ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য রইল  কুয়ালালামপুরের কিছু পর্যটনস্থলের ঠিকানা   

ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য রইল  কুয়ালালামপুরের কিছু পর্যটনস্থলের ঠিকানা   

মালয়েশিয়ার রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর হল কুয়ালালামপুর। ভ্রমণ পিপাসুদের পছন্দের তালিকায় অন্যতম নাম হল কুয়ালালামপুর। প্রতি বছর ৮.৯ মিলিয়ন পর্যটক নিয়ে কুয়ালালামপুর বিশ্বের ষষ্ঠ সর্বাধিক পরিদর্শন করা শহর।  কুয়ালালামপুর শহর জুড়ে রয়েছে অসংখ্য ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ, সুদৃশ্য পার্ক, মিনার, মুঘল ধাঁচের গম্বুজ ও স্কাই স্ক্যাপার।মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে পৌঁছাতে হলে বিমানে করে পৌঁছে যেতে হবে কুয়ালালামপুর বিমান বন্দরে।

বিমান বন্দর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কুয়ালালামপুর শহর। কুয়ালালামপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু পর্যটন স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম হল  পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার, কুয়ালালামপুর টাওয়ার, পেটালিং স্ট্রিট , মেরডেকা স্কয়ার, সংসদ সদস্য, ডিয়ার পার্ক, অর্কিড গার্ডেন, বাটারফ্লাই পার্কবুকিট বিনতাং শপিং জেলা,  জাতীয় প্রাসাদ, জাতীয় জাদুঘর , ইসলামিক আর্টস মিউজিয়াম, সেন্ট্রাল মার্কেট, কেএল বার্ড পার্ক, অ্যাকোয়ারিয়া কেএলসিসি, জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভ  সহ আরও সুন্দর সুন্দর পর্যটনস্থল। এখানে কিছু জায়গা নিয়ে আলোচনা করা হল……   

ইসলামিক আর্ট মিউজিয়াম : বিশ্বের সেরা ইসলামিক ভবন, চমৎকার স্থাপত্যের নমুনা মডেল, কার্পেট, গহনা ও ক্যালিওগ্রাফি সহ গোটা বিশ্বের ইসলামিক বিভিন্ন শিল্প প্রদর্শিত রয়েছে এই ইসলামিক আর্ট মিউজিয়ামে। যা গোটা বিশ্বের পর্যটকদের নজর কাড়ে।


 


পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার : ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা টাওয়ার হিসেবে পরিচিত ছিল এই পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার। কুয়ালালামপুর শহরের প্রতীক হল এই পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার। কুয়ালালামপুরের প্রধান হল আকর্ষণ এই টাওয়ার।


চায়না টাউন : পুরোন কুয়ালালামপুর শহর খুঁজে পেতে হলে অবশ্যই পৌঁছে যেতে হবে চায়না টাউনে। চায়না টাউনে দেখার মতো বেশ কয়েকটি জায়গা রয়েছে। মিনারা টাওয়ার, মারদেকা স্কোয়ার, জংসান বিল্ডিং যেমন রয়েছে  তেমনই রয়েছে সেন্ট্রাল মার্কেট ও পেতালিং স্ট্রীট মার্কেটও। 

ন্যাশনাল মিউজিয়াম : মালয়েশিয়ার অতীত থেকে বর্তমানের ইতিহাস ধারন করে রয়েছে কুয়ালালামপুরের এই ন্যাশনাল মিউজিয়াম। দেশের ভূতাত্ত্বিক বিভিন্নবৈশিষ্ট্য ও প্রাগৈতিহাসিক সময়ের ইতিহাস তুলে ধরার পাশাপাশি আধুনিক ইতিহাসেরও স্বাক্ষ্য বহন করে এই ন্যাশনাল মিউজিয়াম।

মানেরা কুয়ালালামপুর : ৪২১ মিটার লম্বা এই টাওয়ারের শীর্ষে রয়েছে একটি ঘূর্ণায়মান রেস্তোরা। টাওয়ারের ২৭৬ মিটার উঁচুতে রয়েছে একটি অভ্যন্তরীণ অবজারভেশন ডেক। অন্যদিকে, টাওয়ারের ৩০০ মিটার উপরে রয়েছে স্কাই ডেক। যা পর্যটকদের কাছে খুব প্রিয় একটি জায়গা।