পঞ্চ দেবস্থানের রহস্যগাঁথা জেনে নিন

পঞ্চ দেবস্থানের রহস্যগাঁথা জেনে নিন

আজবাংলা   গোটা পৃথিবীটাই মোড়া রহস্যের চাদর দিয়ে। নানা প্রান্তরে নানান জিনিস ছড়িয়ে ছিতিয়ে আছে। কবে কোথা থেকে কীভাবে এলো তা কেউ বলতে পারে না। শত পরীক্ষা নিরীক্ষা করেও জানা যায়নি কিছুয়েই।এইসব দিক থেকে দেখতে গেলে আমাদের দেশ ভারতবর্ষ কিছু কম যায় না।ভারতবর্ষ মানেই স্থাপত্য, শিল্প ও রহস্য। এই তিন বিষয় নিয়েই ভারতবর্ষ। আমাদের দেশে সেই হিমালয় থেকে কন্যাকুমারী অবধি অনেক রহস্য রয়েছে।

যা জানলে সত্যি অবাক হতেই হয়। চলুন আজকে লেখার মাধ্যমে ঘুরে আসুন রহস্য দিয়ে ঘেরা দেশের পাঁচটি মন্দিরে। প্রত্যেক মন্দিরে ছড়িয়ে আছে রহস্য। সাথে অবাক করে দেওয়া ঘটনা।

বৃহদীশ্বর মন্দির  দক্ষিণ ভারতের চোল সাম্রাজ্যের নিদর্শন এটি। আয়তনে এটি ভারতে সপ্তম বৃহত্তম হিন্দু মন্দির। প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টন গ্রানাইট পাথর দিয়ে মন্দিরটি করা হয়েছে। এখানে বিশাল বড় নন্দীর মূর্তি রয়েছে।যা একটিই গ্রানাইট পাথর খোদাই করে তৈরি করা হয়েছে। মন্দিরটির শৃঙ্গ ৬৬ মিটার উঁচু। যেখানে ৮০ টনের একটি খোদাই করা পাথর রয়েছে। হাজার বছর আগে কীভাবে ওই পাথরটি সেখানে পৌঁছনো হয়েছিল তা আজও মানুষের কাছে রহস্য। শত চেষ্টা করেও জানা যায়নি এর কারন।

পদ্মনাভস্বামী মন্দির  বিশ্বের ধনীতম মন্দিরের তালিকায় পড়ে এটি। ভিতরে রহস্যময় ছয়টি ভল্ট রয়েছে। ২০১১ সালে ইন্ডিয়ান সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পাঁচটি ভল্ট খোলা হয়। প্রচুর পরিমাণে সোনা, রত্ন, প্রাচীন মূর্তি পাওয়া গিয়েছে।কিন্তু রহস্যজনকভাবে ছয় নম্বর ভল্টটি খোলা সম্ভব হয়নি। ভল্টের দরজায় সাপের প্রতিকৃতি রয়েছে। যার মনের শক্তি সবচেয়ে বেশি এমন মানুষই নাকি গারুদা মন্ত্রের মাধ্যমে দরজাটি খুলতে পারবেন।

কৈলাস মন্দির  মহারাষ্ট্রের ইলোরা গুহায় অবস্থিত এই মন্দিরটি। একটি মাত্র পাথর খোদাই করে বিশাল এই মন্দিরটি তৈরি হয়েছে। শোনা যায়, মন্দিরটি তৈরি করতে ১৮ বছর লেগেছিল। এর আয়তন প্রায় তাজমহলের সমান।

বীরভদ্র মন্দির  বিজয়নগর শৈলির কারুকাজ করা রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের এই মন্দিরে। মন্দিরে প্রায় ৭০টি স্তম্ভ রয়েছে। একটি পাশের স্তম্ভগুলি ভূমি স্পর্শ করে না। মন্দির থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে একটি নন্দীর মূর্তি আছে।একটি পাথর খোদাই করে তৈরি করা হয়েছে সেটি। মন্দিরে একটি বিশাল পায়ের ছাপ রয়েছে। যা দিয়ে অনবরত জল প্রবাহিত হয়। লোকমুখে শোনা যায় সেটি নাকি হনুমানের পায়ের ছাপ।

কোনারকের সূর্য মন্দির কলিঙ্গ রীতিতে তৈরি মন্দিরের চূড়াগুলো পিরামিড আকৃতির। এটি রথের মতো দেখতে মন্দিরটি। যার ২৪টি চাকা টানার জন্য রয়েছে ৭টি ঘোড়া।শোনা যায়, মন্দিরের যে অংশটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল তাতে ৫২ টনের একটি চুম্বক ছিল। আর মন্দিরের চাকাগুলি এভাবে তৈরি যাতে সূর্যের আলোয় পড়া ছায়ার সূত্র ধরে সময় নির্ধারণ করা যায়।