গলা শুকিয়ে কাঠ, ঘুমনোর সময়ে? জেনে নিন কি বলছেন ডাক্তাররা

গলা শুকিয়ে কাঠ, ঘুমনোর সময়ে? জেনে নিন কি বলছেন ডাক্তাররা

আজবাংলা   ঘুমনোর সময়ে গলা শুকিয়ে যায়? বার বার জল তেষ্টা পায়? যদি, এমনটা মাঝেমধ্যে হয়ে থাকে তাহলে চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু এই বিষয়টা যদি প্রায়শই হয়ে থাকে, তাহলে লক্ষণ মোটেও ভালো নয়। কারন বিশেষজ্ঞ থেকে ডাক্তাররা জানিয়েছেন যে, এটি রোগের কারনে এমনটা হয়ে থাকে। এই রোগের মূল কারণটি হল, জেরোস্টোমিয়া। তবে, চিন্তার কোন কারন থাকবে না যদি শুরুতেই ডাক্তারের সাহায্য নিয়ে থাকেন। আজকের প্রতিবেদনে দেখে নেব কেন এটি হয়, কি এর উপায়। 

১. যারা ধূমপান ও অ্যালকোহল পান করেন তাদেরও এই সমস্যা হতে পারে। জার্নাল অফ ডেন্টাল রিসার্চের পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা প্রতিদিন ধূমপান ও অ্যালকোহল ৩৯ শতাংশ মানুষের মুখের লালা উৎপাদন কমে গিয়েছে।

২. ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণেও এই রোগ হতে পারে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে হতাশা, ব্যাথা ও পেশি শিথিলতার জন্য যে যে ওষুধ খেতে হয়, তার ফলে মুখ শুষ্ক হয়ে আসতে পারে।

৩. এছাড়া ডায়াবেটিস হলে মুখ শুকিয়ে আসতে পারে। তাই ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় মুখ শুকিয়ে এলে পরামর্শ নিন ডাক্তারের। আপনার শরীরে ডায়াবেটিসের প্রকোপ ঠিক কতটা তা না জানা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কারণ, এই উপসর্গ কিছু ক্ষেত্রে জানান দেয় শরীরে ডায়াবেটিসের উপস্থিতি।

৪) নার্ভের রোগীদের মধ্যেও সমস্যা দেখা যায়।

৫) পেটের সমস্যা বা ডিহাড্রেশন হলেও গলা শুকিয়ে যেতে পারেন।

৬. কিছুক্ষেত্রে দেখা যায় আমরা অনেকে ঘুমানোর সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নিয়ে থাকি। মূলত, হাইপোসালিভেশনের কারণে এমনটা হয়। সে সময়ে মুখ শুকিয়ে যায়। নাক দিয়ে না শ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া একধরনের অভ্যাস বলে মনে করেন অনেকে। তাই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

কিন্তু এই ধরনের সমস্যা পেতে গেলে কি করতে হবে তাও জেনে নেওয়া দরকার-

১) প্রথমেই ধূমপান বন্ধ করে দিন।

২) অতিরিক্ত চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তাও ত্যাগ করতে হবে।

৩) বেশি মদ্যপান করলে এই সমস্যা দেখা যায়। তাই মদ্যপান বন্ধ করুন।

৪) শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে অতিরিক্ত জল খাও।