষীরগঙ্গা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের জন্য ক্ষীরগঙ্গা বেশ জনপ্রিয়। রোগ নির্মূল এবং অ্যাডভেঞ্চারের কারণে এখানকার জলেও ডুব দেওয়া পর্যটকদের জন্য মাস্ট। শরীরের ব্যথা দূর করতে এবং মনে শান্তি আনতে এই গরম জল নাকি বেশ কার্যকর। শুধু প্রস্রবণের স্নান নয়, পায়ে হেঁটে এলাকা ঘুরে বেড়াতে পারেন। 

ইয়ামথাং : দেশের অন্ততম জনপ্রিয় উষ্ণপ্রস্রবণ ইয়ামথাং , এটি সিকিমে অবস্থিত। ইয়ামথাং-এর কাছে একাধিক ছোটো উষ্ণপ্রস্রবণেরও দেখা পাবেন। লাচেনের খুব কাছেই দেখা মিলবে এই উষ্ণপ্রস্রবণের। তবে এখানে পর্যটকরা শুধু গরমজলের টানেই আসেন না, আবহবিকারের ফলে উৎপন্ন প্রাকৃতিক ভাস্কর্যও তাঁদের মুগ্ধ করে।