বর্ষার দিনে পোকামাকড়দের হাত থেকে রেহাই পান খুব সহজেই

বর্ষার দিনে পোকামাকড়দের হাত থেকে রেহাই পান খুব সহজেই

আজবাংলা-  কাজে বাইরে যেতে হলে বৃষ্টি বিরক্তিকর। তবে ঘরে থাকার দিনে বৃষ্টির রিমঝিম ছন্দ বেশ উপভোগ্য। তবে বর্ষাকালেরও আছে নিজস্ব অস্বস্তিকর দিক। যার একটি হল বিভিন্ন পোকামাকড়ের উপদ্রব। আর্দ্রতা ও উষ্ণতার মিশ্রণে এই ঋতু পোকামাকড়ের প্রিয় পরিবেশ।

এই সময়ে ঘরে মশা ছাড়াও আরও অনেক পোকামাকড়ের উপস্থিতি চোখে পড়বে। এখন এদের মধ্যে সিংহভাগই মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়। তবে ঘরের আসবাব ও দেয়ালের জন্য ক্ষতিকর। আর রোগের জীবাণুবাহী পোকামাকড় তো আছেই। আজকের প্রতিবেদনে দেখে নেব, এই সমস্যার সমাধান কীভাবে করা যায়।

মশা-  জমে থাকা জলে মশা ডিম পাড়ে। তাই বর্ষাকালে স্বাভাবিকভাবেই মশার উপদ্রব বাড়ে। তাই বাড়ির আশপাশে দীর্ঘদিন ধরে জল জমে থাকতে পারে এমন যেকোনো স্থান পরিষ্কার করা আবশ্যক। মশারি, কয়েল, ধুপ, অ্যারোসল, লিকুইড কয়েল, ওডোমস, মসকুইটো রিপেল্যান্ট যন্ত্র ইত্যাদি নানান উপায় মানুষ ব্যবহার করে সাধ্য অনুযায়ী।

তবে এগুলো ছাড়াও আরেকটি কার্যকর উপায় হল বারান্দা ও জানালায় ‘মসকুইটো নেট’ লাগানো। পর্দার দোকান থেকে বাড়ির জানালার মাপে মশারি কাপড় দিয়ে ‘নেট’ বানিয়ে নেওয়া যায় আজকাল। এতে ঘরে মশা ঢোকাই বন্ধ হবে।

উইপোকা ও ঘুনপোকা-  ঘরের কাঠের আসবাবের যম এই পোকাগুলো। আর তা একবার ঘরে প্রবেশ করলে তাড়ানো কঠিন। তাই পোকা যাতে কাঠের আসবাব পর্যন্ত পৌঁছাতে না পারে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এজন্য কাঠের আসবাবগুলো ‘অ্যান্টি-টারমাইট সল্যুশন’ দিয়ে বার্নিশ করে নিতে পারেন। এছাড়াও ‘বোরিক অ্যাসিড’, ‘টারমিসাইড’ ইত্যাদি রাসায়নিক উপাদান দিয়েও এসব পোকার উপদ্রব ঠেকানো যায়।

কেঁচো ও বিছে-  রাতে শৌচাগারে গিয়ে যে লম্বা জীবটি কিলবিলিয়ে চলতে দেখে আঁতকে ওঠেন সেটাই কেঁচো বা ‘আর্থওয়ার্ম’। আর লম্বা আবার গায়ে কাটাকাটা- সেটা হল বিছা। বৃষ্টির দিনগুলোতেই মূলত মাটির নিচে থাকা এই পোকাগুলো উঠে আসে। এই পোকা কোনো ক্ষতি করে না ঠিকই।

তবে ওই যে আঁতকে ওঠা থেকে বাঁচতেই এগুলোকে দমন করতে হবে। শৌচাগার যথাসম্ভব শুকনা রাখতে হবে। আর সেখানকার জল যাওয়া রাস্তায় ঢাকনা দিতে হবে। রাতের বেলা ড্রেনের মুখে কিছুটা নুন দিয়ে রাখলেও অনেকটাই রেহাই পাওয়া যাবে।