বুলেট বাইক থেকে ইঁদুর , আজব কিছু মন্দির আছে আমাদের দেশেই 

 বুলেট বাইক থেকে ইঁদুর ,  আজব কিছু মন্দির আছে আমাদের দেশেই 

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে  বিভিন্ন দেবতার আরাধনা করা হয়ে থাকে।যেমন দক্ষিণে তিরুপতি , এখানে দেবী দুর্গা, কালী আবার মুম্বাইয়ে গণপতির পূজা সবচেয়ে বড় করে পালন করা হয়। এবং আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে  বিভিন্ন দেবদেবীর মন্দিরও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তবে বেশ কিছু আজব মন্দির রয়েছে আমাদের দেশে । চলুন সেগুলি জেনে নেওয়া যাক …… 


ভারত মাতা মন্দির : বারাণসী ও হরিদ্বারে রয়েছে ভারত মাতা মন্দির।এখানে ভারতবর্ষের  একটি মানচিত্র মেঝেতে তৈরি করে তাতে পূজা করা হয়।  ভারতবর্ষকে মাতৃরূপে পূজা করা হয় এই মন্দির গুলিতে।ভারত মাতা মন্দিরটি 1936 সালে মুক্তিযোদ্ধা বাবু শিবপ্রসাদ গুপ্ত নির্মাণ করেছিলেন এবং মহাত্মা গান্ধী উদ্বোধন করেছিলেন। মন্দিরটি মহাত্মা গান্ধী কাশী বিদ্যাপীঠের ক্যাম্পাসে নির্মিত

বুলেট বন্না মন্দির :  বুলেট বন্না মন্দিরের অবস্থান যোধপুরের পালিতে । এখানে একটি রয়্যাল এনফিল্ড বুলেটকে  পূজা করা হয় । ১৯৮৮ সালে ওম সিং রাঠৌর নামে এক ব্যক্তি এই গাড়িটি নিয়ে চালানোর সময়ে দুর্ঘটনায় মারা যান। এরপরে পুলিশ এসে বাইকটি নিয়ে গেলে  পরের দিন সকালে দুর্ঘটনা স্থলে দেখা যায় বাইকটি। পরে বাইকটি তালা দিয়ে, পেট্রোল বের করে রাখলেও ওই একই ঘটনা ঘটে। 

কারনি মাতা মন্দির : রাজস্থানের বিকানের  এই মন্দিরটি ইঁদুরের মন্দির নামে খ্যাত। এই মন্দিরের মধ্যে  ২৫ হাজারের মতো  ইঁদুরের বাস বলে জানা যায়।এখানে ইঁদুরদের রোজ খেতে দেওয়ার রীতি আছে। 

সনিয়া গান্ধী মন্দির : তেলেঙ্গানায় রয়েছে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর  মন্দির  । মন্দিরের ভিতরে সনিয়ার একটি মূর্তি ছাড়াও ইন্দিরা গান্ধী সহ নেহেরু পরিবারের অনেকের ছবি থরে থরে সাজানো রয়েছে।৯ ফুটের  সনিয়া গান্ধীর এই  মূর্তিতে রয়েছে এক হাতে পদ্ম এবং অন্য হাতে সম্পদে পরিপূর্ণ প্লেট।

চাইনিজ কালী মন্দির : কলকাতা শহরের ট্যাংরায় অবস্থিত চাইনিজ কালী মন্দির ,  এই মন্দিরটিতে পূজা দেন চায়না টাউনের  চিনা বাসিন্দারা।  ষাট বছর আগে একজন চীনা ভদ্রলোক এই মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ধর্মে ছিলেন চৈনিক বৌদ্ধ। বর্তমানে তার তৃতীয় পুরুষ এই মন্দিরের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন।তবে সেই নুডুলস নিরামিষ। এই মন্দিরে প্রসাদ হিসাবে দেওয়া হয় ন্যুডলস। অন্য সকল পূজার মতো ফল প্রসাদের সাথে নুডুলসকেও প্রসাদ হিসাবে বিতরণ করা হয়।

ব্রহ্মা মন্দির : রাজস্থানের পুষ্করে রয়েছে ব্রহ্মা দেবতার মন্দির।  এই মন্দির ২ হাজার বছরের পুরনো বলে জানা যায়।এছাড়াও মানালিতে রয়েছে হিড়িম্বা দেবী মন্দির।সেখানকার গুহায় বসে সে রাক্ষসী থেকে দেবী হওয়ার সাধনা করেছিল হিড়িম্বা ।

 
কালী ভৈরব মন্দির :  উজ্জ্বয়িনীতে অবস্থিত এই কালী ভৈরব মন্দির।এই মন্দির শিব ঠাকুরকে প্রসাদ হিসাবে সুরা দেওয়া হয়। সরকারের তরফে মন্দিরের পাশেই খুলে দেওয়া হয়েছে মদের দোকান  সেখান থেকে  মদ কিনে শিব ঠাকুরের  ভোগ দেন ভক্তরা।