হনুমান চল্লিশা | Hanuman Chalisa

হিন্দুশাস্ত্রে তেত্রিশ কোটি দেব দেবীর কথা উল্লেখ আছে। আর এই প্রত্যেক দেব দেবীর আরাধনার একটি নির্দিষ্ট তিথি রয়েছে। আমাদের সপ্তাহের প্রত্যেকটি দিনই কোন না কোন দেব দেবীর পূজার কথা উল্লেখ আছে। তেমনি মঙ্গলবার হিন্দু শাস্ত্রে হনুমানজীর পূজোর কথা উল্লেখ আছে। মঙ্গলবার হনুমানজীর পূজো করলে পারিবারিক অশান্তি দূরীভূত হবে।
পরিবারের উপর কুদৃষ্টি পড়বে না। মঙ্গলবার হনুমান জীর পূজো করা হয় কারণ মঙ্গলবার হনুমানজী জন্মেছিলেন, তাই সপ্তাহের এই দিন হনুমানজীর পূজো করার উপযুক্ত সময়। হনুমান চালিশা হল রামায়ণের অন্যতম মুখ্য ব্যক্তিত্ব হনুমানের প্রতি নিবেদিত অওধী ভাষায় লিখিত একটি জনপ্রিয় ভক্তিমূলক চালিশা অর্থাৎ চল্লিশটি চৌপাই ।
মঙ্গলবার এবং শনিবার করেও অনেকে হনুমানকে স্মরণের জন্য হনুমান চল্লিশা পাঠ করেন। বলা হয় প্রতিদিন যদি বিশেষত রাতের বেলা হনুমান চল্লিশা পাঠ করেন, তাহলে তার অভূতপূর্ব ফলাফল পাওয়া যায়। গোস্বামী তুলসীদাসের অসাধারণ সৃষ্টি হল হনুমান চল্লিশা (Hanuman challisha)।এই পৃথিবীতে যাবতীয় খারাপ, যা-ই পাপ তা দূর করতে হনুমান চল্লিশা পাঠ করা উচিত। যেকোনও বয়সের মানুষ, ছোট থেকে বড় যেকেউ হনুমান চল্লিশা পাঠ করতে পারেন।
তবে এবার জেনে নিন হনুমান চল্লিশা পাঠ করার কিছু ভালো দিক, যাতে আপনি এবং আপনার পরিবারের সকলেরই মঙ্গল হবে। 'সঙ্কট মোচন শ্রী হনুমানুষ্টক'। হনুমান চল্লিশার একটি মন্ত্রেই বলা হয়েছে যে, বজরঙ্গবলীর মন্ত্র উচ্চারণ করলে কোনও ব্যক্তির সমস্ত বাধা বিপত্তি দূর হয়ে যায়। সমস্ত বাধা অতিক্রান্ত হয়ে চলার পথ সুগম হয়ে যায়। তাই যখনই কোনও বিপদে পড়বেন বা কোনওরকম বাধার সম্মুখীন হবেন, তখন অবশ্য মনে মনে এই 'সঙ্কট মোচন শ্রী হনুমানুষ্টক' মন্ত্র জপ করুন, সমস্ত বাধা-বিঘ্ন কেটে যাবে।
হনুমান চল্লিশা
জয় হনুমান জ্ঞান গুণ সাগর |
জয় কপীশ তিহু লোক উজাগর || ১
রামদূত অতুলিত বলধামা |
অংজনি পুত্র পবনসুত নামা || ২
মহাবীর বিক্রম বজরঙ্গী |
কুমতি নিবার সুমতি কে সঙ্গী ||৩
কংচন বরণ বিরাজ সুবেশা |
কানন কুংডল কুংচিত কেশা || ৪
হাথবজ্র ঔ ধ্বজা বিরাজৈ |
কাংথে মূংজ জনেবূ সাজৈ ||৫
শংকর সুবন কেসরী নন্দন |
তেজ প্রতাপ মহাজগ বন্দন || ৬
বিদ্য়াবান গুণী অতি চাতুর |
রাম কাজ করিবে কো আতুর ||৭
প্রভু চরিত্র সুনিবে কো রসিয়া |
রামলখন সীতা মন বসিয়া || ৮
সূক্ষ্ম রূপধরি সিয়হি দিখাবা |
বিকট রূপধরি লংক জরাবা || ৯
ভীম রূপধরি অসুর সংহারে |
রামচংদ্র কে কাজ সংবারে || ১০
লায় সংজীবন লখন জিয়ায়ে |
শ্রী রঘুবীর হরষি উরলায়ে || ১১
রঘুপতি কীন্হী বহুত বডায়ী |
তুম মম প্রিয় ভরতহি সম ভায়ী || ১২
সহস বদন তুম্হরো য়শগাবৈ |
অস কহি শ্রীপতি কণ্ঠ লগাবৈ || ১৩
সনকাদিক ব্রহ্মাদি মুনীশা |
নারদ শারদ সহিত অহীশা || ১৪
য়ম কুবের দিগপাল জহাং তে |
কবি কোবিদ কহি সকে কহাং তে || ১৫
তুম উপকার সুগ্রীবহি কীন্হা |
রাম মিলায় রাজপদ দীন্হা || ১৬
তুম্হরো মন্ত্র বিভীষণ মানা |
লংকেশ্বর ভয়ে সব জগ জানা || ১৭
য়ুগ সহস্র য়োজন পর ভানূ |
লীল্য়ো তাহি মধুর ফল জানূ || ১৮
প্রভু মুদ্রিকা মেলি মুখ মাহী |
জলধি লাংঘি গয়ে অচরজ নাহী || ১৯
দুর্গম কাজ জগত কে জেতে |
সুগম অনুগ্রহ তুম্হরে তেতে || ২০
রাম দুআরে তুম রখবারে |
হোত ন আজ্ঞা বিনু পৈসারে || ২১
সব সুখ লহৈ তুম্হারী শরণা |
তুম রক্ষক কাহূ কো ডর না || ২২
আপন তেজ তুম্হারো আপৈ |
তীনোং লোক হাংক তে কাংপৈ ||২৩
ভূত পিশাচ নিকট নহি আবৈ |
মহবীর জব নাম সুনাবৈ || ২৪
নাসৈ রোগ হরৈ সব পীরা |
জপত নিরংতর হনুমত বীরা || ২৫
সংকট সেং হনুমান ছুডাবৈ |
মন ক্রম বচন ধ্য়ান জো লাবৈ || ২৬
সব পর রাম তপস্বী রাজা |
তিনকে কাজ সকল তুম সাজা || ২৭
ঔর মনোরধ জো কোয়ি লাবৈ |
তাসু অমিত জীবন ফল পাবৈ || ২৮
চারো য়ুগ পরিতাপ তুম্হারা |
হৈ পরসিদ্ধ জগত উজিয়ারা || ২৯
সাধু সন্ত কে তুম রখবারে |
অসুর নিকন্দন রাম দুলারে || ৩০
অষ্ঠসিদ্ধি নব নিধি কে দাতা |
অস বর দীন্হ জানকী মাতা || ৩১
রাম রসায়ন তুম্হারে পাসা |
সদা রহো রঘুপতি কে দাসা || ৩২
তুম্হরে ভজন রামকো পাবৈ |
জন্ম জন্ম কে দুখ বিসরাবৈ || ৩৩
অংত কাল রঘুবর পুরজায়ী |
জহাং জন্ম হরিভক্ত কহায়ী || ৩৪
ঔর দেবতা চিত্ত ন ধরয়ী |
হনুমত সেয়ি সর্ব সুখ করয়ী || ৩৫
সংকট কটৈ মিটৈ সব পীরা |
জো সুমিরৈ হনুমত বল বীরা || ৩৬
জৈ জৈ জৈ হনুমান গোসায়ী |
কৃপা করো গুরুদেব কী নায়ী || ৩৭
জো শত বার পাঠ কর কোয়ী |
ছূটহি বন্দি মহা সুখ হোয়ী || ৩৮
জো য়হ পডৈ হনুমান চালীসা |
হোয় সিদ্ধি সাখী গৌরীশা || ৩৯
তুলসীদাস সদা হরি চেরা |
কীজৈ নাথ হৃদয় মহ ডেরা || ৪০
দোহা
পবন তনয় সঙ্কট হরণ - মঙ্গল মূরতি রূপ |
রাম লখন সীতা সহিত - হৃদয় বসহু সুরভূপ ||
সিয়াবর রামচন্দ্রকী জয় | পবনসুত হনুমানকী জয় | বোলো ভায়ী সব সন্তনকী জয় |।