এই বদ অভ্যাসগুলি হয়ে উঠে মাইগ্রেনের কারন

এই বদ অভ্যাসগুলি হয়ে উঠে মাইগ্রেনের কারন

আজবাংলা  যার হয় শুধু সেই জানে। এর যন্ত্রণা সবথেকে মারাত্মক। অনেকে এবার একে ‘আধ-কপালি’ ব্যথাও বলা হয়ে থাকে। আমরা সাধারন ভাবে মাইগ্রেন নামে চিনি। মাইগ্রেন নামটি শুনলেই ভয়ে বুক কাঁপে। যারা মাইগ্রেনের রোগী, তাঁদের কষ্ট বলার নয়। এর যন্ত্রণা অত্যন্ত কষ্টদায়ক এবং দীর্ঘস্থায়ী।

মাথার যে কোনও এক পাশ থেকে শুরু হয়ে তা মারাত্মক কষ্টকর হয়ে ওঠে। এর ব্যথা টানা বেশ কয়েকদিন থাকে। তীব্র মাথা যন্ত্রণার পাশাপাশি তাঁদের বমি বমি ভাব, শরীরে এবং মুখে অস্বস্তিভাব দেখা দিতে পারে। এখন বাজারে মাইগ্রেনের জন্য নানা ধরনের ট্যাবলেট ইত্যাদি বেরিয়েছে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে, এই মাইগ্রেনের কষ্ট কেন হয়। কি কি কারনের জন্য দায়ী এই মাইগ্রেন।

১) আওয়াজ : খুব জোরে আওয়াজ, গান শোনা, চেঁচিয়ে কথা বলা ইত্যাদির কারণেও মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রচণ্ড জোরে আওয়াজের কারণে প্রায় দু’দিন মত টানা মাইগ্রেনের ব্যথা থাকে।

২) কফি খাওয়া বন্ধ করলে : গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা প্রায়ই নিয়মিত ক্যাফেইন জাতীয় তরল পানীয় খেতে ভালোবাসেন বা অভ্যস্ত, তারা হঠাৎ করে যদি সেই অভ্যাস ত্যাগ করেন বা বন্ধ করে দিলে তখন মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে।

৩) অতিরিক্ত ঘুম : মাত্র এক দিনের ঘুমের অনিয়মের কারণে শরীরের উপরে খারাপ প্রভাব পড়তে পাড়ে। যেমন, যারা নিয়মিত মোটামুটি ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা করে ঘুমোন, তারা যদি হুট করে একদিন একটু বেশি ঘুমিয়ে ফেলেন, সেক্ষেত্রে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হয়ে যায়।

৪) পেট খালি করে রাখা : পেট খালি থাকলে মাইগ্রেনের ব্যথা বা সমস্যা শুরু হতে পারে। এর কারণ হচ্ছে, খালি পেটে থাকলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। এরফলে, যা মাইগ্রেনের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

৫) মানসিক চাপ : যারা অনেক বেশি চাপ নিয়ে একটানা কাজ করে চলেন এবং নিজের ঘুম ও খাওয়া-দাওয়ার কোনও নির্দিষ্ট সময় মেনে চলতে পারেন না, তাদের বেশি মাইগ্রেনে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। তাই মানসিক চাপ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। খুব মানসিক চাপে থাকলে এক কাপ লেবু চা খেয়ে নিন। এতে মস্তিষ্ক কিছুটা রিলাক্স হবে।

৬) মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি খেলে : যখন অনেক বেশি মিষ্টি খাবার খেয়ে ফেলি তখন আমাদের রক্তের সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত ইনসুলিনের উৎপাদন হতে থাকে। যার ফলে রক্তের সুগারের মাত্রা নেমে যায়। এ ভাবে হঠাৎ হঠাৎ রক্তে সুগারের মাত্রার তারতম্য হওয়ার কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে।

৭) আবহাওয়া : অতিরিক্ত রোদের মধ্যে ঘোরাঘুরির কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে। এ ছাড়াও অতিরিক্ত গরম, অতিরিক্ত আর্দ্রতার তারতম্যে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হয়ে থাকে।